চলতি বিপিএলে প্রথম ৬ ম্যাচের সবগুলোতেই হারে চিত্রনায়ক শাকিব খানের মালিকানাধীন দল ঢাকা ক্যাপিটালস। এরপর চার ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জয় পেল রাজধানীর এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আজ বুধবার দলটির ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের শতকছোঁয়া ইনিংসে চিটাগং কিংসকে হারিয়ে দিলো ঢাকা। উঠে এল পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানে থামে চিটাগং। জবাব দিতে নেমে ১১ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা। ৫৪ বলে ৯০ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। চার মাত্র ৩টি মারলেও সাতটি ছক্কা হাঁকান এই ওপেনার।
১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন লিটন দাস ও তামিম। লিটন ধীরলয়ে খেললেও তামিম ছিলেন আগ্রাসী। উদ্বোধনী জুটিতে ৯ ওভারেই ৭৫ রান যোগ করেন তারা। এই রানে ২৮ বলে ব্যক্তিগত ২৫ রান করে আউট হন লিটন। প্রথম উইকেটের পতনেও তামিম তার রান তোলার গতি কমাননি। তবে আরেক প্রান্তে থাকা ব্যাটার মুনিম শাহরিয়ার বলের চেয়েও কম স্ট্রাইকে ব্যাট করেন। ১১১ রানের মাথায় দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার সময় তার নামের পাশে ১৮ বলে মাত্র ১২ রান।
এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি ঢাকা। সাব্বির রহমানের সঙ্গে ৩৮ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তামিম। ৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাব্বির। আজকের ৯০ রানের মাধ্যমে চলমান বিপিএলে চার শ রানের মাইলফলক অতিক্রম করলেন তামিম। ১০ ম্যাচে ৪৬-এর বেশি গড়ে এখন ৪২০ রান তার। চলতি টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত চারবার পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং নেয় চিটাগং। ওপেনিংয়ে ৪০ রানের জুটি গড়েন অভিজ্ঞ নাঈম ইসলাম ও আফগান তারকা জুবাইদ আকবারি। তবে তাদের ব্যাটিং ছিল বেশ ধীরগতির। এই রান করতে তারা ব্যয় করেন ৭ ওভার ২ বল। ১৯ বলে ২৩ রান করেন তিনি। ফর্মে থাকা গ্রাহাম ক্লার্কও সেট হয়েছিলেন। তবে ১৮ বলে ১৯ রান করে থামতে হয়েছে তাকে। এক শ রানের আগে আউট হন হুসাইন তালাত আর নাঈমও। ৪০ বলে ৫টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রান করেন নাঈম।
শামীম হোসেন, হায়দার আলী আর অধিনায়ক মিথুন দুই অঙ্কের রানের দেখা পেলেও দলের রানের গতি বাড়াতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানে থামে চিটাগং।
৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ঢাকার সবচেয়ে সফল বোলার স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন। ২ উইকেট নিয়েছেন নাজমুজ ইসলামও। ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়েছেন তিনি। কোনো উইকেট না পেলেও দারুণ বোলিং করেছেন ঢাকার মূল ভরসা মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ওভারে মেডেন দেওয়া এই বাঁহাতি পেসারের ইনিংস শেষে বোলিং ফিগার: ৪-১-১৮-০।
১০ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে ঢাকা। ৮ ম্যাচের সবকয়টিতে জিতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রংপুর। ৭ ম্যাচ খেলা ফরচুন বরিশাল ও ৯ ম্যাচ খেলা চিটাগংয়ের পয়েন্ট সমান ১০। তবে রান রেট বিচারে দুইয়ে বরিশাল ও তিনে চিটাগং।