ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বহু রোগের দাওয়াই ভুট্টা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ শস্যজাতীয় খাদ্য ভুট্টার রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। নিয়মিত ভুট্টা খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।

পুষ্টিমান: ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার পুষ্টিমান বেশি। এতে প্রায় ১১ শতাংশ আমিষ জাতীয় উপাদান রয়েছে। আমিষে প্রয়োজনীয় অ্যামিনোএসিড, ট্রিপটোফ্যান ও লাইসিন অধিক পরিমাণে আছে। এ ছাড়া হলুদ রঙের ভুট্টা দানায় প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৯০ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন বা ভিটামিন ‘এ’ থাকে।

ভুট্টার স্বাস্থ্য উপকারিতা: 

১. ভুট্টায় পাওয়া যায় ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।

২. ভুট্টা লৌহ সমৃদ্ধ যা রক্তের লোহিত কণার প্রয়োজনীয় খনিজের চাহিদা পূরণ করে। এর ফলে অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কমে।

৩. ভুট্টায় থাকা ফাইটোকেমিকেল শরীরে ইনসুলিন শোষণ ও নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

৪. মিষ্টি ভুট্টা বা ‘সুইট কর্ন’ আঁশ জাতীয় শস্য যাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেটের যৌগ। এটা দেরিতে হজম হয় এবং কাজের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।

৫. হলুদ ভুট্টা খাওয়া এক টন বিটা ক্যারোটিন সরবরাহ করে। যা চোখ ও ত্বকের জন্য খুবই ভালো।

৬. ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমে সহায়তা করে।

৭. ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। এগুলো নতুন রক্তকোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে রক্ত স্বল্পতা দূর হয়।

৮. এলডিএল নামে শরীরে যে ক্ষতিকর কোলস্টেরল থাকে, ভুট্টা তা দূর করতে সহায়তা করে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বহু রোগের দাওয়াই ভুট্টা

আপডেট টাইম : ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ শস্যজাতীয় খাদ্য ভুট্টার রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। নিয়মিত ভুট্টা খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।

পুষ্টিমান: ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার পুষ্টিমান বেশি। এতে প্রায় ১১ শতাংশ আমিষ জাতীয় উপাদান রয়েছে। আমিষে প্রয়োজনীয় অ্যামিনোএসিড, ট্রিপটোফ্যান ও লাইসিন অধিক পরিমাণে আছে। এ ছাড়া হলুদ রঙের ভুট্টা দানায় প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৯০ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন বা ভিটামিন ‘এ’ থাকে।

ভুট্টার স্বাস্থ্য উপকারিতা: 

১. ভুট্টায় পাওয়া যায় ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।

২. ভুট্টা লৌহ সমৃদ্ধ যা রক্তের লোহিত কণার প্রয়োজনীয় খনিজের চাহিদা পূরণ করে। এর ফলে অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কমে।

৩. ভুট্টায় থাকা ফাইটোকেমিকেল শরীরে ইনসুলিন শোষণ ও নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

৪. মিষ্টি ভুট্টা বা ‘সুইট কর্ন’ আঁশ জাতীয় শস্য যাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেটের যৌগ। এটা দেরিতে হজম হয় এবং কাজের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।

৫. হলুদ ভুট্টা খাওয়া এক টন বিটা ক্যারোটিন সরবরাহ করে। যা চোখ ও ত্বকের জন্য খুবই ভালো।

৬. ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমে সহায়তা করে।

৭. ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। এগুলো নতুন রক্তকোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে রক্ত স্বল্পতা দূর হয়।

৮. এলডিএল নামে শরীরে যে ক্ষতিকর কোলস্টেরল থাকে, ভুট্টা তা দূর করতে সহায়তা করে।