ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ নীতি বিবর্জিত কিছু মানুষ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কী করে অন্যকে বিপদে ফেলছে, এ সংক্রান্ত খবর পড়ে আমরা বিস্মিত হই। যেসব ব্যক্তি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটনে আধুনিক প্রযুক্তির আশ্রয় নিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করার কাজটি সহজ না হলেও যেভাবেই হোক এসব অপরাধীকে দ্রুত চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তা না হলে এদের হাতে মানুষের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাবে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারকরা অভিনব কৌশলে কী করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, তা গতকালের যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

জানা গেছে, প্রতারক চক্র মোবাইল ফোন নম্বর স্পুফিং করে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা চক্রটি এভাবে মানুষের পকেট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, কল স্পুফিং হল মোবাইল ফোনের প্রকৃত নম্বর গোপন রেখে অন্য ব্যবহারকারীর নম্বর দিয়ে কল করার প্রযুক্তি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ফোন নম্বর স্পুফিং করে প্রতারণার কৌশল কয়েক বছর আগেই রপ্ত করেছে অপরাধীরা। বিশেষ সফটওয়্যার ও অ্যাপসের মাধ্যমে মোবাইল ফোন নম্বর স্পুফিং করা হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এই চক্রকে শনাক্ত করলেও এসব অপরাধীর তৎপরতা থেমে নেই। তারা নতুন কৌশলে মানুষকে ফাঁদে ফেলছে। এসব অভিনব কৌশল সম্পর্কে সাধারণ মানুষ অবগত নন।

কাজেই অপরাধীদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি এদের সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্যও বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার করে অপরাধীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ফোন নম্বর ক্লোন করছে, এ তথ্য আমরা অনেক আগেই জেনেছি।

এসব অপরাধীকে গ্রেফতার করতে দেরি করা হলে এদের অপতৎপরতার কারণে বহু নিরীহ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হবে। কাজেই এসব অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার, যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর এমন অপরাধ করার চেষ্টা না করে।

আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহারের অনেক ভয়ংকর সংবাদ শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানতে পেরেছেন, আজকাল অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার চেয়ে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এত বেশি সময় প্রদান করে যে, ইন্টারনেট ব্যবহার তাদের নেশায় পরিণত হয়েছে।

ইন্টারনেটের অপব্যবহার বৃদ্ধির কারণে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধির আশঙ্কাও রয়েছে। কাজেই মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার

আপডেট টাইম : ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ নীতি বিবর্জিত কিছু মানুষ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কী করে অন্যকে বিপদে ফেলছে, এ সংক্রান্ত খবর পড়ে আমরা বিস্মিত হই। যেসব ব্যক্তি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটনে আধুনিক প্রযুক্তির আশ্রয় নিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করার কাজটি সহজ না হলেও যেভাবেই হোক এসব অপরাধীকে দ্রুত চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তা না হলে এদের হাতে মানুষের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাবে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারকরা অভিনব কৌশলে কী করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, তা গতকালের যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

জানা গেছে, প্রতারক চক্র মোবাইল ফোন নম্বর স্পুফিং করে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা চক্রটি এভাবে মানুষের পকেট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, কল স্পুফিং হল মোবাইল ফোনের প্রকৃত নম্বর গোপন রেখে অন্য ব্যবহারকারীর নম্বর দিয়ে কল করার প্রযুক্তি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ফোন নম্বর স্পুফিং করে প্রতারণার কৌশল কয়েক বছর আগেই রপ্ত করেছে অপরাধীরা। বিশেষ সফটওয়্যার ও অ্যাপসের মাধ্যমে মোবাইল ফোন নম্বর স্পুফিং করা হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এই চক্রকে শনাক্ত করলেও এসব অপরাধীর তৎপরতা থেমে নেই। তারা নতুন কৌশলে মানুষকে ফাঁদে ফেলছে। এসব অভিনব কৌশল সম্পর্কে সাধারণ মানুষ অবগত নন।

কাজেই অপরাধীদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি এদের সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্যও বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার করে অপরাধীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ফোন নম্বর ক্লোন করছে, এ তথ্য আমরা অনেক আগেই জেনেছি।

এসব অপরাধীকে গ্রেফতার করতে দেরি করা হলে এদের অপতৎপরতার কারণে বহু নিরীহ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হবে। কাজেই এসব অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার, যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর এমন অপরাধ করার চেষ্টা না করে।

আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহারের অনেক ভয়ংকর সংবাদ শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানতে পেরেছেন, আজকাল অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার চেয়ে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এত বেশি সময় প্রদান করে যে, ইন্টারনেট ব্যবহার তাদের নেশায় পরিণত হয়েছে।

ইন্টারনেটের অপব্যবহার বৃদ্ধির কারণে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধির আশঙ্কাও রয়েছে। কাজেই মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে।