ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ট্রাম্পকে চিঠি দেবেন ড. ইউনূস’ বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমোদন পেল স্টারলিংক ইসলামী ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটি ভর্তি বাণিজ্য : সাবেক সচিব মোরশেদ ও আইডিয়ালের অধ্যক্ষসহ আসামি ১১ চাকরিচ্যুত বিডিআির সদস্যদের পুনর্বহালের দাবিতে কর্মসূচি পিলখানা হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত জওয়ানরা এখনও বেপরোয়া বিদেশি শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক ৯ এপ্রিল জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজাদের ম্যাচ আয়োজনে কোনো অসুবিধা নেই নির্বাচনের প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলছে: সিইসি ফিলিস্তিনের পশুরাও রেহাই পাচ্ছে না ইসরায়েলি বর্বরতা থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনীতিতে আইএমএফ সন্তুষ্ট: অর্থ উপদেষ্টা

জানা গেল ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ

পবিত্র ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আগামী ৬ জুন (শুক্রবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটি। খবর গালফ নিউজের।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মে সন্ধ্যায় হিজরি বছরের শেষ মাস জিলহজের চাঁদ দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি পূর্বাভাস সঠিক হয়, তাহলে ২৮ মে হবে জিলহজ মাসের প্রথম দিন। সেই হিসেব অনুযায়ী, ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) পালিত হবে পবিত্র হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন, আরাফাতের দিন। এর পরদিন, অর্থাৎ ৬ জুন (শুক্রবার) উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা।

আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানিয়েছেন, ২৭ মে সকাল ৭টা ২ মিনিটে চাঁদ উদিত হবে এবং সূর্যাস্তের পর ৩৮ মিনিট পর্যন্ত আকাশে দৃশ্যমান থাকবে। তাই চাঁদ দেখা নিয়ে কোনো জটিলতা না থাকলে নির্ধারিত সময়েই ঈদ উদযাপিত হবে।

যদি জ্যোতির্বিদ্যার পূর্বাভাস বহাল থাকে, তাহলে ৫ জুন বৃহস্পতিবার হবে আরাফাতের দিন। এটি পবিত্র হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এর পরের দিন পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।

তবে যদি ২৭ মে সন্ধ্যায় জিলহজের চাঁদ না দেখা যায় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে ঈদ উদযাপিত হবে ৭ জুন।

সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেদিন চাঁদ দেখা যায় তার পরের দিন বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে চাঁদ দেখা যায়। সে হিসেবে যদি ৬ জুন মধ্যপ্রাচ্যে ঈদ হয়, তাহলে বাংলাদেশে পরদিন অর্থাৎ আগামী ৭ জুন (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

ঈদুল আজহাকে কোরবানির ঈদও বলা হয়। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নিজ ছেলেকে কোরবানি করতে চেয়েছিলেন হযরত ইব্রাহিম (আ.)। যা ছিল আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের একটি নির্দশন।ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর জন্য আত্মত্যাগ ও আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশের এক মহান উৎসব। ইসলামের বর্ণনা অনুযায়ী, আল্লাহর নির্দেশে হযরত ইব্রাহিম (আ.) তাঁর প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি দিতে চেয়েছিলেন। এই ঘটনার স্মরণে বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা পশু কোরবানির মাধ্যমে ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ট্রাম্পকে চিঠি দেবেন ড. ইউনূস’

জানা গেল ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ

আপডেট টাইম : ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

পবিত্র ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আগামী ৬ জুন (শুক্রবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটি। খবর গালফ নিউজের।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মে সন্ধ্যায় হিজরি বছরের শেষ মাস জিলহজের চাঁদ দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি পূর্বাভাস সঠিক হয়, তাহলে ২৮ মে হবে জিলহজ মাসের প্রথম দিন। সেই হিসেব অনুযায়ী, ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) পালিত হবে পবিত্র হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন, আরাফাতের দিন। এর পরদিন, অর্থাৎ ৬ জুন (শুক্রবার) উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা।

আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানিয়েছেন, ২৭ মে সকাল ৭টা ২ মিনিটে চাঁদ উদিত হবে এবং সূর্যাস্তের পর ৩৮ মিনিট পর্যন্ত আকাশে দৃশ্যমান থাকবে। তাই চাঁদ দেখা নিয়ে কোনো জটিলতা না থাকলে নির্ধারিত সময়েই ঈদ উদযাপিত হবে।

যদি জ্যোতির্বিদ্যার পূর্বাভাস বহাল থাকে, তাহলে ৫ জুন বৃহস্পতিবার হবে আরাফাতের দিন। এটি পবিত্র হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এর পরের দিন পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।

তবে যদি ২৭ মে সন্ধ্যায় জিলহজের চাঁদ না দেখা যায় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে ঈদ উদযাপিত হবে ৭ জুন।

সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেদিন চাঁদ দেখা যায় তার পরের দিন বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে চাঁদ দেখা যায়। সে হিসেবে যদি ৬ জুন মধ্যপ্রাচ্যে ঈদ হয়, তাহলে বাংলাদেশে পরদিন অর্থাৎ আগামী ৭ জুন (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

ঈদুল আজহাকে কোরবানির ঈদও বলা হয়। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নিজ ছেলেকে কোরবানি করতে চেয়েছিলেন হযরত ইব্রাহিম (আ.)। যা ছিল আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের একটি নির্দশন।ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর জন্য আত্মত্যাগ ও আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশের এক মহান উৎসব। ইসলামের বর্ণনা অনুযায়ী, আল্লাহর নির্দেশে হযরত ইব্রাহিম (আ.) তাঁর প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি দিতে চেয়েছিলেন। এই ঘটনার স্মরণে বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা পশু কোরবানির মাধ্যমে ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকেন।