বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রাজধানীর মিরপুর-১ আশুলিয়া বেড়িবাঁধ সড়কের গড়ান চটবাড়ী এলাকায় গড়ে উঠেছে নেভারল্যান্ড নামে একটি দৃষ্টিনন্দন শুটিং স্পট। ১২ একর জমির উপর এটি প্রতিষ্ঠিত।
তিনদিক নদীবেষ্টিত স্পটটিতে রয়েছে বাচ্চাদের জন্য দুটি দোলনা। চেয়ার-টেবিলের ব্যবস্থাও রয়েছে। আরও আছে একটি গেস্ট হাউজ। হাইওয়ে সড়কের পাশে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান থাকায় সন্ধ্যা ৭টার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেলো, চেয়ার-টেবিলে বসে অনেকে কোল্ড কফি খাচ্ছে আর জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। অনেকে প্রয়োজনীয় আলোচনাও সারছে। পরিবার নিয়ে এসেছে কেউ। আবার কেউ এসেছে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে। মা-বাবার সঙ্গে শিশুরাও এসেছে।
শিশুদের কেউ কেউ নদীর পানে তাকিয়ে আছে। অনেকে দৌড়াদৌড়ি করছে। কেউ দোলনাতে দুলছে।
শ্যামলী থেকে নেভার ল্যান্ডে এসেছেন দু’বান্ধবী বাঁধন আর সাবরিন সুলতান। সঙ্গে এনেছেন তাদের শিশু সন্তানদেরও। তাহিয়া, রোহাইয়িত ও নুসইবা শিশুরা দোলনায় ঝুলছে। মাঝে মাঝে বাঁধন গিয়ে দোলনা দুলিয়ে আসছেন। পরক্ষণে এসেই গল্প জমাচ্ছেন বান্ধবী সাবরিন সুলতানার সঙ্গে।
বাঁধন নতুন সময়কে জানালেন, অবসর পেলেই আমি কলহলমুক্ত পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য এখানে চলে আসি। স্বামীর ব্যবসা আছে। ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকায় আমি একাই চলে আসি। বেশির ভাগ সময় আমার সঙ্গে সাবরিন সুলতানাও আসে। আমরা দুজন ভালো বন্ধু। এখানকার পরিবেশ ভালো তবে ট্রলারে জোরে জোরে গান বাজানোর কারণে শব্দদূষণ হচ্ছে। এখানে তো এসেছি কলহলমুক্ত পরিবেশের জন্য। মাঝে মাঝে পছন্দের গানও বাজাচ্ছেন কেউ কেউ।
সাবরিন সুলতানাও বলেন, ও (বাঁধন) ডাকলেই চলে আসি। পারিবারিক জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করি। খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, ২ মাস আগে এটি উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে স্পটটিতে শুটিংয়ের কাজ করে গেছে চিত্র নায়িকা মৌসুমি হামিদ। স্পটটি পিকনিকের জন্যও ভাড়া দেয়া হয়। পিকনিকের সময় বাইরের কাউকে এখানে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।
নেভারল্যান্ড স্পটির মালিক আবুল বাসার রিপন নতুন সময়কে জানান, এখানে বাংলা-চাইনিজ খাবার পাওয়া যায়। কেউ খাবার অর্ডার দিলে খাবার পরিবেশকরা গিয়ে টেবিলে দিয়ে আসে। আমাদের প্রতিষ্ঠান নতুন। খাবারের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা হয়। যাতে দর্শনার্থীরা বার বার আমাদের এখানে আসে।
তিনি আরও বলেন, দর্শনার্থীদের জন্য এখানে প্রবেশ করতে কোনো টিকিট লাগে না। স্পটটিকে আরো বড় করা হবে। নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। এ এলাকা এক সময় অপরাধপ্রবণ ছিলো। অপরাধ কমলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রেণে আসেনি। তাই আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সন্ধ্যার মধ্যেই নেভারল্যান্ড বন্ধ করে দেয়া হয়।