ঢাকা , রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার কবরের পাশে দিন-রাত বসে থাকি, ছেলে ফিরে আসে না সংস্কার না করলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় করা হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত কাকে ‘ননসেন্স’ বললেন বুবলী ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের সচিবালয়ে প্রবেশে অস্থায়ী পাসের ব্যাপারে বিশেষ সেল গঠন জর্জিনাকে ‘স্ত্রী’ সম্বোধন, তবে কি বিয়েটা সেরেই ফেলেছেন রোনালদো ৩১ ডিসেম্বর আসছে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের

আধুনিক প্রযুক্তি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আধুনিক প্রযুক্তি বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এখন সবকিছুই যন্ত্রের মাধ্যমে হচ্ছে। চাষাবাদ, বীজ বপন, নিড়ানি, সার দেয়া, ফসল কাটা, মাড়াই, ঝাড়া ও প্যাকেটিং পর্যন্ত সবই হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে। কৃষির যান্ত্রিকী কারণের ফলে একদিকে যেমন উৎপাদনের পরিমান বাড়ছে অন্যদিকে তেমনি উৎপাদন ব্যয় কমছে। একই সঙ্গে ফসলের অপচয়ও কমছে। দেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন খাদ্যশস্যের বার্ষিক উৎপাদন ছিল দেড় কোটি টনের মতো। এখন খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে তিন কোটি টনের বেশী। এই সময়ে জনসংখ্যা সাড়ে সাত কোটি থেকে বেড়ে ১৬ কোটিরও বেশী হয়েছে। আবাদী জমির পরিমাণ কমেছে অর্ধেকের বেশী। লক্ষ্য করার বিষয়, আবাদী জমি এত ব্যাপকহারে কমার পরও খাদ্যশস্যের উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে, যাতে ১৬ কোটিও বেশী মানুষের খাদ্যসংস্থান হচ্ছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার একেবারে কাছাকাছি এসে উপনীত হয়েছে। এই সাফল্য অর্জনের পেছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বা করছে আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি। আর এসব প্রযুক্তির বেশির ভাগই দেশে উদ্ভাবিত। বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউটের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের মোট আবাদী জমির ৯০-৯২ শতাংশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে। চাষাবাদের সব পর্যায়ে অর্থাৎ জমি তৈরি থেকে চাল উৎপাদন পর্যন্ত সকল পর্যায় যন্ত্রপাতে ব্যবহারের আওতায় এলে উৎপাদন যে আরো বৃদ্ধি পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির প্রধান কৃতিত্ব অবশ্যই কৃষকদের। তারা সারা বছর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদনের ধারা বজায় রেখেছে। অনেক সময় প্রয়োজনীয় প্রণোদনা বা সহযোগিতা পায়নি, উৎপাদিত ফসলের খাদ্যমূল্য পায়নি এবং নানা দুর্যোগ দুর্বিপাকে প্রায়ই ফসল হারিয়েছে; তারপরও তারা কৃষিকে ছাড়েনি। কৃষি তাদের জীবিকার অবলম্বন। সেটাই কৃষির সঙ্গে তাদের আটকে রেখেছে। এইসঙ্গে তারা পালন করছে একটা বিশাল দায়িত্ব। তারা দেশের সমগ্র জনগণের প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যের যোগান দিচ্ছে। তবে আরো উৎপাদন ও লাভ ছাড়া কৃষিতে টিকে থাকা ভবিষ্যতে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। উৎপাদন বাড়াতে হলে, লাভজনক করতে হলে কৃষির সর্ব পর্যায়ে যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি উদ্ভাবিত উন্নত উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসলের আবাদ বাড়াতে হবে। কৃষিতে আমাদের সাফল্যের পেছনে কৃষিবিজ্ঞানী ও কৃষিপ্রযুক্তিবিদদের বিরাট অবদান রয়েছে। গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে তারা অন্যন্য কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন। বিজ্ঞানীরা বহু শস্য জাতের উদ্ভাবন করেছেন। প্রযুক্তিবিদরা উদ্ভাবন করেছেন লাগসই প্রযুক্তির। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ফসলের ৫৪৫ উচ্চ ফলনশীল জাত এবং ৫০৫ টি ফসল উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট ৮৮টি ইনব্রিড ও ৬টি হাইব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। আর বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ ফসলের ১০৮টি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি জীবাণু সারও উদ্ভাবন করেছে। বন্যা, খরা লবণাক্তা ও দুর্যোগ সহিষ্ণু শস্যেরজাত উদ্ভাবনে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। কৃষিবিজ্ঞানী ও কৃষিপ্রযুক্তিবিদদের ধারাবাহিক গবেষণা ও উদ্ভাবনের এই সাফল্য কৃষিউৎপাদন বৃদ্ধির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়। কৃষিবিজ্ঞানী ও কৃষিপ্রযুক্তিবিদরা শুধু বিভিন্ন ফসলের উন্নতজাত ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবনই করেননি, এক সঙ্গে পশুপালন, মৎস্যচাষসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। তাদের এই সাফল্য উপযুুক্ত মূল্যায়ণ ও যথাযথ প্রণোদনার অপেক্ষা রাখে।

