ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সাকিব দুইবার ফেল, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে ৫০ ওভারের ক্রিকেটকে বিদায় নেওয়ার ইচ্ছা সাকিব আল হাসান আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে আইসিসির এই টুর্নামেন্টটি। এ জন্য ১২ জানুয়ারির মধ্যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১৫ জনের দল আইসিসিতে পাঠাতে হবে বিসিবিকে। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সে দলে সাকিব আল হাসানের থাকাটা অনিশ্চিত!

গতকাল সিলেটে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাকিবের খেলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা আসলে আমরা নির্বাচকমণ্ডলীরা বোর্ডের কাছ থেকে জানতে চেয়েছি যে তিনি (সাকিব) আমাদের এ প্রক্রিয়ার জন্য অ্যাভেইলঅ্যাবেল আছেন কিনা। এখনও আমরা উত্তর পুরোপুরি পাইনি। আংশিক একটা পেয়েছি।’ ক্রিকেটারের পাশাপাশি সাকিব রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে মাগুরা-১ আসনের প্রার্থী ছিলেন। বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। তবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দেশে হত্যা মামলা হয়েছে। সাকিবের ইচ্ছা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে এ সংস্করণ থেকে বিদায় নেওয়ার। তবে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে তার দেশে আসা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর দেশেই ফিরতে পারেননি তিনি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে হাইব্রিড মডেলে (পাকিস্তান ও আরব আমিরাত)। তবে সাকিবকে দলে রাখার সিদ্ধান্ত শুধু বোর্ডের ব্যাপার নয়; সরকারের কাছ থেকেও সবুজ সংকেত পাওয়ার ব্যাপারে এখানে আছে। পাশাপাশি সাকিব কাউন্টি খেলতে গিয়ে অ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ প্রমাণিত হওয়ায় বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন। ইংল্যান্ডের পর চেন্নাইয়ে এক দফা পরীক্ষা দিলেও পাস করতে পারেননি। চেন্নাইয়েই আরও একবার অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন। তার ফল এখনও আসেনি। গাজী আশরাফ বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আসেনি। প্রথম যে পরীক্ষা দিলেন সেখানে তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি, ভেরি শকিং। আমাকে নিশ্চিত হতে হবে, তিনি ব্যক্তিপর্যায়ে আবার একটা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন কিনা এটা একটু খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।’

‘যেহেতু আবার শোনা যাচ্ছে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন (বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায়)। সেটার জন্যও অপেক্ষা করতে হবে। প্রতিটি মিনিটই হয়তো গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি ২-১ দিনের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে বিষয়গুলো।’

অন্যদিকে অবশ্য সাকিবের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সাকিবকে দলে নেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘সাকিব এখনও অবসর নেয়নি। সাকিব যদি অবসর নিয়ে নিত, তাহলে বলতাম ও আর নেই। নির্বাচকরা আমাদের কাছে দল গঠনের আগে পলিসি জানতে চান। সাকিবকে নিয়ে আরেকবার চেষ্টা করব চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

৭ বছর পর মা-ছেলের মিলন দেখে কেঁদেছে পুরো জাতি: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক

সাকিব দুইবার ফেল, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

আপডেট টাইম : ১২ ঘন্টা আগে

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে ৫০ ওভারের ক্রিকেটকে বিদায় নেওয়ার ইচ্ছা সাকিব আল হাসান আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে আইসিসির এই টুর্নামেন্টটি। এ জন্য ১২ জানুয়ারির মধ্যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১৫ জনের দল আইসিসিতে পাঠাতে হবে বিসিবিকে। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সে দলে সাকিব আল হাসানের থাকাটা অনিশ্চিত!

গতকাল সিলেটে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাকিবের খেলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা আসলে আমরা নির্বাচকমণ্ডলীরা বোর্ডের কাছ থেকে জানতে চেয়েছি যে তিনি (সাকিব) আমাদের এ প্রক্রিয়ার জন্য অ্যাভেইলঅ্যাবেল আছেন কিনা। এখনও আমরা উত্তর পুরোপুরি পাইনি। আংশিক একটা পেয়েছি।’ ক্রিকেটারের পাশাপাশি সাকিব রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে মাগুরা-১ আসনের প্রার্থী ছিলেন। বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। তবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দেশে হত্যা মামলা হয়েছে। সাকিবের ইচ্ছা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে এ সংস্করণ থেকে বিদায় নেওয়ার। তবে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে তার দেশে আসা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর দেশেই ফিরতে পারেননি তিনি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে হাইব্রিড মডেলে (পাকিস্তান ও আরব আমিরাত)। তবে সাকিবকে দলে রাখার সিদ্ধান্ত শুধু বোর্ডের ব্যাপার নয়; সরকারের কাছ থেকেও সবুজ সংকেত পাওয়ার ব্যাপারে এখানে আছে। পাশাপাশি সাকিব কাউন্টি খেলতে গিয়ে অ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ প্রমাণিত হওয়ায় বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন। ইংল্যান্ডের পর চেন্নাইয়ে এক দফা পরীক্ষা দিলেও পাস করতে পারেননি। চেন্নাইয়েই আরও একবার অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন। তার ফল এখনও আসেনি। গাজী আশরাফ বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আসেনি। প্রথম যে পরীক্ষা দিলেন সেখানে তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি, ভেরি শকিং। আমাকে নিশ্চিত হতে হবে, তিনি ব্যক্তিপর্যায়ে আবার একটা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন কিনা এটা একটু খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।’

‘যেহেতু আবার শোনা যাচ্ছে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন (বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায়)। সেটার জন্যও অপেক্ষা করতে হবে। প্রতিটি মিনিটই হয়তো গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি ২-১ দিনের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে বিষয়গুলো।’

অন্যদিকে অবশ্য সাকিবের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সাকিবকে দলে নেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘সাকিব এখনও অবসর নেয়নি। সাকিব যদি অবসর নিয়ে নিত, তাহলে বলতাম ও আর নেই। নির্বাচকরা আমাদের কাছে দল গঠনের আগে পলিসি জানতে চান। সাকিবকে নিয়ে আরেকবার চেষ্টা করব চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’