যে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান থাকার কথা নয়, সেই বাংলাদেশে কীভাবে জঙ্গিবাদ শক্তি অর্জন করতে পারছে, তা অনুসন্ধান করে দেখার কথা ভাবা হচ্ছে না। জঙ্গিবাদ চুরি-ডাকাতির অপরাধ নয়। জঙ্গিবাদ শুধু আইনশৃংখলার সমস্যাও নয়। জঙ্গিবাদ যে এক ধরনের রাজনৈতিক মতবাদ, সে হিসেবে বিষয়টিকে বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে না। মোটকথা, জঙ্গিবাদও অস্ত্রশক্তিভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। তাই জঙ্গিবাদ আমাদের মতো গণতন্ত্রে বিশ্বাসীদের কাছে গ্রহণীয় নয়; কিন্তু তাদের শুধু সন্ত্রাসী হিসেবে দেখা ভুল হচ্ছে। পুলিশি অস্ত্রের মাধ্যমে জঙ্গিবাদীদের অস্ত্রের মোকাবেলা করা জঙ্গিবাদ অবসানের সঠিক পথ নয়। কারণ, অস্ত্রযুদ্ধে যে পক্ষই জিতুক, বিজয় হবে অস্ত্রশক্তির বা কোনো না কোনোরূপের জঙ্গিবাদের। সেখানে গণতন্ত্র বা আইনের শাসনের কোনো স্থান থাকবে না। এ কারণেই সমগ্র জাতির যত উদ্বেগ, যত উৎকণ্ঠা।
বিচার বিভাগের নাজুক অবস্থার প্রতি সব মহলের মনোযোগ প্রত্যাশা করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। গত শনিবার রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের এক অনুষ্ঠানে তিনি তার এ মূল্যবান পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করেন। সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল অফিসারদের উপস্থিতিতে প্রদত্ত তার এ বক্তব্য ছিল সরকারি মহলবিশেষের নিন্দায় উচ্চকিত, যারা দেশের বিচারিক কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছেন।
তিনি পরিষ্কারভাবে কায়েমি স্বার্থবাদী মহলকে দোষারোপ করে বলেন, তারাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বিভ্রান্ত করে চলেছে। তারাই বলার চেষ্টা করছে স্বাধীন বিচারব্যবস্থা সরকারের চলার পথে বাধা। ক্ষমতার অপব্যবহার এবং আইনের শাসনহীনতায় জঙ্গিবাদ জন্ম নিয়ে থাকে এবং আমাদের দেশে সেটাই হচ্ছে।
স্বাধীনতার অব্যবহিত পর, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে এ আইনের শাসন এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ভুল পরামর্শ দেয়া শুরু হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নেতৃত্বশূন্য করার গণবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী মহলবিশেষের চক্রান্ত সুশীলসমাজকে বুঝতে হবে। প্রথমে বঙ্গবন্ধু এবং পরে জাতীয় চার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতার হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সে কাজটি ভালোভাবে সফল হয়েছে। অন্যদের বিভ্রান্ত করাও অনেক সহজ হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি তার ভাষণে বলেন, আইনের শাসন বর্তমানে ভীষণ চাপের মধ্যে আছে এবং সর্বস্তরের জনগণকে সুবিচারের আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
এখানে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা যে কথা উল্লেখ করা থেকে বিরত থেকেছেন, ‘তা হল বিচার বিভাগ সম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর পরামর্শ হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি মহলের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ, যার লক্ষ্য হচ্ছে জনগণ প্রদত্ত গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্রকে সম্পূর্ণ অচল করা, জনগণের ভোটের সরকার গঠনে যাতে নির্বাচনের নির্ধারক ভূমিকা থাকতে না পারে এবং কার্যকর হতে না পারে জাতীয় সংসদ।
ইতিমধ্যে নির্বাচন আর জনগণের নির্বাচন নেই। সংসদেও শাসনতন্ত্রসম্মত বিরোধী দল নেই। নিজেরা নিজেরা জোটবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় সুবিধা লুটপাটের এক নির্লজ্জ খেলা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে’।
অর্থাৎ দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন নেই, নেই গণতান্ত্রিক সংসদ। এখন বিচার বিভাগকে অনুগত করতে পারলেই গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্রের অবসান হবে।
সমাজতন্ত্রবাদীদের এটাই স্বপ্ন। সরকার গঠনের জন্য জনগণের ভোটের চিন্তা করতে হবে না। আইন অমান্যের জন্য বিচার বিভাগের বাধা ও ভয় থাকবে না।
বিচার বিভাগকে অসহায় করতে পারলেই অসহায়, অধিকারহীন জনসাধারণের ওপর কিছু লোকের স্বার্থ রক্ষার একনায়কত্ববাদ চালিয়ে যেতে কোনো বাধা থাকবে না।
