ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে বিপন্ন উত্তরের জনজীবন সরকারি-বেসরকারি সহায়তা দরকার

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শীত মৌসুমে বারবার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এতে দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত সহায়তা না পেলে দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট কতটা বেড়ে যায় তা সহজেই অনুমান করা যায়। জানা গেছে, শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের উত্তরের জনজীবন।

শনিবার নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে রংপুরের তাপমাত্রা ছিল আরও কম। শহরাঞ্চলের বাইরে গ্রামীণ এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি। শৈত্যপ্রবাহের কারণে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। ঘনকুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় কোনো কোনো এলাকার মানুষ অনেকটা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায় বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ। হতদরিদ্র, ছিন্নমূল, প্রতিবন্ধী ও বস্তি এলাকার শীতার্ত মানুষের মাঝে সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানের ঐতিহ্য রয়েছে আমাদের। কিন্তু এবার লক্ষ করা যাচ্ছে, সরকারিভাবে শীতবস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকলেও বেসরকারিভাবে কেবল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় দরিদ্রদের সহায়তা প্রদানের খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দরিদ্রদের মাঝে যে ধরনের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে তা একেবারেই অপ্রতুল। জানা গেছে, সরকারিভাবে যেসব সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, চরাঞ্চলের কোনো কোনো মানুষ তা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

শীত মৌসুমে কয়েক ধরনের ভাইরাস অতিরিক্ত মাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। বস্তুত শৈত্যপ্রবাহের কারণে সারা দেশের নিম্নআয়ের মানুষকে খুব কষ্টে দিনযাপন করতে হয়। এখন সারা দেশেই শীতজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এতে বেশি সমস্যায় পড়ে বয়স্ক ও শিশুরা।

বলার অপেক্ষা রাখে না, মহামারির কারণে এবারের শীতকালে দরিদ্র মানুষের কষ্ট আরও বেড়েছে। কাজেই হাড় কাঁপানো শীতে যাতে দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ না বাড়ে সে জন্য সরকারিভাবে পর্যাপ্ত সহয়তা প্রদানের উদ্যোগ নিতে হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দরিদ্র মানুষের পক্ষে অনেক কথা বলে থাকে।

শৈত্যপ্রবাহের কারণে দরিদ্র মানুষের যখন দুর্ভোগ বাড়ে তখন তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে সহায়তা না পেলে তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের বক্তব্য প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আমরা আশা করব, শীত মৌসুমে দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ দূর করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদান করা হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের উচিত যে কোনো দুর্যোগে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

শীতে বিপন্ন উত্তরের জনজীবন সরকারি-বেসরকারি সহায়তা দরকার

আপডেট টাইম : ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শীত মৌসুমে বারবার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এতে দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত সহায়তা না পেলে দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট কতটা বেড়ে যায় তা সহজেই অনুমান করা যায়। জানা গেছে, শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের উত্তরের জনজীবন।

শনিবার নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে রংপুরের তাপমাত্রা ছিল আরও কম। শহরাঞ্চলের বাইরে গ্রামীণ এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি। শৈত্যপ্রবাহের কারণে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। ঘনকুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় কোনো কোনো এলাকার মানুষ অনেকটা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায় বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ। হতদরিদ্র, ছিন্নমূল, প্রতিবন্ধী ও বস্তি এলাকার শীতার্ত মানুষের মাঝে সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানের ঐতিহ্য রয়েছে আমাদের। কিন্তু এবার লক্ষ করা যাচ্ছে, সরকারিভাবে শীতবস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকলেও বেসরকারিভাবে কেবল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় দরিদ্রদের সহায়তা প্রদানের খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দরিদ্রদের মাঝে যে ধরনের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে তা একেবারেই অপ্রতুল। জানা গেছে, সরকারিভাবে যেসব সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, চরাঞ্চলের কোনো কোনো মানুষ তা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

শীত মৌসুমে কয়েক ধরনের ভাইরাস অতিরিক্ত মাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। বস্তুত শৈত্যপ্রবাহের কারণে সারা দেশের নিম্নআয়ের মানুষকে খুব কষ্টে দিনযাপন করতে হয়। এখন সারা দেশেই শীতজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এতে বেশি সমস্যায় পড়ে বয়স্ক ও শিশুরা।

বলার অপেক্ষা রাখে না, মহামারির কারণে এবারের শীতকালে দরিদ্র মানুষের কষ্ট আরও বেড়েছে। কাজেই হাড় কাঁপানো শীতে যাতে দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ না বাড়ে সে জন্য সরকারিভাবে পর্যাপ্ত সহয়তা প্রদানের উদ্যোগ নিতে হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দরিদ্র মানুষের পক্ষে অনেক কথা বলে থাকে।

শৈত্যপ্রবাহের কারণে দরিদ্র মানুষের যখন দুর্ভোগ বাড়ে তখন তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে সহায়তা না পেলে তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের বক্তব্য প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আমরা আশা করব, শীত মৌসুমে দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ দূর করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদান করা হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের উচিত যে কোনো দুর্যোগে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো।