ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাথরুম থেকে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাথরুম থেকে মা-মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে এপিবিএন পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার সকালে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ-৭৫ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ( এপিবিএন ) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক ( এডিআইজি ) মো. সিরাজ আমিন।

নিহতরা হলেন উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একই এলাকার মৃত রশিদ আহম্মদের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৫৫) এবং তার মেয়ে সুবাইদা বিবি (১৮)।

স্থানীয়দের বরাতে সিরাজ আমিন বলেন, ‘ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত রশিদ আহম্মদের ছেলে নুরুল হক ও রবিউল আলম ফজরের নামাজ আদায়ে ঘুম থেকে জেগে উঠেন। এ সময় তারা পাশের মা ও বোনের কক্ষে বাল্ব জ্বালানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ওই কক্ষে উঁকি দিয়ে তাদের দেখতে না পেয়ে আশাপাশে খুঁজাখুঁজি করেন। এক পর্যায়ে শেডের পাশে একটি বাথরুম ভেতর থেকে বন্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ জাগে। পরে পাশের আরেকটি বাথরুম থেকে উঁকি দিয়ে মা ও বোনকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।’

এ সময় তাদের চিৎকারে আশাপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বাথরুমটির দরজা খুলে মা ও বোনের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

এপিবিএন পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তার আগেই স্থানীয়রা মা-মেয়ের মৃতদেহ বাথরুমের ভিতর থেকে শেডের পাশে নিয়ে আসে। পরে উখিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে।’

এদিকে নিহত মমতাজ বেগমের ছেলে নুরুল হক ও রবিউল আলমের বরাতে সিরাজ আমিন জানান, তাদের মা ও বোন গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া, জ্বর ও গলা ব্যাথায় ভুগছিলেন।

এদিকে উখিয়া থানার ওসি মো. আরিফ হোছাইন জানান, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর পুলিশ লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে মমতাজ বেগমের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে নিহত সুবাইদা বিবির কপালে লালচে দাগ, গলায় সামান্য দাগ এবং কানের পিছনে সামান্য রক্ত দেখা গেছে।

এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি হত্যাকান্ড তা জানতে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আরিফ জানান, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ক্যাটরিনার হাতে ২০ বার থাপ্পড় খেয়েছিলেন ইমরান খান

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাথরুম থেকে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার

আপডেট টাইম : ২ ঘন্টা আগে

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাথরুম থেকে মা-মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে এপিবিএন পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার সকালে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ-৭৫ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ( এপিবিএন ) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক ( এডিআইজি ) মো. সিরাজ আমিন।

নিহতরা হলেন উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একই এলাকার মৃত রশিদ আহম্মদের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৫৫) এবং তার মেয়ে সুবাইদা বিবি (১৮)।

স্থানীয়দের বরাতে সিরাজ আমিন বলেন, ‘ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত রশিদ আহম্মদের ছেলে নুরুল হক ও রবিউল আলম ফজরের নামাজ আদায়ে ঘুম থেকে জেগে উঠেন। এ সময় তারা পাশের মা ও বোনের কক্ষে বাল্ব জ্বালানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ওই কক্ষে উঁকি দিয়ে তাদের দেখতে না পেয়ে আশাপাশে খুঁজাখুঁজি করেন। এক পর্যায়ে শেডের পাশে একটি বাথরুম ভেতর থেকে বন্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ জাগে। পরে পাশের আরেকটি বাথরুম থেকে উঁকি দিয়ে মা ও বোনকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।’

এ সময় তাদের চিৎকারে আশাপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বাথরুমটির দরজা খুলে মা ও বোনের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

এপিবিএন পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তার আগেই স্থানীয়রা মা-মেয়ের মৃতদেহ বাথরুমের ভিতর থেকে শেডের পাশে নিয়ে আসে। পরে উখিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে।’

এদিকে নিহত মমতাজ বেগমের ছেলে নুরুল হক ও রবিউল আলমের বরাতে সিরাজ আমিন জানান, তাদের মা ও বোন গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া, জ্বর ও গলা ব্যাথায় ভুগছিলেন।

এদিকে উখিয়া থানার ওসি মো. আরিফ হোছাইন জানান, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর পুলিশ লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে মমতাজ বেগমের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে নিহত সুবাইদা বিবির কপালে লালচে দাগ, গলায় সামান্য দাগ এবং কানের পিছনে সামান্য রক্ত দেখা গেছে।

এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি হত্যাকান্ড তা জানতে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আরিফ জানান, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।