ঠাকুরগাঁওয়ে জনতার হাতে আটক স্ত্রী একটি নীলগাইটি ঠাঁই পেয়েছে গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে। গত শনিবার নীলগাইটিকে পার্কের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
কোয়ারেন্টাইন পর্যায় শেষ হওয়ার পর নীলগাইটিকে সাধারণ বেষ্টনীতে উন্মুক্ত করা হবে। এর আগে গত সোমবার (১৩ নভেম্বর) নীলগাইটি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভারতের সীমানা ঘেঁষা ফকিরভিটা গ্রামে স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়ে। ধরা পড়ার সময় এর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। শারীরিকভাবেও কিছুটা দুর্বল ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বনসংরক্ষক এসিএফ রফিকুল ইসলাম জানান, নীলগাইটি ভারত সীমান্ত পেরিয়ে প্রথমে শালডাঙ্গা গ্রামে প্রবেশ করে। পরে গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে পাশ্ববর্তী ফকিরভিটা গ্রামে চলে যায়।
সেখান থেকে গ্রামবাসীর সহায়তায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সেটিকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় বন বিভাগের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হলে তারা দিনাজপুরের রামসাগর চিড়িয়াখানায় নিয়ে যান। ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যবেক্ষনের জন্য পার্কের একটি প্রশিক্ষিত দল দিনাজপুরে পাঠানো হয়।
তারা প্রাণিটির সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সাফারি পার্কে রাখার বিষয়ে মতামত দেন। সেখান থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নীলগাইটিকে সাফারি পার্কে আনা হয়। তিনি আরও জানায়, নিয়ম অনুযায়ী পার্কে আনা বন্য প্রাণীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখতে হয়। কোয়ারেন্টিনে প্রাণীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। প্রয়োজন হলে কোয়ারেন্টিন সময় বৃদ্ধি করা হয়। বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের (ঢাকা) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, নতুন আনা স্ত্রী নীলগাইটিসহ এখন এ প্রজাতির প্রাণীর সদস্য সংখ্যা ৯টি। এর আগেও পার্কটিতে নীলগাই প্রজাতির প্রাণী বেশ কয়েকবার বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে এদের মধ্যে সাতটি পুরুষ ও ২টি স্ত্রী রয়েছে।