প্রধান বিচারপতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে যা বলেছেন তা হল, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি দমনে শাসনতান্ত্রিক সুশাসনের ব্যবস্থা রক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন।
এটা তো অস্বীকার করা যাবে না, জঙ্গিবাদ ঠেকাতে গিয়ে ব্যক্তির শাসনতান্ত্রিক অধিকার ও আইনের শাসন রক্ষার বিষয়টিকে বেপরোয়াভাবে অবহেলা করা হচ্ছে।
তার বক্তব্যের সারকথা হচ্ছে, শাসনতান্ত্রিক সুশাসন প্রতিষ্ঠাই হল দেশকে জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও নৈরাজ্য থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায়। আমিও বলি, জঙ্গিবাদ রোধের পথ পাল্টা জঙ্গিবাদ নয়। আইনের শাসন উপেক্ষা করা হলে জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয়া হয়।
পুলিশি তথ্য অনুযায়ী জঙ্গিবাদ বেড়েই চলছে। জঙ্গিবাদ দমনমূলক কর্মকাণ্ডে জনজীবনে স্বস্তির পরিবর্তে নিরাপত্তাহীনতার আতংক বিরাজ করছে। খুন ও গুমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় দেখা যাচ্ছে না।
পুলিশ ও র্যাবের নীতি-চরিত্র এবং শৃংখলা রক্ষার ব্যর্থতা নিয়ে সবাই গভীরভাবে চিন্তিত। আশা করা হয়েছিল নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের সঙ্গে র্যাবের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের কলংকের পর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। নিজেদের নিরাপত্তা বিধানের ব্যাপারে হতাশাগ্রস্ত জনগণ পুলিশ ও র্যাবের ওপর আস্থা হারাচ্ছে।
সুশাসন থাকলে, সঠিক নেতৃত্ব থাকলে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদকবলিত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার কোনো কারণ ছিল না। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ আমাদের স্পর্শ করতে পারত না। কিছু লোকের মধ্যে শাসনতন্ত্র বা আইন-কানুন অগ্রাহ্য করার দম্ভ জাতীয় জীবনে চরমপন্থীদের শক্তি জুগিয়ে চলেছে। অসহনশীল এবং অগণতান্ত্রিক রাজনীতিই চরমপন্থীদের জন্ম দেয়।
কিন্তু শাসনতন্ত্রের রক্ষক হিসেবে বিচার বিভাগের রয়েছে আত্মরক্ষার বিশাল শক্তি এবং স্বাধীন ভূমিকা পালনের দায়বদ্ধতা; যা আইনের শাসন ও শাসনতন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য অপরিহার্য। সরকার ভুল পথে চললে সঠিক বার্তা পাঠিয়ে তা অবহিত করার নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে বিচার বিভাগের।
এ মুহূর্তে সেই নিজস্ব ভূমিকা পালনে দুর্বলতা দেখালে বিচার বিভাগের অস্তিত্ব রক্ষাই অসম্ভব হবে। বিচার বিভাগ অসহায় নয় এবং বিচার বিভাগের সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি করলে সরকার পরিচালনার কাজটি কঠিন বৈ সহজ হবে না। সরকার এবং বিচার বিভাগের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টিতে উৎসাহ জুগিয়ে সরকারের কোনো কল্যাণ সাধন করা হচ্ছে না।
বরং বিচার বিভাগের সহায়তা থেকে বঞ্চিত হলে সরকারের অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়বে। তখন সরকার শুধু পুলিশি শক্তির ওপর নির্ভরশীল হবে। সরকার এবং পুলিশের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও সংঘাত দেখা দেবেই।
দেশে জঙ্গিবাদ রোধে যা করা হচ্ছে, তাতে জনগণের নিরাপত্তাহীনতা বেড়েই চলছে। জনগণ বুঝতে পারছে না জঙ্গিবিরোধী পুলিশি ব্যবস্থা কতটা সঠিক বা কতটা ভয়ংকর। পত্র-পত্রিকায় খবরে প্রকাশ, যেসব তরুণের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না, পরে সন্ত্রাসী হিসেবে তাদেরই কাউকে কাউকে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারাতে হয়েছে। কখনও সরাসরি ক্রসফায়ারে, কখনও পালিয়ে যেতে চেষ্টা করার সময়। স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে পুলিশ ও সন্ত্রাসীরা মিলে একে অপরের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাড়তে থাকলে পুলিশের জন্যও বিষয়টি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হবে। পুলিশও সঠিক উপদেশ পাচ্ছে না। তারা যে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমনে নিযুক্ত নন, তা পুলিশকে বুঝতে দেয়া হচ্ছে না।
