ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেইমার ম্যাজিকে ফরাসি কাপ পিএসজির

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়রের গোলে সাঁত এতিয়েনকে হারিয়ে ফরাসি কাপ জিতে নিয়েছে পিএসজি। প্যারিসের স্তাদে দি ফ্রান্সে শুক্রবার রাতের ফাইনালে বেশিরভাগ সময় ১০ জন নিয়ে খেলা এতিয়েনকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মেতে ওঠে টমাস টুখেলের দল।

ফ্রেঞ্চ কাপের সবশেষ ছয় আসরে এটি পিএসজির পঞ্চম শিরোপা। টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গত আসরে ফাইনাল ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল তারা। আর সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সফলতম ক্লাবটির ১৩তম শিরোপা এটি।

এবারের ফাইনালের বেশিরভাগ সময়ই ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে এতিয়েনকে। কেননা ম্যাচের ৩১ মিনিটের সময় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার লইক পেরিন। এমবাপেকে গুরুতর এক ফাউল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয় তাকে।

ফাউলের এ ঘটনায় মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দলের খেলোয়াড়রা। ফলে পিএসজির তিন খেলোয়াড়কেও দেখানো হয় হলুদ কার্ড। ভিডিও এসিস্ট্যান্ড রেফারির সাহায্য নিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয় পেরিনকে। এছাড়া হলুদ কার্ড দেখেন এতিয়েনের অন্য আরেকজন খেলোয়াড়।

তবে এর আগেই অবশ্য পিএসজির হয়ে শিরোপা নিশ্চিত করা গোলটি করে ফেলেন নেইমার। ম্যাচের মাত্র ১৪ মিনিটের মাথায় কাইলিয়ান এমবাপের জোরালো শট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এতিয়েন গোলরক্ষক। কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল থেকে খুব সহজেই গোল করেন নেইমার।

এই এক গোলই হয়ে থাকে ফাইনালের ফল নির্ধারণী গোল। ম্যাচের বাকি সময়ে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে স্কোরলাইন ১-০ থেকে আর বাড়েনি। যদিও শিরোপা জেতার জন্য নেইমারের ওই এক গোলই যথেষ্ঠ প্রমাণিত হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

নেইমার ম্যাজিকে ফরাসি কাপ পিএসজির

আপডেট টাইম : ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়রের গোলে সাঁত এতিয়েনকে হারিয়ে ফরাসি কাপ জিতে নিয়েছে পিএসজি। প্যারিসের স্তাদে দি ফ্রান্সে শুক্রবার রাতের ফাইনালে বেশিরভাগ সময় ১০ জন নিয়ে খেলা এতিয়েনকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মেতে ওঠে টমাস টুখেলের দল।

ফ্রেঞ্চ কাপের সবশেষ ছয় আসরে এটি পিএসজির পঞ্চম শিরোপা। টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গত আসরে ফাইনাল ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল তারা। আর সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সফলতম ক্লাবটির ১৩তম শিরোপা এটি।

এবারের ফাইনালের বেশিরভাগ সময়ই ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে এতিয়েনকে। কেননা ম্যাচের ৩১ মিনিটের সময় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার লইক পেরিন। এমবাপেকে গুরুতর এক ফাউল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয় তাকে।

ফাউলের এ ঘটনায় মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দলের খেলোয়াড়রা। ফলে পিএসজির তিন খেলোয়াড়কেও দেখানো হয় হলুদ কার্ড। ভিডিও এসিস্ট্যান্ড রেফারির সাহায্য নিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয় পেরিনকে। এছাড়া হলুদ কার্ড দেখেন এতিয়েনের অন্য আরেকজন খেলোয়াড়।

তবে এর আগেই অবশ্য পিএসজির হয়ে শিরোপা নিশ্চিত করা গোলটি করে ফেলেন নেইমার। ম্যাচের মাত্র ১৪ মিনিটের মাথায় কাইলিয়ান এমবাপের জোরালো শট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এতিয়েন গোলরক্ষক। কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল থেকে খুব সহজেই গোল করেন নেইমার।

এই এক গোলই হয়ে থাকে ফাইনালের ফল নির্ধারণী গোল। ম্যাচের বাকি সময়ে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে স্কোরলাইন ১-০ থেকে আর বাড়েনি। যদিও শিরোপা জেতার জন্য নেইমারের ওই এক গোলই যথেষ্ঠ প্রমাণিত হয়েছে।