ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি মঙ্গলবার

ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদনের শুনানি হবে আগামী মঙ্গলবার। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলামের আদালতে এই শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মফিজুর রহমান।
এর আগে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ঠিক থাকলেও চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির আদালত বর্জন কর্মসূচির কারণে তা হয়নি। আজ আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়।

গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম। এরপর থেকে এই নেতা চট্টগ্রাম জেলা কারাগারেই রয়েছেন।

সেদিন আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজনভ্যান আটকে রেখে বিক্ষোভ করে চিন্ময় কৃষ্ণের ভক্ত ও অনুসারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে, লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময়কে কারাগারে নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সংঘর্ষও হয়।

পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই আদালতের পাশে সেবক কলোনীর কাছে উদ্ধার হয় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের এক আইনজীবীর মরদেহ। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে একটি হত্যা মামলা। এছাড়া পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় আলাদা তিনটি মামলা হয়েছে, পরিবারের পক্ষ থেকেও হয়েছে আরেকটি মামলা। এসব মামলায় অন্তত দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ৫০ জনকে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি মঙ্গলবার

আপডেট টাইম : ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদনের শুনানি হবে আগামী মঙ্গলবার। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলামের আদালতে এই শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মফিজুর রহমান।
এর আগে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ঠিক থাকলেও চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির আদালত বর্জন কর্মসূচির কারণে তা হয়নি। আজ আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়।

গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম। এরপর থেকে এই নেতা চট্টগ্রাম জেলা কারাগারেই রয়েছেন।

সেদিন আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজনভ্যান আটকে রেখে বিক্ষোভ করে চিন্ময় কৃষ্ণের ভক্ত ও অনুসারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে, লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময়কে কারাগারে নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সংঘর্ষও হয়।

পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই আদালতের পাশে সেবক কলোনীর কাছে উদ্ধার হয় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের এক আইনজীবীর মরদেহ। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে একটি হত্যা মামলা। এছাড়া পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় আলাদা তিনটি মামলা হয়েছে, পরিবারের পক্ষ থেকেও হয়েছে আরেকটি মামলা। এসব মামলায় অন্তত দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ৫০ জনকে।