ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আমি তো তার পায়ের ধূলারও যোগ্য নই’

ভারতের সবচেয়ে খানদানি অভিনেতা দিলীপ কুমারের সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রী সায়রা বানুর বিয়ে হয় ১৯৬৬ সালে। তখন বলিউডের অনেক সুন্দরী নারী তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সবাইকে হটিয়ে সায়রাই তার ঘরণী হন। অনেক বছর ধরে একমনে স্বামীর সেবাশুশ্রুষা করে আসছেন তিনি।

সায়রা বললেন, ‘দিলীপ কুমারের সঙ্গে থাকার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য অনেক সম্মানের ব্যাপার। আমি তো তার পায়ের ধূলারও যোগ্য নই। তিনি চাইলে যে কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে পারতেন। কিন্তু তিনি আমাকে বেছে নিয়েছেন। এজন্য নিজেকে খুউব ভাগ্যবতী মনে করি। তাকে সবসময় চলচ্চিত্র শিল্পের কোহিনূর বলে ডাকি। এতোগুলো বছর তার কাছে থাকতে পারা আমার জন্য সৌভাগ্যের। জীবনটা এর চেয়ে আর ভালো হতে পারতো না। অন্য কোনো জীবন আমি কল্পনাও করতে পারি না।’

সায়রা বানুর মতো এমন নিবেদিত একজন স্ত্রী পাওয়ায় দিলীপ কুমার নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। এ প্রসঙ্গে রসিকতার সুরে সায়রা বলেন, ‘আমার তো মনে হয়, তার স্ত্রী হয়েছি মানে আমি বিশেষ কিছু! তার স্ত্রী হতে গেলে কিছু গুণ প্রয়োজন। সত্যি বলছি সব ভারতীয় নারীই তাদের স্বামীর সেবাযত্ন করে। আমাদের পরিবারেও একই চিত্র দেখে বেড়ে উঠেছি। তাই আমার কাছে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।’

শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় গত ১৫ এপ্রিল দিবাগত রাতে (শনিবার) মুম্বাইয়ের লীলাবতি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় দিলীপ কুমারকে। এখানেই তিনি এখন চিকিৎসাধীন। তবে তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন ৯৩ বছর বয়সী বয়সী এই কিংবদন্তি। ফলে সায়রা বানুর কপাল থেকে দুশ্চিন্তার ভাঁজ গেছে।

রোববার (১৬ এপ্রিল) সকালে দিলীপ কুমারের দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার খবর দিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সায়রা। তিনি বলেন, ‘তার এমআরআই পরীক্ষায় দেখা গেলো সবকিছু ঠিক আছে। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। সবাই তার ভালোর জন্য দোয়া করবেন। সৃষ্টিকর্তা চাইলে তিনি সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরতে পারেন।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘আমি তো তার পায়ের ধূলারও যোগ্য নই’

আপডেট টাইম : ১০:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৬

ভারতের সবচেয়ে খানদানি অভিনেতা দিলীপ কুমারের সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রী সায়রা বানুর বিয়ে হয় ১৯৬৬ সালে। তখন বলিউডের অনেক সুন্দরী নারী তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সবাইকে হটিয়ে সায়রাই তার ঘরণী হন। অনেক বছর ধরে একমনে স্বামীর সেবাশুশ্রুষা করে আসছেন তিনি।

সায়রা বললেন, ‘দিলীপ কুমারের সঙ্গে থাকার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য অনেক সম্মানের ব্যাপার। আমি তো তার পায়ের ধূলারও যোগ্য নই। তিনি চাইলে যে কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে পারতেন। কিন্তু তিনি আমাকে বেছে নিয়েছেন। এজন্য নিজেকে খুউব ভাগ্যবতী মনে করি। তাকে সবসময় চলচ্চিত্র শিল্পের কোহিনূর বলে ডাকি। এতোগুলো বছর তার কাছে থাকতে পারা আমার জন্য সৌভাগ্যের। জীবনটা এর চেয়ে আর ভালো হতে পারতো না। অন্য কোনো জীবন আমি কল্পনাও করতে পারি না।’

সায়রা বানুর মতো এমন নিবেদিত একজন স্ত্রী পাওয়ায় দিলীপ কুমার নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। এ প্রসঙ্গে রসিকতার সুরে সায়রা বলেন, ‘আমার তো মনে হয়, তার স্ত্রী হয়েছি মানে আমি বিশেষ কিছু! তার স্ত্রী হতে গেলে কিছু গুণ প্রয়োজন। সত্যি বলছি সব ভারতীয় নারীই তাদের স্বামীর সেবাযত্ন করে। আমাদের পরিবারেও একই চিত্র দেখে বেড়ে উঠেছি। তাই আমার কাছে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।’

শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় গত ১৫ এপ্রিল দিবাগত রাতে (শনিবার) মুম্বাইয়ের লীলাবতি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় দিলীপ কুমারকে। এখানেই তিনি এখন চিকিৎসাধীন। তবে তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন ৯৩ বছর বয়সী বয়সী এই কিংবদন্তি। ফলে সায়রা বানুর কপাল থেকে দুশ্চিন্তার ভাঁজ গেছে।

রোববার (১৬ এপ্রিল) সকালে দিলীপ কুমারের দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার খবর দিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সায়রা। তিনি বলেন, ‘তার এমআরআই পরীক্ষায় দেখা গেলো সবকিছু ঠিক আছে। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। সবাই তার ভালোর জন্য দোয়া করবেন। সৃষ্টিকর্তা চাইলে তিনি সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরতে পারেন।’