বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা ও আরসা বিরোধী সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্যাম্প কেন্দ্রীক এক আরসা কমান্ডারসহ দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ সোমবার ভোরে উখিয়া ৫ নম্বর ও ২ ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, আজ সোমবার ভোর রাতে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২ ইস্ট ও ৫ নম্বরর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা ও আরসা বিরোধী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই আরসা সন্ত্রাসী নিহত হয়।খবর পেয়ে ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এপিবিএন পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন ক্যাম্প-৭র ডি ৫ ব্লকের মীর আহমদের ছেলে সাকিবুল হাসান প্রকাশ সানা উল্লাহ এবং একই ক্যাম্পের এ ব্লকের আব্দুল গফুরের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন।
ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, দুজনেই আরসা সদস্য। ক্যাম্পে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরসা ও আরসা বিরোধী সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও জানান, নিহত সানাউল্লাহ কুতুপালং ক্যাম্পের আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী। সে ক্যাম্প-২/ইস্টে আবুল কালাম মাঝি, তাহের মাঝি, আমিন মাঝি হত্যাসহ বহু হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত। এছাড়াও নিহত সানাউল্লাহ এক বছর পূর্বে এবিপিএন সদস্য মোঃ সাঈদুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনার সাথে জড়িত।
ঘটনার পরপরই ক্যাম্পে এপিবিএন পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে, ১৬ এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ হাসান বারী নুর জানিয়েছে, আজ সোমবার ভোরে ১৬ এপিবিএন পুলিশের একটি টিম টেকনাফের উনছিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ৫ ব্লকে অভিযান চালিয় ৩ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান বন্দুক (এলজি) ও ১৪৬ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।
আটক রোহিঙ্গারা হলেন উক্ত ক্যাম্পের মনির আহমেদের ছেলে কামাল হোসেন, আব্দুর শুক্কুরের ছেলে অজিউর রহমান ও তাজিমুল্লাহর ছেলে মুজিবুর রহমান।
অতিরিক্ত ডিআইজি আরও জানান, আটক তিনজনই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ আরএসওর সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।