বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা হাওর আর পাহাড়বেষ্টিত। এ উপজেলার বাদে অলুয়া গ্রামের বাসিন্দা ইয়াকুত আলী শিক্ষকতার পাশাপাশি নিজ বাড়ির পাশে ৯ একর জমিতে গড়ে তুলেছেন মৎস্য খামার। তার এ খামারে রয়েছে ১২টি পুকুর। এসব পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন তিনি। শুধু মাছ নয়, পুকুরপাড়ে সবজিও চাষ করেছেন। মাছ ও সবজি বিক্রি থেকে অর্থ আসছে। তাছাড়া পুকুরপাড়ের ঘাসে তিনি লালন-পালন করছেন গরু। সফল মাছ চাষি ইয়াকুত আলী পরপর দুইবার উপজেলার সেরা মৎস্য চাষির পুরস্কার পেয়েছেন।
আলাপকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করে ইয়াকুত আলী বলেন, মৎস্য খামার গড়ে তোলার পর পুকুরপাড়ে সবজি ও পাড়ের ঘাসে গরু পালন করতে পারছেন তিনি। শুধু তাই নয়, গরুর গোবর ব্যবহার করে বাড়িতে বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি হয়েছে। এতে নিত্য জ্বালানির সমাধান হচ্ছে। তার মৎস্য খামার গড়ে তোলার পেছনে মূলত অনুপ্রেরণা রয়েছে স্থানীয় যুব উন্নয়ন অধিদফতরের। তিনি মাছ চাষে পরামর্শ নিয়েছেন মৎস্য বিভাগের।
ইয়াকুত আলী বলেন, মাছ চাষ লাভজনক। মাছ চাষে প্রয়োজন জমি, টাকা ও নিজের শ্রম। রাখতে হবে নজর। নিতে হবে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ। এসব মাছে সাফল্য আসা সম্ভব। এভাবে তিনি মাছ করে সাফল্য পাচ্ছেন। আর তার সফলতায় এলাকার বেকার যুবকরাও অনুপ্রাণিত হয়ে মাছ শুরু করেছেন। তারাও সফল হচ্ছেন। তিনি এসব যুবককে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে মাছ করে সফলতা পেয়েছেন নজরুল ইসলাম, আওলাদ মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, খলিলুর রহমান বলেন, ইয়াকুত আলী। উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদফতরের কর্মকর্তা হোসেন শাহ বলেন, প্রভাষক ইয়াকুত আলী কঠোর পরিশ্রমী। তিনি নিজ বাড়িতে মৎস্য খামার গড়ে তুলেছেন। মাছ চাষ করে হয়েছেন সফল। তার বাড়িতে শুধু মৎস্য খামারই নয়, সবজি চাষ হচ্ছে। পুকুরপাড়ের ঘাসে তিনি গরু পালন করছেন। এ গরুর গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করেছেন। প্লান্টের ব্যবহৃত গোবর থেকে তিনি কম্পোস্ট সার তৈরি করতে পারছেন। এ সার দিয়ে বিষমুক্ত ফসল চাষ করছেন। তার বাড়িতে রয়েছে প্রায় নব ধরনের ফলের গাছ। এতে বলা চলে এটি আদর্শ বাড়ি। তার এ সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার বেকার যুবকরা মৎস্য চাষে এগিয়ে এসেছেন।