প্রশ্ন হচ্ছে, ব্যক্তির জীবন রক্ষায় আইনের শাসন ও শাসনতন্ত্রের নিশ্চয়তা জনগণ কাদের কাছ থেকে পাবে? সরকার তো পুলিশের ওপর সব দায়িত্ব ন্যস্ত করেছে। কোর্ট-আদালত কিছুটা সাহস দেখাচ্ছে বলে জনগণের জানমাল রক্ষার ক্ষেত্রে শাসনতন্ত্র ও আইনের প্রয়োজন একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। অনেক ক্ষেত্রে প্রতিকারও পাওয়া যাচ্ছে। কোর্ট-আদালত আছে বলেই হত্যা ও গুমের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশের জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ এখনও আছে। তাই বলে জনসাধারণকে আতংকমুক্ত করার দায়িত্ব পালনে সরকারের ব্যর্থতা কমছে না। আইনের শাসনকে দুর্বল হতে দিয়েই সরকার দুর্বল হয়ে পড়ছে। পুলিশের ওপর সরকারের নির্ভরশীলতা বেড়েই চলছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার উল্লেখ করতে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং বলেন মাজদার হোসেন মামলায় বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের অনুকূলে সুপ্রিমকোর্ট প্রদত্ত ঐতিহাসিক রায়ে যে ১২ দফা দিকনির্দেশনা ছিল তা কার্যকর করার ব্যাপারে ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬৫ বার সময় নেয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি যথার্থই বলেছেন, ‘যদি সবকিছু শাসনতন্ত্র এবং প্রচলিত আইনুযায়ী চলে, বিচার বিভাগ যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তাহলে দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের মাত্রা হ্রাস পাবে।’ বিচার বিভাগ প্রশাসনের প্রতিদ্বন্দ্বী বলে প্রচারণা চালিয়ে কিংবা সরকারপ্রধানকে ভুল বার্তা দিয়ে বিভ্রান্ত করার সুযোগ কেবল আইনের শাসনই সংকুচিত করতে পারে।
জঙ্গিবাদ এবং জঙ্গিবাদ দমনের পাল্টা পুলিশি কর্মকাণ্ডে সমগ্র জাতীয় জীবনে নিরাপত্তাহীনতার আতংক ও অসহায়ত্ব চেপে বসেছে। জনস্বার্থ ও আইনের শাসন রক্ষার ব্যাপারে সঠিক তথ্য পাওয়া সরকারের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সাংবাদিক ও আইনজীবীদের একটি অংশ দলীয় কর্মী হওয়ায় জনস্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে তাদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা শক্তিহীন হয়ে পড়েছে। বিচার বিভাগের স্বকীয়তা রক্ষা করতে হলে তাই বিচার বিভাগকেই দেশ ও জনগণের স্বার্থরক্ষায় শাসনতন্ত্র প্রদত্ত আত্মশক্তিতে বলীয়ান হতে হবে।
আইনের সুবিচার নিশ্চিত না হলে কোনো সরকারের পক্ষেই জানা সম্ভব নয়, সন্ত্রাস দমন প্রক্রিয়ায় প্রকৃত সন্ত্রাসীদের শাস্তি হচ্ছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত অনেকেরই পুলিশের বা র্যাবের হাতে মৃত্যু হয়েছে; কিন্তু আজ পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের জীবিত ধরে বিচারের সম্মুখীন করা সম্ভব হয়নি। এই সেদিন ঢাকায় র্যাবের ক্যাম্পে আক্রমণ করতে যাওয়ার পথে যে তরুণটি মারা গেছে, পুলিশ বলছে সে সন্ত্রাসী; কিন্তু মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন বলছে তাকে অনেক আগেই তুলে নেয়া হয়েছিল।
পুলিশ ও র্যাবের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো এমন বহু হৃদয়বিদারক ঘটনার বিবরণ গণমাধ্যমে গুরুত্ব দিয়েই তুলে ধরা হচ্ছে; কিন্তু সরকার কোনোভাবে উদ্বিগ্ন বলে মনে হচ্ছে না। আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলে পুলিশের পক্ষে হত্যা বা গুম করার সুযোগ ও সাহস কোনোটাই থাকত না। যাদের সন্তানরা এভাবে বিনা বিচারে সম্পূর্ণ অসহায়ভাবে জীবন হারাচ্ছে তাদের কাছে সরকারের কী জবাব আছে জানি না। আইন-কানুন, শাসনতন্ত্র বা ব্যক্তির মৌলিক অধিকারের কোনো মূল্য মৃত তরুণদের কাছে থাকছে না।
নিজের জীবন রক্ষার বিষয়ে যদি শাসনতন্ত্র প্রদত্ত মৌলিক অধিকার বিবেচ্য কোনো বিষয় না হয়, তাহলে দেশের সর্বোচ্চ আইন হিসেবে শাসনতন্ত্রের কোনো গুরুত্ব থাকে না।
আইনশৃংখলা রক্ষাকারীদের ওপর জনগণের আস্থাহীনতার পরিণতি হবে দেশব্যাপী বড় ধরনের নৈরাজ্য ও সহিংসতা। অথচ সবাই মিলে শান্তি ও নিরাপদে থাকার পরিবেশ সৃষ্টির যোগ্যতা যে আমাদের নেই তা নয়।
মানসম্মান নিয়ে বাঁচা এবং আইনের নিরাপত্তা ভোগের নিশ্চয়তা তো আমাদের শাসনতন্ত্রে রয়েছে। তবু কেন সমগ্র জাতি এখনও এত অসহায়, এত নিরাপত্তাহীন? এ প্রশ্নের উত্তর তো আমাদের দিতে হবে।
মইনুল হোসেন : আইনবিদ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