প্রিয় নেতার প্রতি ভালোবাসা আর স্মৃতিকে মানুষ বিভিন্ন ভাবে আকঁড়ে ধরে রাখেন। তেমনিভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দিকনির্দেশনামূলক একটি চিঠি পরম যত্নে দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে আগলে রেখেছেন মো. গিয়াস উদ্দিন নামের এক বৃদ্ধ।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার বর্শিকুড়া গ্রামে তার বাড়ি।
জানা যায়, জিয়া পাগল মো. গিয়াস উদ্দিন ১৯৭৮ সালে শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সে সময় জিয়ার হাতে গড়া রাজনৈতিক সংগঠন ‘জাগদল’ থেকে শুরু করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ‘বিএনপি’র একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে অদ্যাবধি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ তার খোঁজ খবর রাখুক বা না রাখুক তিনি কিন্তু নিজ উদ্যোগেই পথে প্রান্তরে, হাট বাজার ও হোটেল রেস্টুরেন্টে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সফলতা ও ফিরিস্তি তুলে ধরছেন।
তবে তার আক্ষেপ এতদিনেও তিনি স্থানীয় উপজেলা কিংবা জেলা বিএনপির হাইকমান্ডের কাছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের একনিষ্ঠ কর্মী কিংবা ভক্ত হিসেবে কোনো স্বীকৃতি পাননি। পাননি নূন্যতম ওয়ার্ড পর্যায়ের কোনো দলীয় পদ-পদবি।
জিয়া পাগল গিয়াস উদ্দিন প্রসঙ্গে সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মাসুদ আলম, শাহেদল ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ উদ্দিন ও পাশের ধনকুড়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু বকর সিদ্দিক বাক্কার জানান, ছো বেলা থেকেই দেখে আসছি গিয়াস উদ্দিন একজন জিয়া পাগল মানুষ। তিনি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য কিছুই বোঝেন না। এমন একজন একনিষ্ঠ বিএনপির কর্মী পাওয়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ সমাজে খুবই দুস্কর।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে উপজেলার আদু মাষ্টারের বাজারে কথা হলে জিয়ার সৈনিক মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমি ১৯৭৮ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ০৩ নভেম্বর পর্যন্ত জিয়ার হাতে গড়া সংগঠন গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের সদস্য হিসেবে যোগ্যতা অর্জনের জন্য রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। এরই ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ১৯৭৯ সালের ১৪ জুলাই জিয়াউর রহমানের স্বাক্ষরিত একটি দিকনির্দেশনা মূলক ও অনুপ্রেরণা মূলক চিঠি পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। সেই থেকেই ওই চিঠিটি পরম যত্নে লালন করে বিগত ৪৬ বছর ধরেই জিয়ার কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি জনগণের কাছে তুলে ধরছি।’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘একদিন হয়তো তার ওই পরিশ্রমের যোগ্য মূল্যায়ন তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাবেন। তবে সচেতন মহলের প্রত্যাশা,জিয়াউর রহমানের একজন ভক্ত হিসেবে স্থানীয় বিএনপির হাইকমান্ডের নেতৃবৃন্দ গিয়াস উদ্দিনের খোঁজ খবর রাখবেন এবং তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করবেন।’