ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিপণের বিষয়ে দস্যুদের সাড়ার দিকে তাকিয়ে সবাই

সোমালি দস্যুদের হাতে জিম্মি অবস্থায় থাকা বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের মুক্তি নিয়ে জাহাজ মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানা গেছে। তবে মালিকপক্ষ বলছে, নাবিকদের মুক্ত করতে আলোচনা অব্যাহত থাকলেও সমঝোতায় (মুক্তিপণ) নাবিকদের মুক্তির বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে জিম্মিকারীদের ওপর। দস্যুদের কাছ থেকে কী সাড়া পাওয়া যায় এখন সবাই সেদিকে তাকিয়ে আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, দর-কষাকষির এক পর্যায়ে মুক্তিপণ নিয়ে সর্বশেষ মালিক ও জাহাজটির বীমা কম্পানির পক্ষ থেকে তাদের অবস্থান তুলে ধরা হয় দস্যুদের কাছে।

দস্যুরা এখন নিজেদের বক্তব্য জানাবে। আলোচনা এই পর্যায়ে আছে।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মাকসুদ আলম গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নাবিকরা ভালো আছেন। পরিবারের সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তা হচ্ছে।

তাঁদের মুক্তি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করি ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে।’  

জাহাজ মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নাবিকদের মুক্ত করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে। আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে।

ঈদের আগে না হলে পরে তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’ 

নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সমঝোতা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নাবিকদের মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি দস্যুদের ওপর নির্ভর করছে। তাই যতক্ষণ ওই জাহাজটি সোমালিয়ার জলসীমা থেকে বের হয়ে না আসবে, ততক্ষণ জলদস্যুদের ওপর আমাদের নির্ভর করে থাকতে হবে।’

গত ২৬ দিন ধরে নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়ে রয়েছে।

জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূল থেকে পৌনে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মুক্তিপণের বিষয়ে দস্যুদের সাড়ার দিকে তাকিয়ে সবাই

আপডেট টাইম : ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪
সোমালি দস্যুদের হাতে জিম্মি অবস্থায় থাকা বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের মুক্তি নিয়ে জাহাজ মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানা গেছে। তবে মালিকপক্ষ বলছে, নাবিকদের মুক্ত করতে আলোচনা অব্যাহত থাকলেও সমঝোতায় (মুক্তিপণ) নাবিকদের মুক্তির বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে জিম্মিকারীদের ওপর। দস্যুদের কাছ থেকে কী সাড়া পাওয়া যায় এখন সবাই সেদিকে তাকিয়ে আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, দর-কষাকষির এক পর্যায়ে মুক্তিপণ নিয়ে সর্বশেষ মালিক ও জাহাজটির বীমা কম্পানির পক্ষ থেকে তাদের অবস্থান তুলে ধরা হয় দস্যুদের কাছে।

দস্যুরা এখন নিজেদের বক্তব্য জানাবে। আলোচনা এই পর্যায়ে আছে।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মাকসুদ আলম গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নাবিকরা ভালো আছেন। পরিবারের সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তা হচ্ছে।

তাঁদের মুক্তি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করি ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে।’  

জাহাজ মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নাবিকদের মুক্ত করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে। আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে।

ঈদের আগে না হলে পরে তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’ 

নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সমঝোতা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নাবিকদের মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি দস্যুদের ওপর নির্ভর করছে। তাই যতক্ষণ ওই জাহাজটি সোমালিয়ার জলসীমা থেকে বের হয়ে না আসবে, ততক্ষণ জলদস্যুদের ওপর আমাদের নির্ভর করে থাকতে হবে।’

গত ২৬ দিন ধরে নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়ে রয়েছে।

জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূল থেকে পৌনে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।