বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ভোক্তা’ শব্দের ইংরেজি অর্থ কনজুমার, অর্থাৎ ভোগকারী। অর্থাৎ যারা কোনো পণ্য, খাদ্য, পানীয় দ্রব্য বা সেবা প্রদানকারী দ্রব্য ভোগ করে তাদের ভোক্তা বলে। দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর আওতায় ভোক্তা হলেন তিনিই যিনি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ব্যতীত, সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করে বা সম্পূর্ণ বাকিতে পণ্য বা সেবা ক্রয় করেন অথবা কিস্তিতে পণ্য বা সেবা ক্রয় করেন। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ কোনো না কোনোভাবে একজন ভোক্তা। যিনি ব্যবসায়ী বা সরবরাহকারী তিনি একটি পণ্যের ব্যবসায়ী বা সরবরাহকারী হলেও আরও ১০টি পণ্যের একজন ভোক্তা। আবার অনেকে বলে থাকেন মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে যেসব অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা রাষ্ট্র ও জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত সবই ভোক্তা অধিকারের আওতায়। সে হিসেবে একজন মানুষের প্রতিদিনের প্রতিটি বিষয়ের সঙ্গে ভোক্তা অধিকারের বিষয়গুলো সরাসরি জড়িত।
সম্প্রতি কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি বিভাগ কিংবা একটি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে। কারণ ঐতিহাসিকভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান ভূমিকা ও কাজ হল ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষা দেয়া। দেশে শিল্প-বাণিজ্য, আমদানি-রফতানির যারা চালিকাশক্তি, তাদের প্রতি অধিকতর সহানুভূতিশীল থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য স্বাভাবিক বিষয়। দেশে ন্যায্য ব্যবসার চর্চা থাকলে হয়তো ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম অংশীজন ভোক্তাদের বিষয়টি বিবেচনার সুযোগ সৃষ্টি হতো। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এ দায়িত্ব পালন করে সব পরিস্থিতিতে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়।
দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্রমাগত সিন্ডিকেট ও অসুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের কারণে বড় ব্যবসায়ীরা কীভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে ঠকানো যায় সেটি ভাবে বলে স্বার্থের বড় একটা সংঘাত থাকে। প্রশাসনিক বিন্যাসের বেলায় আমরা যদি উপমহাদেশের ইতিহাসের দিকে তাকাই, তাহলেও একটি মৌলিক ভিন্নতা লক্ষ করি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের কাঠামোগত উত্তরাধিকার বহন করে চলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতকে নয়, পাকিস্তানকেই বেশি অনুসরণ করেছে। স্বাধীনতার পর পাকিস্তানি আমলাতান্ত্রিক কাঠামোকে পুরোপুরি গ্রহণ করে সব ধরনের প্রশাসনিক বিন্যাস ও কাঠামো পুনর্গঠন করা একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। পাকিস্তানি কাঠামোর বৃত্ত ভেঙে বেরিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা অনুভবে নিয়েছি; কিন্তু বাস্তবে সেটি আমরা অনেক ক্ষেত্রে আজও করে দেখাতে পারিনি। ক্যাব ভোক্তাসংক্রান্ত পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি তুলে আমাদের অতীতের ইতিহাসের দিকে তাকানোর একটি সুযোগ করে দিয়েছে।
আমরা অনেকেই জানি, ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠালগ্নে ১৯৪৭ সালেই ভোক্তাবিষয়ক পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয় গঠন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ভারত শুরুতেই অন্তত কাঠামোগত দিক থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিল। কেউ বলতে পারেন যে, আমলাতান্ত্রিক কাঠামো বদল করাটাই খুব কার্যকর বিষয় হয়তো হবে না। পেঁয়াজ, চাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের কৃত্রিম সংকটের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটের কারসাজি প্রতিনিয়তই আলোচনার বিষয় হলেও তাদের কারসাজি থেকে ভোক্তাদের সহসা মুক্তি মিলছে না।
