ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিকিৎসক মাস্ক না পরেই রোগী দেখছেন, রোগী মাস্ক না পরলেই অসদাচরণ

বিজয় দাস নেত্রকোনাঃ করোনা মহামারীতে সরকারের স্বাস্থ্য নীতির অমান্য করে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার কাজী বুশরা আমীন মাস্ক না পড়ে জরুরী বিভাগে রোগী দেখছেন। এদিকে রোগী ও রোগীর স্বজনরা মাস্ক না পড়ে সেবা নিতে আসলে তাদের সাথে অসদাচরণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে ডাক্তার বুশরা আমীন নিজেই করোনা প্রজেটিভ ছিলেন।

আজ ৫ই ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে জরুরী বিভাগে সেবা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন, আয়েশা আক্তারকে মাস্ককের ব‍্যবহার না করায়, ঠেলাধাক্কা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছেন।  হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দেখা যায় ডাক্তার কাজী বুশরা আমিন নিজে মাস্ক না পড়ে হাসপাতাল জরুরী বিভাগের বাহিরে রোগীর স্বজনদের সাথে বাকবিতন্ডা করছেন। পরক্ষণেই আবার রোগী দেখছেন।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন আয়েশা আক্তার বলেন, আমি মাস্ক না পড়ে জরুরী বিভাগে গেলে তিনি আমাকে বের হয়ে যেতে বলেন। আপনি তো নিজেই মাস্ক পড়েন নি এ কথা বললে আমাকে ঠেলাধাক্কা দিয়ে জরুরী বিভাগে থেকে বের করে দেয়। এ ছাড়া সেবা নিতে আসা রোগী হান্নান মিয়া বলেন, আমাদের সামনেই মহিলা ডাক্তার রোগীর স্বজন আয়েশা আক্তারকে ঠেলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।

এ ব্যাপারে ডাক্তার বুশরা আমিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না। রোগীর নিকট থেকে জেনে নেন। রোগীর স্বজনদের ঠেলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বাহিরে যাওয়ার সময় হয়তো লাগতেই পারে।

মদন হাসপাতালের আরএমও সাইম হাসান রিয়াদ জানান, ডাক্তার কাজী বুশরা আমিন মাস্ক না পড়ে রোগী দেখে থাকলে এটা তার ভুল হয়েছে। ঠেলাধাক্কার বিষয়ে অভিযোগ পেলে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে স্বাস্থ্য প্রশাসকের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ হাসানুল হোসেন জানান, আমি ছুটিতে আছি। বিষয়টি আরএমও এর মাধ্যমে জেনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

চিকিৎসক মাস্ক না পরেই রোগী দেখছেন, রোগী মাস্ক না পরলেই অসদাচরণ

আপডেট টাইম : ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২০
বিজয় দাস নেত্রকোনাঃ করোনা মহামারীতে সরকারের স্বাস্থ্য নীতির অমান্য করে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার কাজী বুশরা আমীন মাস্ক না পড়ে জরুরী বিভাগে রোগী দেখছেন। এদিকে রোগী ও রোগীর স্বজনরা মাস্ক না পড়ে সেবা নিতে আসলে তাদের সাথে অসদাচরণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে ডাক্তার বুশরা আমীন নিজেই করোনা প্রজেটিভ ছিলেন।

আজ ৫ই ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে জরুরী বিভাগে সেবা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন, আয়েশা আক্তারকে মাস্ককের ব‍্যবহার না করায়, ঠেলাধাক্কা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছেন।  হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দেখা যায় ডাক্তার কাজী বুশরা আমিন নিজে মাস্ক না পড়ে হাসপাতাল জরুরী বিভাগের বাহিরে রোগীর স্বজনদের সাথে বাকবিতন্ডা করছেন। পরক্ষণেই আবার রোগী দেখছেন।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন আয়েশা আক্তার বলেন, আমি মাস্ক না পড়ে জরুরী বিভাগে গেলে তিনি আমাকে বের হয়ে যেতে বলেন। আপনি তো নিজেই মাস্ক পড়েন নি এ কথা বললে আমাকে ঠেলাধাক্কা দিয়ে জরুরী বিভাগে থেকে বের করে দেয়। এ ছাড়া সেবা নিতে আসা রোগী হান্নান মিয়া বলেন, আমাদের সামনেই মহিলা ডাক্তার রোগীর স্বজন আয়েশা আক্তারকে ঠেলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।

এ ব্যাপারে ডাক্তার বুশরা আমিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না। রোগীর নিকট থেকে জেনে নেন। রোগীর স্বজনদের ঠেলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বাহিরে যাওয়ার সময় হয়তো লাগতেই পারে।

মদন হাসপাতালের আরএমও সাইম হাসান রিয়াদ জানান, ডাক্তার কাজী বুশরা আমিন মাস্ক না পড়ে রোগী দেখে থাকলে এটা তার ভুল হয়েছে। ঠেলাধাক্কার বিষয়ে অভিযোগ পেলে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে স্বাস্থ্য প্রশাসকের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ হাসানুল হোসেন জানান, আমি ছুটিতে আছি। বিষয়টি আরএমও এর মাধ্যমে জেনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।