বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সারাবিশ্বে ক্যাফেইনভিত্তিক কোমল পানীয়র জন্য জনপ্রিয় কোকাকোলা এবার পানীয়তে গাঁজার নির্যাস যোগ করতে যাচ্ছে। কোকাকোলা বলছে, গাঁজা সংশ্লিষ্ট পানীয়ের বাজার পর্যবেক্ষণ করছে তারা। কানাডাভিত্তিক বিএনএন ব্লুমবার্গ টিভি এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়াও স্কাইনিউজ, ম্যাশেবল, এবিসি নিউজ সহ বিশ্বের প্রথম সারির গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
বলা হচ্ছে, স্থানীয় উৎপাদক ‘অরোরা ক্যানাবিস’ এর সঙ্গে গাঁজার স্বাদযুক্ত কোমল পানীয় উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা করছে কোকাকোলা। তবে গ্রাহকদের মাদকাসক্ত করতে নয়, তাদের শারীরিক যন্ত্রণা লাঘব করাই পানীয় তৈরিকারীদের লক্ষ্য।
কোকাকোলা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অনেক উৎপাদকের মতো আমরাও পর্যবেক্ষণ করছি যে, কোমল পানীয় তৈরির ক্ষেত্রে নন-সাইকোঅ্যাক্টিভ ক্যানাবিডিওল বা চিত্ত উত্তেজিত করে না এমন গাঁজা জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার কতটা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ক্যানাবিডিওল ক্যানাবিস বা গাঁজার একটি উপাদান, যা প্রদাহ, ব্যথা বা খিঁচুনির চিকিৎসার ক্ষেত্রে আরামদায়ক হতে পারে এবং এর কোনো চিত্ত উত্তেজক প্রভাব নেই।
গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহার আইনত বৈধ করতে যাচ্ছে কানাডা। চিকিৎসা কাজে অবশ্য অনেক আগে থেকেই গাঁজা বৈধ ক্যানাডায়। কোকাকোলার এ সিদ্ধান্তের ফলে ক্যানাডায় গড়ে উঠেছে বিশাল আকারের গাঁজা শিল্প।
অন্যদিকে, উৎপাদনকারী সংস্থা মোলসন কুরস ব্রুয়িং বলেছে, তারা হাইড্রোপোথেক্যারি সংযোজন করে গাঁজা নিষিক্ত পানীয় তৈরি করবে। ইতোমধ্যে বিশ্বখ্যাত করোনা বিয়ার তৈরিকারী সংস্থা কনস্টেলেশান ব্র্যান্ডস গাঁজা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ক্যানোপি গ্রোথের ওপর চার বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। কোকাকোলা আর অরোরা’র অংশীদারিত্বের ফলে গাঁজার পানীয়ের বাজারে প্রথম নন-অ্যালকোহলিক পানীয় হিসেবে যাত্রা শুরু হবে কোক’এর।
জানা গেছে, অরোরা’র সঙ্গে কোকাকোলা’র আলোচনা অনেকদূর অগ্রসর হলেও চূড়ান্ত কোনো চুক্তি হয়নি। সূত্রটি জানিয়েছে, এই পানীয়টি শুধু অবসাদই দূর করবে না, সতেজতা লাভেও সহায়তা করবে। আলাদা এক বিবৃতিতে অরোরা জানিয়েছে, চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাবে না। তবে তারা বলেছে, গাঁজা নিষিক্ত পানীয়ের বাজারে প্রবেশ করার বিষয়ে অরোরা যথেষ্ট আগ্রহী রয়েছে।