ঢাকা , শনিবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ২২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলের যম ছিলেন যে বাংলাদেশি সন্তান

বাংলাদেশের বীর বৈমানিক সাইফুল আজম বিশ্বের সামরিক ইতিহাসে এক বিরল কীর্তির অধিকারী। তিনি একমাত্র বৈমানিক যিনি চারটি ভিন্ন দেশের হয়ে যুদ্ধবিমান উড়িয়েছেন এবং তিনটি ভিন্ন দেশের শত্রুপক্ষের বিমান ভূপাতিত করার অনন্য রেকর্ড গড়েছেন।

তিনি ১৯৪১ সালে বাংলাদেশের পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদানের পর তিনি অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দেন।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে তিনি জর্ডান, ইরাক ও মিশরের পক্ষে যুদ্ধ করেন এবং ইসরাইলের চারটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেন। মাত্র ছয় দিন স্থায়ী হয়েছিল ওই যুদ্ধ, তবে অসম সাহস আর অনন্য রণনৈপুণ্যের জন্য সাইফুল আজম ফিলিস্তিনিদের মনে গেড়ে নিয়েছেন স্থায়ী আসন। যুদ্ধের ৫৩ বছর পরও ২০২০ সালে সাইফুল আজমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন ফিলিস্তিনিরা।

এ কৃতিত্বের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পান এবং বিভিন্ন দেশের সম্মাননা লাভ করেন। তার বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ জর্ডান, ইরাক ও পাকিস্তান সরকার তাকে সামরিক খেতাব দেয়। এছাড়া, বাংলাদেশ সরকারও তাকে স্বাধীনতা পদকে সম্মানিত করে।

সাইফুল আজম ২০২০ সালের ১৪ জুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার অদম্য সাহস ও বীরত্ব আজও বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ইসরাইলের যম ছিলেন যে বাংলাদেশি সন্তান

আপডেট টাইম : ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের বীর বৈমানিক সাইফুল আজম বিশ্বের সামরিক ইতিহাসে এক বিরল কীর্তির অধিকারী। তিনি একমাত্র বৈমানিক যিনি চারটি ভিন্ন দেশের হয়ে যুদ্ধবিমান উড়িয়েছেন এবং তিনটি ভিন্ন দেশের শত্রুপক্ষের বিমান ভূপাতিত করার অনন্য রেকর্ড গড়েছেন।

তিনি ১৯৪১ সালে বাংলাদেশের পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদানের পর তিনি অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দেন।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে তিনি জর্ডান, ইরাক ও মিশরের পক্ষে যুদ্ধ করেন এবং ইসরাইলের চারটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেন। মাত্র ছয় দিন স্থায়ী হয়েছিল ওই যুদ্ধ, তবে অসম সাহস আর অনন্য রণনৈপুণ্যের জন্য সাইফুল আজম ফিলিস্তিনিদের মনে গেড়ে নিয়েছেন স্থায়ী আসন। যুদ্ধের ৫৩ বছর পরও ২০২০ সালে সাইফুল আজমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন ফিলিস্তিনিরা।

এ কৃতিত্বের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পান এবং বিভিন্ন দেশের সম্মাননা লাভ করেন। তার বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ জর্ডান, ইরাক ও পাকিস্তান সরকার তাকে সামরিক খেতাব দেয়। এছাড়া, বাংলাদেশ সরকারও তাকে স্বাধীনতা পদকে সম্মানিত করে।

সাইফুল আজম ২০২০ সালের ১৪ জুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার অদম্য সাহস ও বীরত্ব আজও বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।