কৃষি, মৎস্য, পশুপালন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান অন্যান্য অনেক দেশের চেয়ে ওপরে। ধান উৎপাদন বাংলাদেশ বিশ্ব চতুর্থ, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ, আম উৎপাদনে সপ্তম, আলু উৎপাদনে অষ্টম ইত্যাদির কথা এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়। এই সাফল্য ধরে রাখাই যথেষ্ট হবে না, আরো বাড়াতে হবে। উদ্ভাবিত ফসলের উন্নত জাত এবং প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে পৌঁছানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জে কৃতকার্য হওয়ার বিকল্প নেই। উন্নত ফসল আবাদ ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষকদের উচ্চ আগ্রহ প্রমাণিত। এমতাবস্থায়, তাদের কাছে আরো সহজে ও সুলভে ফসলের জাত ও প্রযুক্তি পৌঁছাতে হবে। লাগাতার গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে এবং উদ্ভাবিত ও উন্নততর জাত ও প্রযুক্তি যতদ্রুত সম্ভব কৃষক পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে। কৃষিযন্ত্রপাতি এখনো ভারি শিল্পের অংশ। একে কৃষিভিত্তিক শিল্পের আওতায় আনা যেতে পারে। যেসব কৃষিযন্ত্রপাতি আমদানি করা হয় সেগুলো যাতে দেশেই তৈরি করা যায়,তার ব্যবস্থা অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিতে হবে। এখন সরকার কৃষিযন্ত্রপাতিতে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়। প্রয়োজনে এই ভর্তুকি আরো বাড়াতে হবে। স্মরণ রাখতে হবে, কৃষিশ্রমিকের অভাব দিন দিন বাড়ছে। এখন শ্রমশক্তির ৪০ শতাংশ কৃষি কাজে নিয়োজিত। ২০৩০ সাল নাগাদ তা ২০ শতাংশে নামবে। কাজেই, কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অপরিহার্যতা সহজেই অনুমেয়। কৃষিকে সহজ ও লাভজনক করতে হবে জাতীয় স্বার্থেই।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার

