ঢাকা , রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার কবরের পাশে দিন-রাত বসে থাকি, ছেলে ফিরে আসে না সংস্কার না করলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় করা হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত কাকে ‘ননসেন্স’ বললেন বুবলী ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের সচিবালয়ে প্রবেশে অস্থায়ী পাসের ব্যাপারে বিশেষ সেল গঠন জর্জিনাকে ‘স্ত্রী’ সম্বোধন, তবে কি বিয়েটা সেরেই ফেলেছেন রোনালদো ৩১ ডিসেম্বর আসছে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের

বই কিনুন, বই পড়ুন প্রিয়জনকে বই উপহার দিন

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই’। একেকটি বই যেন একেকটি বাতিঘর, যদি সে বইটি হয় সুখপাঠ্য, শিক্ষণীয়। বই আমাদের জ্ঞান দান করতে পারে, দিতে পারে প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষা। একটা ভালো বই একজন আদর্শ শিক্ষকের মতো। বই পাঠের মাধ্যমে যেমন আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়, তেমনি ভুলে থাকা যায় মনের শত যন্ত্রণা-দুঃখ-ব্যথা-বেদনা।

আজকাল আমরা বইপড়া প্রায় ভুলে যেতে বসেছি। বই পড়ার দিকে আমাদের যতটা না মনোযোগ, তার চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহ ফেসবুকের প্রতি। ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্টারনেট আর মোবাইলের নেশায় আমরা প্রকৃত বইপড়ার আনন্দটাই ভুলে যেতে বসেছি। সরকার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বাইরের জগৎ থেকে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ পাঠের দিকে নিয়ে আসতে, আনন্দের সঙ্গে পড়ার অভ্যাস করতে এবং আলোকিত মানুষ গড়তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচির অধীন শ্রেণি উপযোগী বিখ্যাত লেখকদের মজার মজার সব বই সাপ্তাহিকভাবে দেয়া হচ্ছে। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি মজাদার এ বইগুলো যেন শিশু-কিশোরদের পাঠের প্রতি আগ্রহ বাড়ায় সেটাই লক্ষ্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, বিনা মূল্যে এত মজার মজার বই দিয়েও শিক্ষার্থীদের পাঠের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বই হতে পারে উপহারের একটি উপকরণ। সেটাও যেন বিলীন হতে বসেছে। প্রিয়জনকে বেশি বেশি বই উপহার দিলে, নিজে বই কিনলে এবং নিয়মিত বই পড়লে, বইকে নিত্যসঙ্গী করতে পারলে যেমন নিজের জ্ঞানের পরিধি বাড়ে, তেমনি সুস্থ, সুন্দর জীবনযাপন করা যায়। বই হল প্রকৃত বন্ধু, বই হল বিপদের বন্ধু- যাকে সবসময় কাছে পাওয়া যায়।

আজ সমাজে যত অপকর্ম, অন্যায়-অবিচার, ব্যভিচার, অনৈতিক কর্মকাণ্ড- সবকিছুর মূল হল জ্ঞানহীন, মূল্যবোধহীন সমাজব্যবস্থা। এর প্রধান কারণ হল বই থেকে, জ্ঞানীগুণী ব্যক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন। দেশি-বিদেশি অসংখ্য টেলিভিশন চ্যানেল বিনোদনের নামে আমাদের অনেক কর্মঘণ্টা কেড়ে নিচ্ছে। অথচ বিনোদনের এ আনন্দটুকু আমরা নির্ভেজালভাবে অনায়াসেই নিতে পারি বই পড়ার মাধ্যমে।

আমরা যদি বেশি বেশি বই কিনি তবে বিকশিত হবে আমাদের পুস্তক শিল্প। ফলে আমরা আরও সস্তায় ও সহজলভ্যে বই পাব। আর সেই বিখ্যাত উক্তি তো আমরা সবাই জানি- ‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না।’ আমরা যদি বেশি বেশি বই পড়ি, তাহলে বিকশিত হবে আমাদের মন, মননশীলতা ও দৃষ্টিভঙ্গি। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তন হতে পারে সমাজের, দেশের তথা গোটা জাতির।

