ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

খোঁয়াড়ে থাকি তাই ওজন এক কেজি বেড়েছে: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, যখন স্পিকার ছিলাম তখন ওজন ছিল ৬৮ কেজি। আর এই কয়েক বছরে এক কেজি বেড়েছে। কারণ খোঁয়াড়ের মধ্যে (নিরাপত্তা বলয়ে) থাকি তো।
তিনি নিজেকে এখনও এনালগ দাবি করে বলেন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এগুলো বুঝতেই পারি না। এগুলো এখনও আমার কাছে ‘আন নোয়িং’ (অপরিচিত)। প্যান্টের পকেট থেকে নিজের মোবাইল ফোন সেট বের করে তিনি দেখান। বলেন, ‘আমার মোবাইলটাও এনালগ। স্মার্টফোন না। স্মার্ট ফোন একটা টিপলে আর একটা আহে’। সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভালোবাসা বেশ পুরনো। যখন তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার ছিলেন তখন থেকেই সাংবাদিকদের প্রতি হৃদ্যতার ছাপ দেখা যায়। সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে সংসদের ৬ষ্ঠ তলায় সংবাদিক লাউঞ্জে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে আসেন এবং কিছু সময় অবস্থান করে তাদের খোঁজখবর নেন। কিছু সময় অবস্থান করে ৪টা ৪০ মিনিটে বেরিয়ে যান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড আমি বুঝি না। আমি টেহাও জমা দেই চেকের মাধ্যমে।’ এ সময় একজন সাংবাদিক বলেন, ‘স্যার সরকার তো ডিজিটাল।’ জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তো বাবা ডিজিটাল না, এনালগ।’ রাষ্ট্রপতি কুশলাদি বিনিময় করার সময় একজন সাংবাদিক তার জীবনী লেখার কথা জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার আগে জিল্লুর সাহেব শেষ করতে পারেন নাই, মারা গেছেন। আমি শুরু করেছি, মরার আগে করতে পারব কিনা দেখি।’
এ সময় তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সাংবাদিকের কুশল জানতে চান। সাংবাদিকরাও রাষ্ট্রপতিকে কাছে পেয়ে তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন এখান থেকে যাই, তখন ছিলাম ৬৮ কেজি, এখন ৬৯ কেজি।’ এই কয়েক বছরে এক কেজি বাড়ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এই এক কেজি বাড়ছে খোঁয়াড়ের (নিরাপত্তা বলয়) মধ্যে থাকি তো। খোঁয়াড়ের মধ্যে থাকলে ওজন বাড়ে।’
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা

খোঁয়াড়ে থাকি তাই ওজন এক কেজি বেড়েছে: রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ০২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০১৬
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, যখন স্পিকার ছিলাম তখন ওজন ছিল ৬৮ কেজি। আর এই কয়েক বছরে এক কেজি বেড়েছে। কারণ খোঁয়াড়ের মধ্যে (নিরাপত্তা বলয়ে) থাকি তো।
তিনি নিজেকে এখনও এনালগ দাবি করে বলেন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এগুলো বুঝতেই পারি না। এগুলো এখনও আমার কাছে ‘আন নোয়িং’ (অপরিচিত)। প্যান্টের পকেট থেকে নিজের মোবাইল ফোন সেট বের করে তিনি দেখান। বলেন, ‘আমার মোবাইলটাও এনালগ। স্মার্টফোন না। স্মার্ট ফোন একটা টিপলে আর একটা আহে’। সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভালোবাসা বেশ পুরনো। যখন তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার ছিলেন তখন থেকেই সাংবাদিকদের প্রতি হৃদ্যতার ছাপ দেখা যায়। সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে সংসদের ৬ষ্ঠ তলায় সংবাদিক লাউঞ্জে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে আসেন এবং কিছু সময় অবস্থান করে তাদের খোঁজখবর নেন। কিছু সময় অবস্থান করে ৪টা ৪০ মিনিটে বেরিয়ে যান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড আমি বুঝি না। আমি টেহাও জমা দেই চেকের মাধ্যমে।’ এ সময় একজন সাংবাদিক বলেন, ‘স্যার সরকার তো ডিজিটাল।’ জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তো বাবা ডিজিটাল না, এনালগ।’ রাষ্ট্রপতি কুশলাদি বিনিময় করার সময় একজন সাংবাদিক তার জীবনী লেখার কথা জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার আগে জিল্লুর সাহেব শেষ করতে পারেন নাই, মারা গেছেন। আমি শুরু করেছি, মরার আগে করতে পারব কিনা দেখি।’
এ সময় তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সাংবাদিকের কুশল জানতে চান। সাংবাদিকরাও রাষ্ট্রপতিকে কাছে পেয়ে তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন এখান থেকে যাই, তখন ছিলাম ৬৮ কেজি, এখন ৬৯ কেজি।’ এই কয়েক বছরে এক কেজি বাড়ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এই এক কেজি বাড়ছে খোঁয়াড়ের (নিরাপত্তা বলয়) মধ্যে থাকি তো। খোঁয়াড়ের মধ্যে থাকলে ওজন বাড়ে।’