দেশের ১৭ কোটি মানুষই ক্রেতা-ভোক্তা হলেও তাদের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষায় কোনো পৃথক মন্ত্রণালয় নেই। ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ক্ষুদ্র অধিদফতরের মাধ্যমে কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও এটিও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। আর ভোক্তাদের অধিকার ও সুবিধা প্রদানের জন্য সবকিছুর ভার দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের ওপর। ব্যবসায়ীদের স্বার্থসংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভোক্তা স্বার্থের বিষয়টি দেখভাল করার কারণে ভোক্তা স্বার্থ বারবার উপেক্ষিত ও ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। বিষয়গুলো অনেকটাই বিড়ালকে মাছ পাহারা দেয়ার মতো। অসাধু ব্যবসায়ীরা মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে একবার পেঁয়াজ, একবার চাল, একবার মসলা, একবার সয়াবিন এভাবে বছরজুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে জনগণের পকেট কাটছে।
অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মূল কাজ হল দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ। সে কারণে দেশের ভোক্তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বার্ষিক চাহিদা নিরূপণ, উৎপাদন, জোগান, বাজারজাতকরণে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে অনুসন্ধান, ভোক্তাদের স্বার্থসংরক্ষণে চিন্তা করার সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের থাকে না। এদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর প্রতিষ্ঠা করা হলেও জেলা পর্যায়ে একজন কর্মকর্তা দিয়ে কোনো ধরনের লজিস্টিক সুবিধা ছাড়াই তারা কাজ করছে। আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অস্তিত্ব খোদ রাজধানী ঢাকা শহরে খুঁজে পাওয়াও কঠিন। সরকার ভোক্তা সংরক্ষণ আইন, নিরাপদ খাদ্য আইনসহ নানা উদ্যোগ নিলেও তার সুফল জনগণ পাচ্ছে না। সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত ও ভোক্তাদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে হলে আইন প্রয়োগে সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দেশের ১৭ কোটি ভোক্তার জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় না থাকায় সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারণী মহল, প্রশাসন, গণমাধ্যমসহ সব মহলের কাছে ভোক্তাদের বেদনা, ভোগান্তি ইত্যাদি জানানো সম্ভব হচ্ছে না। তারা ভোক্তাদের কথা শোনার চেয়ে ব্যবসায়ীদের কথা শুনতে আগ্রহী। কারণ ভোক্তারা অসংগঠিত, তাদের সংগঠন শক্তিশালী নয়। আর ব্যবসায়ীদের কথা শুনলে তার বিপরীতে প্রতিদান দেয়ার সক্ষমতাও তাদের আছে। ফলে ভোক্তাদের হয়রানি, ভোগান্তির চেয়ে ব্যবসায়ীদের সমস্যাগুলো সরকার যে রকম গুরুত্ব দিচ্ছে, তেমনি গণমাধ্যমগুলোতেও বেশি করে প্রচার হচ্ছে। যার অন্যতম দৃষ্টান্ত পেঁয়াজের মূল্যের সেঞ্চুরি। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ মজুদ করে দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটলেও সরকার জনগণের কষ্ট লাঘবে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হচ্ছে না।
বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নেই, দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের ঊর্ধ্বে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্নমধ্যবিত্ত দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে শ্রেণিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। মানুষের মাথাপিছু বার্ষিক আয় এরই মধ্যে ১ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলারের সীমা অতিক্রম করেছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবনযাপনকারী জনসংখ্যা শতকের হিসাবে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। তবে এখনও প্রায় ২ কোটি মানুষ অতিদরিদ্র।
দেশের সিংহভাগ জনসংখ্যা হতদরিদ্র, নিম্নআয় ও নিম্নমধ্যম আয়ের শ্রেণিভুক্ত। পণ্যমূল্য বৃদ্ধি তাদের জীবনমানে বিরূপ প্রভাব ফেলে। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বাড়ে। হতাশা আর অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছানোর লক্ষ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে রাখার বিকল্প নেই। এ প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য ১৫ থেকে ২০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ও সেবা চিহ্নিত করে সেসব পণ্য ও সেবার সরবরাহ পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ খুবই জরুরি।