একুশে গ্রন্থমেলা আমাদের গর্বের অংশ। অধিক পাঠাভ্যাসের মাধ্যমে সার্থক হয়ে উঠুক গ্রন্থমেলা। আমরা বই কিনব, বই পড়ব, প্রিয়জনকে বই উপহার দেব। বই হোক আমাদের নিত্যসঙ্গী।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার

বই কিনুন, বই পড়ুন প্রিয়জনকে বই উপহার দিন

আপডেট টাইম : ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই’। একেকটি বই যেন একেকটি বাতিঘর, যদি সে বইটি হয় সুখপাঠ্য, শিক্ষণীয়। বই আমাদের জ্ঞান দান করতে পারে, দিতে পারে প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষা। একটা ভালো বই একজন আদর্শ শিক্ষকের মতো। বই পাঠের মাধ্যমে যেমন আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়, তেমনি ভুলে থাকা যায় মনের শত যন্ত্রণা-দুঃখ-ব্যথা-বেদনা।

আজকাল আমরা বইপড়া প্রায় ভুলে যেতে বসেছি। বই পড়ার দিকে আমাদের যতটা না মনোযোগ, তার চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহ ফেসবুকের প্রতি। ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্টারনেট আর মোবাইলের নেশায় আমরা প্রকৃত বইপড়ার আনন্দটাই ভুলে যেতে বসেছি। সরকার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বাইরের জগৎ থেকে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ পাঠের দিকে নিয়ে আসতে, আনন্দের সঙ্গে পড়ার অভ্যাস করতে এবং আলোকিত মানুষ গড়তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচির অধীন শ্রেণি উপযোগী বিখ্যাত লেখকদের মজার মজার সব বই সাপ্তাহিকভাবে দেয়া হচ্ছে। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি মজাদার এ বইগুলো যেন শিশু-কিশোরদের পাঠের প্রতি আগ্রহ বাড়ায় সেটাই লক্ষ্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, বিনা মূল্যে এত মজার মজার বই দিয়েও শিক্ষার্থীদের পাঠের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বই হতে পারে উপহারের একটি উপকরণ। সেটাও যেন বিলীন হতে বসেছে। প্রিয়জনকে বেশি বেশি বই উপহার দিলে, নিজে বই কিনলে এবং নিয়মিত বই পড়লে, বইকে নিত্যসঙ্গী করতে পারলে যেমন নিজের জ্ঞানের পরিধি বাড়ে, তেমনি সুস্থ, সুন্দর জীবনযাপন করা যায়। বই হল প্রকৃত বন্ধু, বই হল বিপদের বন্ধু- যাকে সবসময় কাছে পাওয়া যায়।

আজ সমাজে যত অপকর্ম, অন্যায়-অবিচার, ব্যভিচার, অনৈতিক কর্মকাণ্ড- সবকিছুর মূল হল জ্ঞানহীন, মূল্যবোধহীন সমাজব্যবস্থা। এর প্রধান কারণ হল বই থেকে, জ্ঞানীগুণী ব্যক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন। দেশি-বিদেশি অসংখ্য টেলিভিশন চ্যানেল বিনোদনের নামে আমাদের অনেক কর্মঘণ্টা কেড়ে নিচ্ছে। অথচ বিনোদনের এ আনন্দটুকু আমরা নির্ভেজালভাবে অনায়াসেই নিতে পারি বই পড়ার মাধ্যমে।

আমরা যদি বেশি বেশি বই কিনি তবে বিকশিত হবে আমাদের পুস্তক শিল্প। ফলে আমরা আরও সস্তায় ও সহজলভ্যে বই পাব। আর সেই বিখ্যাত উক্তি তো আমরা সবাই জানি- ‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না।’ আমরা যদি বেশি বেশি বই পড়ি, তাহলে বিকশিত হবে আমাদের মন, মননশীলতা ও দৃষ্টিভঙ্গি। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তন হতে পারে সমাজের, দেশের তথা গোটা জাতির।

একুশে গ্রন্থমেলা আমাদের গর্বের অংশ। অধিক পাঠাভ্যাসের মাধ্যমে সার্থক হয়ে উঠুক গ্রন্থমেলা। আমরা বই কিনব, বই পড়ব, প্রিয়জনকে বই উপহার দেব। বই হোক আমাদের নিত্যসঙ্গী।