ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের মানুষের নিরাপদ বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে উপর জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দেশের শতভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‌‘দেশের ৮৭ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানির আওতায় এসেছে। শতভাগ মানুষ যাতে সুপেয় পানি পায় সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি কীভাবে আরো বেশি করে ধরে রাখা যায় তার পরিকল্পনা নিতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব পানি’ দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ‘দিনে দিনে পানির জায়গাগুলো সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। নগরায়ন ও আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির ক্ষতির বিষয়টা বিবেচনা করতে হবে।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যত নগরায়ণ আসছে, প্রযুক্তি ব্যবহারে নদীর দূষণ বাড়ছে। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে অনেক সময় বিল, পুকুর ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়, তাই অনেক সময় প্রয়োজনীয় পানিও পাওয়া যায় না।’তিনি আরও বলেন, ‘শহরে অনেক সময় আগুন লাগলে পানি পাওয়া যায় না। আগে পান্থপথে একটা বিল ছিল। কিন্তু বিল ভরাট করে নগরায়ণ করার ফলে বসুন্ধরা শপিং মলে আগুন লাগার পর পানি পেতে কষ্ট হয়েছে।

পরে সোনারগাঁও সুইমিং পুল থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভানো হয়।’‘উন্নয়নের নামে পুকুর-খাল ভরাট করা যাবে না’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিল্প-কারখানার জন্য অনেক সময় ভরাটের প্রয়োজন হলেও বিকল্প জলাধার সৃষ্টি করতে হবে।’প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা জাতীয় পানি নীতি ১৯৯৯ প্রণয়ন করি, বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছি। এরইমধ্যে ৬৪ লাখ হেক্টর জমি বন্যা নিয়ন্ত্রণ এলাকায় এনেছি।’অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ার বক্তব্য দেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

দেশের মানুষের নিরাপদ বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে উপর জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দেশের শতভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‌‘দেশের ৮৭ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানির আওতায় এসেছে। শতভাগ মানুষ যাতে সুপেয় পানি পায় সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি কীভাবে আরো বেশি করে ধরে রাখা যায় তার পরিকল্পনা নিতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব পানি’ দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ‘দিনে দিনে পানির জায়গাগুলো সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। নগরায়ন ও আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির ক্ষতির বিষয়টা বিবেচনা করতে হবে।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যত নগরায়ণ আসছে, প্রযুক্তি ব্যবহারে নদীর দূষণ বাড়ছে। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে অনেক সময় বিল, পুকুর ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়, তাই অনেক সময় প্রয়োজনীয় পানিও পাওয়া যায় না।’তিনি আরও বলেন, ‘শহরে অনেক সময় আগুন লাগলে পানি পাওয়া যায় না। আগে পান্থপথে একটা বিল ছিল। কিন্তু বিল ভরাট করে নগরায়ণ করার ফলে বসুন্ধরা শপিং মলে আগুন লাগার পর পানি পেতে কষ্ট হয়েছে।

পরে সোনারগাঁও সুইমিং পুল থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভানো হয়।’‘উন্নয়নের নামে পুকুর-খাল ভরাট করা যাবে না’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিল্প-কারখানার জন্য অনেক সময় ভরাটের প্রয়োজন হলেও বিকল্প জলাধার সৃষ্টি করতে হবে।’প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা জাতীয় পানি নীতি ১৯৯৯ প্রণয়ন করি, বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছি। এরইমধ্যে ৬৪ লাখ হেক্টর জমি বন্যা নিয়ন্ত্রণ এলাকায় এনেছি।’অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ার বক্তব্য দেন।