দেশে বর্তমানে ভোক্তাদের স্বার্থসংক্রান্ত বিষয়গুলো ১৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ দেখে থাকে। নতুন মন্ত্রণালয় হলে তারা সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজটি অনেক ভালোভাবে করতে পারবে। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার মূলমন্ত্র হল সবার আগে নাগরিক ও জনস্বার্থের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখা। যখন বিষয়গুলো বিপন্ন ও ক্ষুণ্ণ হতে পারে, তখন নতুন নতুন কৌশল ও পন্থা উদ্ভাবন করাটাই সমীচীন। এবারের পেঁয়াজ বলেই নয়, অতীতের সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য-ভোগ্যপণ্য সংকট মোকাবেলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ এবং তার ফলাফল বিবেচনায় নিলে একটি বিষয় পরিষ্কার।
তবে অধিকাংশ সময়ই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের দায়িত্ব পালনে সফলতা দেখাতে সমর্থ হয়নি। চড়া মাশুল সব সময় ভোক্তারাই দিয়েছে। সরকার যথাসময়ে সরাসরি পেঁয়াজ আমদানি করতে কেন সমর্থ হয়নি, রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থা টিসিবিকে কেন সংকটকালীন কার্যকর করা সম্ভব হযনি, তার একটা সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যায় বলা হতে পারে এমন যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘ কাজের তালিকায় ভোক্তাস্বার্থ অত বেশি অগ্রাধিকারে না থাকাটাই মূল অন্তরায়।
এছাড়াও বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অ্যালোকেশন অব বিজনেসে ৩১টি চিহ্নিত কাজের মধ্যে ভোক্তা নামে কোনো শব্দই সেখানে নেই। প্রাইস অ্যাডভাইজিং বোর্ডস এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ নামে দুটি দফা থাকলেও মানুষ কখনও এসবের ‘দাঁত’ দেখেনি। ভারতের ভোক্তা মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও দুটি বিভাগ আছে। তাদের অ্যালোকেশন অব বিজনেসে ভোক্তা স্বার্থবিষয়ক ৩৫টি বিষয় আলাদাভাবে চিহ্নিত আছে।
দেশের ‘ভোক্তারা’ সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক জনগোষ্ঠী হলেও সরকারের প্রতিনিয়ত নানা বিষয়ে নীতিনির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ একেবারেই নগণ্য। ভোক্তারা সুসংগঠিত নয় ও তাদের সংগঠন শক্তিশালী না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ভোক্তাদের ওপর কী প্রভাব ফেলবে সে বিবেচনা উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে বারবার। এ অবস্থায় ভোক্তাস্বার্থ বিবেচনা, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ভোক্তাদের স্বার্থের বিষয়টি তুলে ধরা, ভোক্তা স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রমে সমন্বয় সাধন, চাহিদা, উৎপাদন, আমদানির সঠিক পরিসংখ্যান সংরক্ষণ; সর্বোপরি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল থেকে দরিদ্র, স্বল্প আয় ও নিম্নমধ্যম আয়ের ভোক্তারা যাতে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে রাখার উদ্দেশ্যে ১৫ থেকে ২০টি অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চিহ্নিত করে সেসব খাদ্য পণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার দায়িত্ব অর্পণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি পৃথক ডিভিশন অথবা একটি পৃথক স্বতন্ত্র একটি ‘ভোক্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা বহুল কাঙ্ক্ষিত দাবিতে পরিণত হয়েছে।
তাই পৃথক মন্ত্রণালয় থাকলে অবশ্যই সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারক মহলে ভোক্তাস্বার্থের দিকগুলো বেশি মনোযোগের কেন্দ্রেবিন্দুতে আসবে। কারণ একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী, সচিব ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অন্তত সারাক্ষণ ভোক্তাদের কাছে জবাবদিহি করবে সেটিই বা কম কিসে। তাই এ মুহূর্তে নতুন পৃথক মন্ত্রণালয় করা সম্ভব না হলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অবিলম্বে একটি নতুন বিভাগ খুলে জনপ্রত্যাশা পূরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি দেবেন বলে আশা করা যায়।