ঢাকা , সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ট্রাম্পকে চিঠি দেবেন ড. ইউনূস’ বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমোদন পেল স্টারলিংক ইসলামী ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটি ভর্তি বাণিজ্য : সাবেক সচিব মোরশেদ ও আইডিয়ালের অধ্যক্ষসহ আসামি ১১ চাকরিচ্যুত বিডিআির সদস্যদের পুনর্বহালের দাবিতে কর্মসূচি পিলখানা হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত জওয়ানরা এখনও বেপরোয়া বিদেশি শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক ৯ এপ্রিল জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজাদের ম্যাচ আয়োজনে কোনো অসুবিধা নেই নির্বাচনের প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলছে: সিইসি ফিলিস্তিনের পশুরাও রেহাই পাচ্ছে না ইসরায়েলি বর্বরতা থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনীতিতে আইএমএফ সন্তুষ্ট: অর্থ উপদেষ্টা

ইসরাইলের যম ছিলেন যে বাংলাদেশি সন্তান

বাংলাদেশের বীর বৈমানিক সাইফুল আজম বিশ্বের সামরিক ইতিহাসে এক বিরল কীর্তির অধিকারী। তিনি একমাত্র বৈমানিক যিনি চারটি ভিন্ন দেশের হয়ে যুদ্ধবিমান উড়িয়েছেন এবং তিনটি ভিন্ন দেশের শত্রুপক্ষের বিমান ভূপাতিত করার অনন্য রেকর্ড গড়েছেন।

তিনি ১৯৪১ সালে বাংলাদেশের পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদানের পর তিনি অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দেন।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে তিনি জর্ডান, ইরাক ও মিশরের পক্ষে যুদ্ধ করেন এবং ইসরাইলের চারটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেন। মাত্র ছয় দিন স্থায়ী হয়েছিল ওই যুদ্ধ, তবে অসম সাহস আর অনন্য রণনৈপুণ্যের জন্য সাইফুল আজম ফিলিস্তিনিদের মনে গেড়ে নিয়েছেন স্থায়ী আসন। যুদ্ধের ৫৩ বছর পরও ২০২০ সালে সাইফুল আজমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন ফিলিস্তিনিরা।

এ কৃতিত্বের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পান এবং বিভিন্ন দেশের সম্মাননা লাভ করেন। তার বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ জর্ডান, ইরাক ও পাকিস্তান সরকার তাকে সামরিক খেতাব দেয়। এছাড়া, বাংলাদেশ সরকারও তাকে স্বাধীনতা পদকে সম্মানিত করে।

সাইফুল আজম ২০২০ সালের ১৪ জুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার অদম্য সাহস ও বীরত্ব আজও বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ট্রাম্পকে চিঠি দেবেন ড. ইউনূস’

ইসরাইলের যম ছিলেন যে বাংলাদেশি সন্তান

আপডেট টাইম : ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের বীর বৈমানিক সাইফুল আজম বিশ্বের সামরিক ইতিহাসে এক বিরল কীর্তির অধিকারী। তিনি একমাত্র বৈমানিক যিনি চারটি ভিন্ন দেশের হয়ে যুদ্ধবিমান উড়িয়েছেন এবং তিনটি ভিন্ন দেশের শত্রুপক্ষের বিমান ভূপাতিত করার অনন্য রেকর্ড গড়েছেন।

তিনি ১৯৪১ সালে বাংলাদেশের পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদানের পর তিনি অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দেন।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে তিনি জর্ডান, ইরাক ও মিশরের পক্ষে যুদ্ধ করেন এবং ইসরাইলের চারটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেন। মাত্র ছয় দিন স্থায়ী হয়েছিল ওই যুদ্ধ, তবে অসম সাহস আর অনন্য রণনৈপুণ্যের জন্য সাইফুল আজম ফিলিস্তিনিদের মনে গেড়ে নিয়েছেন স্থায়ী আসন। যুদ্ধের ৫৩ বছর পরও ২০২০ সালে সাইফুল আজমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন ফিলিস্তিনিরা।

এ কৃতিত্বের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পান এবং বিভিন্ন দেশের সম্মাননা লাভ করেন। তার বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ জর্ডান, ইরাক ও পাকিস্তান সরকার তাকে সামরিক খেতাব দেয়। এছাড়া, বাংলাদেশ সরকারও তাকে স্বাধীনতা পদকে সম্মানিত করে।

সাইফুল আজম ২০২০ সালের ১৪ জুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার অদম্য সাহস ও বীরত্ব আজও বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।