বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বয়ঃসন্ধিকালে সব ছেলেদেরই গোঁফ ওঠে। নিওলিথিক যুগ থেকেই পাথরের ক্ষুর দিয়ে ক্ষৌরী করার প্রচলন শুরু হয়, আর এই সুদীর্ঘকালের ব্যবধানে গোঁফের নানা রকম ফ্যাশন চালু হয়েছে। অনেকে আবার গোঁফকে ব্যক্তির চিহ্ন মনে করে। বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় ছড়াকার সুকুমার রায় বলেছিলেন, ‘গোঁফকে বলে তোমার আমার গোঁফ কি কারো কেনা? গোঁফের আমি গোঁফের তুমি, তাই দিয়ে যায় চেনা।’
বিভিন্ন জাতি-গোত্রর মতো গোঁফেরও রয়েছে নানা নাম। দালি গোঁফ, ইংরেজ, ফু মঞ্চু গোঁফ, পাকোনো গোঁফ, অশ্বখুর গোঁফ, সাম্রাজ্যিক গোঁফ, মেক্সিকান গোঁফ, প্রাকৃতিক গোঁফ, পেনসিল গোঁফ, টুথব্রাশ গোঁফ ইত্যাদি।
অনেকে তার পছন্দের লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, অভিনেতাদের অনুকরণে গোঁফ রেখে থাকে। কোনো কোনো দেশে আবার বিশেষ চাকরিতে গোঁফ রাখার প্রতি উৎসাহিত করা হয়। যেমন ভারতের উত্তর প্রদেশের পুলিশদের গোঁফ রাখায় উৎসাহিত করার জন্য গোঁফধারী পুলিশ সদস্যদের জন্য ২০০ রুপি বাড়তি বেতন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
তবে এমন কি শুনেছেন, যে গোঁফ রেখে জিতে নিয়েছে একটি পুরস্কার। হ্যাঁ তেমনটাই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার বাসিন্দা ‘এম যে জনসন’। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের একটি প্রতিবেদনে এমনই একজন বড় গোঁফওয়ালার তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্বখ্যাত গোঁফ এম যে জনসন নামক এক ব্যক্তির। আর সেই গোঁফেই তার পরিচিতি। কোটি কোটি মানুষের মধ্যে তিনিই একজন। যার এত বড় গোঁফ রয়েছে। এম যে জনসন নামক এই ব্যক্তির ১৮ ইঞ্চি লম্বা গোঁফ। তার গোঁফটি ১২ বছরের পুরনো। এই গোঁফ ইতিমধ্যে জিতে নিয়েছে একটি পুরস্কারও। দীর্ঘ ১২ বছর আগে একটি অন্ধকার বেসমেন্টে বসে ছিলেন তিনি। সেখানে জনসন একটি প্রতিযোগিতার পোস্টার দেখেন।
সেই পোস্টারে লেখা ছিল, গোঁফের প্রতিযোগিতা বিশ্বজুড়ে। এই প্রতিযোগিতা খুবই অদ্ভুত। আজব রকমের। তাতেই অংশগ্রহণ করেন জনসন এবং প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি সারারাত ধরে ভাবতে থাকেন বিশ্ব সেরা গোঁফের শিরোপা জিতে নিতে হবে। প্রথম তিনি নিজের রেজার ফেলে দেন আর বাড়তে দেন গোঁফ।এভাবেই এম যে জনসন তার গোঁফ বড় করে জিতে নিয়েছে পুরস্কার।