পীর হাবিবুর রহমান (ফেসবুক স্ট্যাটাস):
বুঝলাম না হঠাৎ কথা নাই বার্তা নাই আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সরকার ও জোটের শরীক জাসদকে একহাত নিলেন!আকস্মিক! রাজনীতিতে রহস্যময়তা! কেন এমনটা? জাসদকে মন্ত্রীত্বদানে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে!কেন করতে হবে। স্বাধীনতা উত্তর জাসদ রাজনীতির চিত্র ও অভিজ্ঞতা নিয়েই কি তাদের জোটে ও সরকারে নেয়া হয়নি? ৯৬সালে রাজনৈতিক ঐক্য ছাড়াইতো সরকার গঠনের স্বার্থে জাসদের জন্মকালীন সাধারন সম্পাদক আ স ম আব্দুর রবকে মন্ত্রীসভায় নেয়া হয়! হাসানুল হক ইনু তো ১৪দল গঠনে ক্যাটালিস্টের ভূমিকা নিয়েছিলেন। আন্দোলনের পথে শরিকানা নিয়ে নির্বাচনে আসন লাভ করে এমপি মন্ত্রী হয়েছেন। সরকারের হয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে নিবির যোগাযোগও তার।বাগ্মিতার জন্য সরকার বিরেধী রাজনৈতিক শক্তির কা্ছে নিন্দিতও। তাহলে! এখনো জোট আছে,এখনো সরকারে আছেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সৎ পিতার সৎ সন্তান হিসেবে ইমেজ থাকলেও আওয়ামী লীগের মতোন বৃহৎ দলের ভাগ্যবান সাধারন সম্পাদক। যাকে দলের নেতা কর্মি ও পার্টি অফিস রোজ দর্শন দিতে হয় না । আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্হা ইউপি নির্বাচনের পর কোথায় সবাই জানেন। ঐক্যের কথা বলা হলেও মাঠে দলের ঐক্য কি রাজনৈতিক কর্মসূচীও নেই। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে কত স্রোত বইছে। সেখানে দল ও জোটের ঐক্য সুসংহতই বড় দাবি সরকারপন্হীদের ভিতর। সেখানে খোদ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ তো আর বেহুদার মতোন এমন বক্তব্য দেননি। তাহলে এর ভিতরের অন্তর্নিহিত অর্থ কি?কি এর শানে নুযুল? এ প্রশ্নই উকি দেয় মাথায়! নাকি সর্বত্র অভিভাবক্তহীনতা? সমন্বয়হীনতা? নাকি চলমান ঘটনাপ্রবাহ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দেয়া? না, রাজনীতির অন্দরে কোন খেলা! কি মনে হয় আপনাদের? সরকার বিরোধী শক্তি যেখানে ময়দানে ধূসর, সেখানে ভিতরে এ কোন বিতর্ক?