বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘প্রতিটি ঘর ২০২১ সালের মধ্যে আমরা আলোকিত করেছি। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, কুতুবদিয়ার চরাঞ্চল থেকে শুরু করে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে।’
আজ সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুতের সঙ্গে আরেকটি বড় উদাহরণ দিতে চাই। বাংলাদেশ বিশ্বে বিশেষ করে সোলার হোম সিস্টেমে এখন আমরা চ্যাম্পিয়ন লাভ করেছি। প্রায় ৫০-৫২ লাখ ঘরে আমাদের সোলার বাতি কাজ করছে।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘অ্যাফোর্টিবিলিটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে আমরা বিদ্যুৎ অ্যাফোর্টিবল করতে পারব, কীভাবে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পারি, কীভাবে বিদ্যুৎ আমরা রিলায়েবল রাখতে পারি- এ তিন জিনিস মাথায় রেখে আমরা আবার একটা রিভিউ মাস্টারপ্ল্যান করেছি। যেকানো বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে ধীরে ধীরে। বিদ্যুৎকে আরও বেশি গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য মহাপরিকল্পনা নিয়েছি গ্যাস ক্ষেত্রে।’
তিনি বলেন, ‘গ্যাসের অনুসন্ধান বাড়ানোর জন্য আমরা এরই মধ্যে ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছি। এরই মধ্যে পাঁচটি গ্যাসফিল্ড বিশেষ করে ভোলায়, শাহাজাদপুর, ইলিশায় নতুনভাবে গ্যাস আবিস্কৃত হয়েছে। সেখানকার গ্যাস কীভাবে আমরা বরিশাল পর্যন্ত নিয়ে পটুয়াখালীসহ যশোরে সংযোগ দেব এবং যশোরের সঙ্গে কীভাবে আমরা রংপুরের গ্যাস পাইপলাইনের সঙ্গে সংযোগ করব তারও ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘ঢাকার থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে শরীয়তপুর, মাদারীপুর- অংশে গ্যাস লাইন নিয়ে বরিশালের সঙ্গে সংযোগ করব। অর্থাৎ মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বৃহত্তর ফরিদপুরে যেসব শিল্প এলাকা আছে সেখানে যেন আমরা গ্যাসের সংযোগ দিতে পারি তারও আমরা ব্যবস্থা করছি। নতুন করে প্রায় ৪২ ইঞ্চি দুটি পাইপ লাইন চট্টগ্রাম থেকে তৈরি হচ্ছ, যাতে ঢাকায় যে গ্যাসের অভাব দেখা গেছে সেটি আমরা সম্পন্ন করতে পারি।’