উঁচু-নিচু পথ, টিলা- তার মধ্যে আবার ঝর্ণা, জলাধার; সবুজে ঘেরা পরিবেশ। অদ্ভুদ সৌন্দর্যের মধ্যে কিছু মানুষের বসবাস। তাড়াও প্রকৃতির মতই সুন্দর; সবার কণ্ঠেই সুর, ছন্দময় তাদের কথা। হঠাৎ সেই লোকালয়ে পাওয়া যায় এক ছোট মেয়েকে, যার কণ্ঠে সুর নেই। সেই গ্রামে কণ্ঠে সুর না থাকা একটা অভিশাপ। ছোট মেয়ের অভিশাপ কাটে, কণ্ঠে সুর আসে। কিন্তু কীভাবে? সেটির পেছনে ছুটতে গিয়ে বের হয়ে আসে ডাইনির কথা। প্রকাশ্যে আসতে থাকে আরও সব কঠিন বাস্তবতা।
শেষ চমকটা এখানেই। গল্পের সেই ডাইনি চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। মেকআপের গুণে ডাইনি চরিত্রে তাকে বোঝাই ছিল কষ্টসাধ্য। গল্পের প্রয়োজনে শেষভাগে নিজের রূপে ধরা দেন এই অভিনেত্রী।
চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘২ষ’র শেষ পর্ব ‘বেসুরা’ প্রকাশ হয়েছে। এতে ভয়ের নতুন এক ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছেন নুহাশ হুমায়ূন। আর তাইতো পরিচিত ভূতের গল্প না বলে সাইকোলজিক্যাল হরর গল্প বলেছেন তিনি। যা লিখেছেন নির্মাতার মা গুলতেকিন খান।
জয়া আহসান বলেন, ‘দর্শকরা সবাই কম-বেশি জানেন আমি ক্যারেক্টার আর্টিস্ট, ভিন্ন রকম চরিত্রে কাজ করতে পছন্দ করি। গল্পটাও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। নুহাশ হুমায়ূন ও গুলতেকিন খান মিলে ভীষণ শক্তিশালী গল্প লিখেছেন। ক্যামিও চরিত্র হিসেবে কাজটি করেছি। ছোট চরিত্র হলেও এর প্রভাব অনেক বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যে অভিনয় বা শিল্পচর্চা করি বা একজন শিল্পী যে শিল্পচর্চাটা করেন তার মূল জায়গাটা কী? সেটা ডাইনি বেশে আমার দেওয়া সংলাপগুলোতে নিহিত আছে।’
নির্মাতা নুহাশ জানান, কনটেন্টটি এডিট করার সময় প্রথমে এডিটরও নাকি বুঝতে পারেননি যে ডাইনি বেশে অভিনয় করছেন জয়া আহসান। এজন্য অবশ্য অভিনেত্রী কৃতিত্ব দিয়েছেন মেকআপ আর্টিস্ট, নির্মাতা ও সিনেমাটোগ্রাফারকে।
জয়া বলেন, ’ভালো লাগছে যে প্রথম দিকে কেউ এটা ধরতে পারেনি। এটা আসলে মেকআপ আর্টিস্টের কৃতিত্ব। কীভাবে চরিত্রটিকে দেখানো হচ্ছে, ক্যামেরা কীভাবে ধরা হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ ছিল এক্ষেত্রে। তাই নির্মাতা ও সিনেমাটোগ্রাফারকে এর কৃতিত্ব দিতে হবে।’
‘বেসুরা’য় অভিনয় করেছেন সুমাইয়া শিমু, ইসলাম উদ্দিন পালাকার, মান্, এরফান মৃধা শিবলু, বাবলু বোস, মাসউদুর রহমান, সায়েম উদ্দীন, অনিমেষ দাস, স্নিগ্ধা দেবী, আর্নিকা দেবী অর্থি, মোহাম্মদ ফাইয়ান ওয়াহিদ, রাজদীপ দাশ, বীণা দাশ গুপ্তাসহ অনেকে।