আধুনিক প্রযুক্তি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে

আপডেট টাইম : ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আধুনিক প্রযুক্তি বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এখন সবকিছুই যন্ত্রের মাধ্যমে হচ্ছে। চাষাবাদ, বীজ বপন, নিড়ানি, সার দেয়া, ফসল কাটা, মাড়াই, ঝাড়া ও প্যাকেটিং পর্যন্ত সবই হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে। কৃষির যান্ত্রিকী কারণের ফলে একদিকে যেমন উৎপাদনের পরিমান বাড়ছে অন্যদিকে তেমনি উৎপাদন ব্যয় কমছে। একই সঙ্গে ফসলের অপচয়ও কমছে। দেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন খাদ্যশস্যের বার্ষিক উৎপাদন ছিল দেড় কোটি টনের মতো। এখন খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে তিন কোটি টনের বেশী। এই সময়ে জনসংখ্যা সাড়ে সাত কোটি থেকে বেড়ে ১৬ কোটিরও বেশী হয়েছে। আবাদী জমির পরিমাণ কমেছে অর্ধেকের বেশী। লক্ষ্য করার বিষয়, আবাদী জমি এত ব্যাপকহারে কমার পরও খাদ্যশস্যের উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে, যাতে ১৬ কোটিও বেশী মানুষের খাদ্যসংস্থান হচ্ছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার একেবারে কাছাকাছি এসে উপনীত হয়েছে। এই সাফল্য অর্জনের পেছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বা করছে আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি। আর এসব প্রযুক্তির বেশির ভাগই দেশে উদ্ভাবিত। বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউটের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের মোট আবাদী জমির ৯০-৯২ শতাংশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে। চাষাবাদের সব পর্যায়ে অর্থাৎ জমি তৈরি থেকে চাল উৎপাদন পর্যন্ত সকল পর্যায় যন্ত্রপাতে ব্যবহারের আওতায় এলে উৎপাদন যে আরো বৃদ্ধি পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির প্রধান কৃতিত্ব অবশ্যই কৃষকদের। তারা সারা বছর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদনের ধারা বজায় রেখেছে। অনেক সময় প্রয়োজনীয় প্রণোদনা বা সহযোগিতা পায়নি, উৎপাদিত ফসলের খাদ্যমূল্য পায়নি এবং নানা দুর্যোগ দুর্বিপাকে প্রায়ই ফসল হারিয়েছে; তারপরও তারা কৃষিকে ছাড়েনি। কৃষি তাদের জীবিকার অবলম্বন। সেটাই কৃষির সঙ্গে তাদের আটকে রেখেছে। এইসঙ্গে তারা পালন করছে একটা বিশাল দায়িত্ব। তারা দেশের সমগ্র জনগণের প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যের যোগান দিচ্ছে। তবে আরো উৎপাদন ও লাভ ছাড়া কৃষিতে টিকে থাকা ভবিষ্যতে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। উৎপাদন বাড়াতে হলে, লাভজনক করতে হলে কৃষির সর্ব পর্যায়ে যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি উদ্ভাবিত উন্নত উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসলের আবাদ বাড়াতে হবে। কৃষিতে আমাদের সাফল্যের পেছনে কৃষিবিজ্ঞানী ও কৃষিপ্রযুক্তিবিদদের বিরাট অবদান রয়েছে। গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে তারা অন্যন্য কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন। বিজ্ঞানীরা বহু শস্য জাতের উদ্ভাবন করেছেন। প্রযুক্তিবিদরা উদ্ভাবন করেছেন লাগসই প্রযুক্তির। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ফসলের ৫৪৫ উচ্চ ফলনশীল জাত এবং ৫০৫ টি ফসল উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট ৮৮টি ইনব্রিড ও ৬টি হাইব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। আর বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ ফসলের ১০৮টি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি জীবাণু সারও উদ্ভাবন করেছে। বন্যা, খরা লবণাক্তা ও দুর্যোগ সহিষ্ণু শস্যেরজাত উদ্ভাবনে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। কৃষিবিজ্ঞানী ও কৃষিপ্রযুক্তিবিদদের ধারাবাহিক গবেষণা ও উদ্ভাবনের এই সাফল্য কৃষিউৎপাদন বৃদ্ধির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়। কৃষিবিজ্ঞানী ও কৃষিপ্রযুক্তিবিদরা শুধু বিভিন্ন ফসলের উন্নতজাত ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবনই করেননি, এক সঙ্গে পশুপালন, মৎস্যচাষসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। তাদের এই সাফল্য উপযুুক্ত মূল্যায়ণ ও যথাযথ প্রণোদনার অপেক্ষা রাখে।

কৃষি, মৎস্য, পশুপালন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান অন্যান্য অনেক দেশের চেয়ে ওপরে। ধান উৎপাদন বাংলাদেশ বিশ্ব চতুর্থ, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ, আম উৎপাদনে সপ্তম, আলু উৎপাদনে অষ্টম ইত্যাদির কথা এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়। এই সাফল্য ধরে রাখাই যথেষ্ট হবে না, আরো বাড়াতে হবে। উদ্ভাবিত ফসলের উন্নত জাত এবং প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে পৌঁছানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জে কৃতকার্য হওয়ার বিকল্প নেই। উন্নত ফসল আবাদ ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষকদের উচ্চ আগ্রহ প্রমাণিত। এমতাবস্থায়, তাদের কাছে আরো সহজে ও সুলভে ফসলের জাত ও প্রযুক্তি পৌঁছাতে হবে। লাগাতার গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে এবং উদ্ভাবিত ও উন্নততর জাত ও প্রযুক্তি যতদ্রুত সম্ভব কৃষক পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে। কৃষিযন্ত্রপাতি এখনো ভারি শিল্পের অংশ। একে কৃষিভিত্তিক শিল্পের আওতায় আনা যেতে পারে। যেসব কৃষিযন্ত্রপাতি আমদানি করা হয় সেগুলো যাতে দেশেই তৈরি করা যায়,তার ব্যবস্থা অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিতে হবে। এখন সরকার কৃষিযন্ত্রপাতিতে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়। প্রয়োজনে এই ভর্তুকি আরো বাড়াতে হবে। স্মরণ রাখতে হবে, কৃষিশ্রমিকের অভাব দিন দিন বাড়ছে। এখন শ্রমশক্তির ৪০ শতাংশ কৃষি কাজে নিয়োজিত। ২০৩০ সাল নাগাদ তা ২০ শতাংশে নামবে। কাজেই, কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অপরিহার্যতা সহজেই অনুমেয়। কৃষিকে সহজ ও লাভজনক করতে হবে জাতীয় স্বার্থেই।