ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: ছেলের হত্যার বিচার চান মা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ২০০৪ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড বোমা ছোড়া হয়। নিজের জীবনকে বাজি রেখে গ্রেনেডকে প্রতিহত করে শেখ হাসিনার জীবন বাঁচিয়েছিল কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের হারুন-অর-রশিদের কৃতি সন্তান মাহাবুবুর রহমান। গ্রামের পিতা-মাতার চরম আনুগত্যময় সন্তান, দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে বেড়ে ওঠা মাহবুব ছিলেন ছেলেবেলা থেকেই সাহসী ও পরোপকারী।

যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি পায় এবং অবসরে গিয়ে পরবর্তীতে নিযুক্ত হন জননেত্রী শেখ হাসিনার ৪০ জন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে গর্বিত একজন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাহবুব তার দায়িত্ব পালন করে গেছেন একনিষ্ঠভাবে।

মাহাবুবের মা হাসিনা বেগম বলেন, ফটো তুলে কি হবে এই মাস আসলিই সামবাদিকরা (সাংবাদিক) আইসে আরো জ্বালা বাড়ায় দেয়। কেউ কি আমরা ছেলেকে আইনে দিতি পারবি। যা যাওয়ার তো আমারই গ্যাছে আপনারা কি ফিরি দিতি পারবেন।

এসময় ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে তিনি জানান, সরকারের ১১ বছর চলে যাচ্ছে, কিন্তু তার ছেলে হত্যার বিচার হল না। মাহাবুবের বাবা হারুন-অর-রশিদ বলেন, আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই, বিচার হলে আমি মরেও শাান্তি পেতাম। তিনি মাহাবুবের নামে ১ টি রাস্তা ও কবরস্থান এর চারপাশে প্রাচীরের দাবি করেন।

জানা যায়, মাহবুবের স্ত্রী শামীমা আক্তার আছমা ও তার দুই ছেলে আশিক ও রবিন ঢাকাতে থাকে। প্রথম প্রথম মাহবুবের মা-বাবার সাথে যোগাযোগ রাখলেও এখন আর যোগাযোগ রাখেন না। আশিক বুয়েট থেকে পাশ করেছে ও রবিন ঢাকাতে মেডিকেলে পড়াশোনা করে।

মাহবুবের পরিবারের হালচিত্রের কথা সর্ম্পকে আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত মাহাবুব আমাদের গর্ব। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথম থেকে মাহবুবের বাবা মা, স্ত্রীসহ পরিবারকে দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছেন।

তার ছোট ভাইকে উপজেলা পরিষদে চাকরি দেওয়া হয়েছে, বোনের জেলা প্রশাসক এর দপ্তরে চাকরি হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ও আমরা দলের পক্ষ থেকে তার পরিবার সাহায্য করে যাচ্ছি এ ধারা চলমান থাকবে। তার নামে একটি রাস্তা করার প্রক্রিয়া চলছে। ২১ আগস্ট উপলক্ষ্যে দলের পক্ষ থেকে উপজেলার বাসষ্টান্ডে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল এবং কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নব যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাঈদ মোমেন মজুমজার বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিজের জীবন দিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করে যে অবদান রেখেছে আমরা তা শ্রদ্ধা ভরে স্বরণ করি। আমি এখানে নতুন যোগদার করেছি জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে ও উপজেলা চেয়ারম্যান এর সাথে পরামর্শ করে তার পরিবারের জন্য সরকারিভাবে যতটুকু সহযোগিতা করার করবো।

তিনি আরো বলেন, মাহাবুবের পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: ছেলের হত্যার বিচার চান মা

আপডেট টাইম : ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ২০০৪ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড বোমা ছোড়া হয়। নিজের জীবনকে বাজি রেখে গ্রেনেডকে প্রতিহত করে শেখ হাসিনার জীবন বাঁচিয়েছিল কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের হারুন-অর-রশিদের কৃতি সন্তান মাহাবুবুর রহমান। গ্রামের পিতা-মাতার চরম আনুগত্যময় সন্তান, দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে বেড়ে ওঠা মাহবুব ছিলেন ছেলেবেলা থেকেই সাহসী ও পরোপকারী।

যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি পায় এবং অবসরে গিয়ে পরবর্তীতে নিযুক্ত হন জননেত্রী শেখ হাসিনার ৪০ জন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে গর্বিত একজন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাহবুব তার দায়িত্ব পালন করে গেছেন একনিষ্ঠভাবে।

মাহাবুবের মা হাসিনা বেগম বলেন, ফটো তুলে কি হবে এই মাস আসলিই সামবাদিকরা (সাংবাদিক) আইসে আরো জ্বালা বাড়ায় দেয়। কেউ কি আমরা ছেলেকে আইনে দিতি পারবি। যা যাওয়ার তো আমারই গ্যাছে আপনারা কি ফিরি দিতি পারবেন।

এসময় ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে তিনি জানান, সরকারের ১১ বছর চলে যাচ্ছে, কিন্তু তার ছেলে হত্যার বিচার হল না। মাহাবুবের বাবা হারুন-অর-রশিদ বলেন, আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই, বিচার হলে আমি মরেও শাান্তি পেতাম। তিনি মাহাবুবের নামে ১ টি রাস্তা ও কবরস্থান এর চারপাশে প্রাচীরের দাবি করেন।

জানা যায়, মাহবুবের স্ত্রী শামীমা আক্তার আছমা ও তার দুই ছেলে আশিক ও রবিন ঢাকাতে থাকে। প্রথম প্রথম মাহবুবের মা-বাবার সাথে যোগাযোগ রাখলেও এখন আর যোগাযোগ রাখেন না। আশিক বুয়েট থেকে পাশ করেছে ও রবিন ঢাকাতে মেডিকেলে পড়াশোনা করে।

মাহবুবের পরিবারের হালচিত্রের কথা সর্ম্পকে আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত মাহাবুব আমাদের গর্ব। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথম থেকে মাহবুবের বাবা মা, স্ত্রীসহ পরিবারকে দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছেন।

তার ছোট ভাইকে উপজেলা পরিষদে চাকরি দেওয়া হয়েছে, বোনের জেলা প্রশাসক এর দপ্তরে চাকরি হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ও আমরা দলের পক্ষ থেকে তার পরিবার সাহায্য করে যাচ্ছি এ ধারা চলমান থাকবে। তার নামে একটি রাস্তা করার প্রক্রিয়া চলছে। ২১ আগস্ট উপলক্ষ্যে দলের পক্ষ থেকে উপজেলার বাসষ্টান্ডে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল এবং কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নব যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাঈদ মোমেন মজুমজার বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিজের জীবন দিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করে যে অবদান রেখেছে আমরা তা শ্রদ্ধা ভরে স্বরণ করি। আমি এখানে নতুন যোগদার করেছি জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে ও উপজেলা চেয়ারম্যান এর সাথে পরামর্শ করে তার পরিবারের জন্য সরকারিভাবে যতটুকু সহযোগিতা করার করবো।

তিনি আরো বলেন, মাহাবুবের পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।