ঢাকা , সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোরো ধান নিয়ে বিপাকে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষক

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নওগাঁর মান্দায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বরেন্দ্র খ্যাত নিম্ন অঞ্চলের কৃষকরা। দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেকের ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। আবার অনেকেই ধান কাটার পরেও মাড়াইয়ের কাজ করতে পারছেন না।

বাবুল হোসেন, আবদুল করিমসহ অনেক স্থানীয় কৃষক জানান, বৃষ্টির পানিতে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার শিবনদী এলাকায় পানি বেড়ে বোরো ধানের জমি তলিয়ে গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা। শিবনদী সংলগ্ন মান্দার বিলসহ চৌবাড়িয়ার আশেপাশে, ঘোনা, কুরকুচি, শালদহ, রুয়াই ও শঙ্করপুর এলাকার অনেক ধানক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

শিবনদী সংলগ্ন বিল ধারের ফসল এখন পানির নিচে। শ্রমিক সংকটের কারণে বিলের উঁচু এলাকার জমির ধানও কাটতে পারছেন না কৃষকরা। তবে কোনো কোনো কৃষককে কোমর পানিতে নেমে পানিতে তলিয়ে যাওয়া ধান কাটতে দেখা গেছে। কেউ কেউ আবার ধান কেটে নৌকাযোগে বাঁধে নিয়ে এসে মাড়াই করছেন। আবার যেসব স্থানের কৃষকের ধান পুরোপুরি তলিয়ে গেছে তারা ফসলের আশা ছেড়েই দিয়েছেন। সোনার ফসল হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।

তার ওপর গত শুক্রবার সকালে কালবৈশাখীর ভারী বর্ষনে অনেকেই ধানের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। যেমন- কুরকুচি গ্রামের কৃষক নূর মোহাম্মদ মৃধা। তার প্রায় চার বিঘা বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এমন কৃষক একজন নয়, বহু।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বোরো ধান নিয়ে বিপাকে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষক

আপডেট টাইম : ১১:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মে ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নওগাঁর মান্দায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বরেন্দ্র খ্যাত নিম্ন অঞ্চলের কৃষকরা। দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেকের ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। আবার অনেকেই ধান কাটার পরেও মাড়াইয়ের কাজ করতে পারছেন না।

বাবুল হোসেন, আবদুল করিমসহ অনেক স্থানীয় কৃষক জানান, বৃষ্টির পানিতে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার শিবনদী এলাকায় পানি বেড়ে বোরো ধানের জমি তলিয়ে গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা। শিবনদী সংলগ্ন মান্দার বিলসহ চৌবাড়িয়ার আশেপাশে, ঘোনা, কুরকুচি, শালদহ, রুয়াই ও শঙ্করপুর এলাকার অনেক ধানক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

শিবনদী সংলগ্ন বিল ধারের ফসল এখন পানির নিচে। শ্রমিক সংকটের কারণে বিলের উঁচু এলাকার জমির ধানও কাটতে পারছেন না কৃষকরা। তবে কোনো কোনো কৃষককে কোমর পানিতে নেমে পানিতে তলিয়ে যাওয়া ধান কাটতে দেখা গেছে। কেউ কেউ আবার ধান কেটে নৌকাযোগে বাঁধে নিয়ে এসে মাড়াই করছেন। আবার যেসব স্থানের কৃষকের ধান পুরোপুরি তলিয়ে গেছে তারা ফসলের আশা ছেড়েই দিয়েছেন। সোনার ফসল হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।

তার ওপর গত শুক্রবার সকালে কালবৈশাখীর ভারী বর্ষনে অনেকেই ধানের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। যেমন- কুরকুচি গ্রামের কৃষক নূর মোহাম্মদ মৃধা। তার প্রায় চার বিঘা বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এমন কৃষক একজন নয়, বহু।