ঢাকা , শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাগ্য খুলছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দেশের ১৮ হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের কষ্টের অবসান হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পরে হলেও তাদের বেতন-কাঠামোর আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এছাড়াও মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও কর্মমুখী করে গড়ে তুলতে প্রয়োজনে আরও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা স্থাপন ও মঞ্জুরি, শিক্ষক নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত করতেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালাও করেছে এ কমিটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একই সময় ও শর্তে নিবন্ধিত হলেও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সরকারি করা হলেও ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষককদের বেলায় অনুদান সামান্য বাড়ানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়,একই শিক্ষা ব্যবস্থায় দাখিল মাদ্রাসার সঙ্গে সংযুক্ত ইবতেদায়ি শিক্ষকরা ৯ হাজার ৯১৮ বেতন পেলেও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক পাচ্ছেন আড়াই হাজার টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা পাচ্ছেন মাত্র দুই হাজার ৩০০ টাকা।

এই বৈষম্য দূর করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের সাড়ে আট মাস পর মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ বঞ্চিত ইবতেদায়ি শিক্ষকদের বেতন-কাঠামোর আওতায় নিতে উদ্যোগ নেয়।

বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করেছেন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকরা (ফাইল ছবি)শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (মাদ্রাসা) আহ্বায়ক করে গত ৪ অক্টোবর ১১ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। এই কমিটি একটি খসড়া নীতিমালায় ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের প্রাথমিক পর্যায়ে বেতন-ভাতা নির্ধারণের বিষয়ে সুপারিশ করে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষকরা দাখিল মাদ্রাসায় সংযুক্ত ইবতেদায়ি শিক্ষকদের সমান বেতন পাবেন। পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ বিবেচনার জন্যও সুপারিশ থাকবে চূড়ান্ত নীতিমালায়।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) রওনক মাহমুদ বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, ‘২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রসাগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে একটি নীতিমালা চূড়ান্ত করতে সরকার শক্তিশালী কমিটি গঠন করেছে। সরকার নিশ্চয় শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করতে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবে। তবে চূড়ান্ত নীতিমালায় কী কী থাকবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে সারাদেশের ১৮ হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে নিবন্ধন দেয় সরকার। এরমধ্যে ১৯৯৪ সালে এক হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করা হয়। এই মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকদের প্রথমবারের মতো মাসিক ৫০০ টাকা করে অনুদান বা ভাতা দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে তা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়। ২০১৪ সাল থেকে মহার্ঘ্য ভাতা হিসেবে ২৫০ টাকা বাড়িয়ে মোট এক হাজার ২৫০ টাকা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, ‘সর্বশেষ ২০১৬ সালে অনুদান বাড়িয়ে এমপিওভুক্ত ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের দুই হাজার ৫০০ টাকা এবং সহকারী শিক্ষকদের দুই হাজার ৩০০ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও জানান,১৯৯৪ সালের একই পরিপত্র অনুযায়ী নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সমমানের নিবন্ধিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা ৫০০ টাকা করে ভাতা পেতেন। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল সরকারি করা হয়। কিন্তু স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষকদের জন্য নামমাত্র অনুদান দেওয়া হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করার পর থেকে জাতীয় স্কেলে বেতন দাবি করছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকরা।

মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক সমমানের প্রতিষ্ঠান স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকরা যেখানে মাত্র এক হাজার ২০০ টাকা অনুদান পান, সেখানে দাখিল মাদ্রাসার সঙ্গে সংযুক্ত ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা বেতন পান ৯ হাজার ৯১৮ টাকা। এই বৈষম্য দূর করতে গত বছরের ৭ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার শহীদুল্ল্যাহ বালিকা ইবতেদায়ি মাদ্রাসার চার শিক্ষক। সেখানে প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তারা। এ বিষয়ে হাইকোর্ট নির্দেশনা দিলেও মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তারা। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানিতে আদালত বৈষম্য দূর করতে নির্দেশ দেন। পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দেওয়া আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলেন আদালত।

কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনার পরও মন্ত্রণালয় এখনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে বঞ্চিত এসব শিক্ষক তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন। মাদ্রাসার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।

বাংলাদেশ স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব আবু মুসা ভূইয়া বলেন, ‘দেশের ১৮ হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করতে হবে। বঞ্চিত শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি করতে হবে।’

সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাগ্য খুলছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের

আপডেট টাইম : ০২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দেশের ১৮ হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের কষ্টের অবসান হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পরে হলেও তাদের বেতন-কাঠামোর আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এছাড়াও মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও কর্মমুখী করে গড়ে তুলতে প্রয়োজনে আরও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা স্থাপন ও মঞ্জুরি, শিক্ষক নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত করতেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালাও করেছে এ কমিটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একই সময় ও শর্তে নিবন্ধিত হলেও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সরকারি করা হলেও ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষককদের বেলায় অনুদান সামান্য বাড়ানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়,একই শিক্ষা ব্যবস্থায় দাখিল মাদ্রাসার সঙ্গে সংযুক্ত ইবতেদায়ি শিক্ষকরা ৯ হাজার ৯১৮ বেতন পেলেও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক পাচ্ছেন আড়াই হাজার টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা পাচ্ছেন মাত্র দুই হাজার ৩০০ টাকা।

এই বৈষম্য দূর করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের সাড়ে আট মাস পর মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ বঞ্চিত ইবতেদায়ি শিক্ষকদের বেতন-কাঠামোর আওতায় নিতে উদ্যোগ নেয়।

বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করেছেন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকরা (ফাইল ছবি)শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (মাদ্রাসা) আহ্বায়ক করে গত ৪ অক্টোবর ১১ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। এই কমিটি একটি খসড়া নীতিমালায় ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের প্রাথমিক পর্যায়ে বেতন-ভাতা নির্ধারণের বিষয়ে সুপারিশ করে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষকরা দাখিল মাদ্রাসায় সংযুক্ত ইবতেদায়ি শিক্ষকদের সমান বেতন পাবেন। পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ বিবেচনার জন্যও সুপারিশ থাকবে চূড়ান্ত নীতিমালায়।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) রওনক মাহমুদ বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, ‘২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রসাগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে একটি নীতিমালা চূড়ান্ত করতে সরকার শক্তিশালী কমিটি গঠন করেছে। সরকার নিশ্চয় শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করতে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবে। তবে চূড়ান্ত নীতিমালায় কী কী থাকবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে সারাদেশের ১৮ হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে নিবন্ধন দেয় সরকার। এরমধ্যে ১৯৯৪ সালে এক হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করা হয়। এই মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকদের প্রথমবারের মতো মাসিক ৫০০ টাকা করে অনুদান বা ভাতা দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে তা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়। ২০১৪ সাল থেকে মহার্ঘ্য ভাতা হিসেবে ২৫০ টাকা বাড়িয়ে মোট এক হাজার ২৫০ টাকা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, ‘সর্বশেষ ২০১৬ সালে অনুদান বাড়িয়ে এমপিওভুক্ত ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের দুই হাজার ৫০০ টাকা এবং সহকারী শিক্ষকদের দুই হাজার ৩০০ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও জানান,১৯৯৪ সালের একই পরিপত্র অনুযায়ী নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সমমানের নিবন্ধিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা ৫০০ টাকা করে ভাতা পেতেন। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল সরকারি করা হয়। কিন্তু স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষকদের জন্য নামমাত্র অনুদান দেওয়া হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করার পর থেকে জাতীয় স্কেলে বেতন দাবি করছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকরা।

মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক সমমানের প্রতিষ্ঠান স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকরা যেখানে মাত্র এক হাজার ২০০ টাকা অনুদান পান, সেখানে দাখিল মাদ্রাসার সঙ্গে সংযুক্ত ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা বেতন পান ৯ হাজার ৯১৮ টাকা। এই বৈষম্য দূর করতে গত বছরের ৭ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার শহীদুল্ল্যাহ বালিকা ইবতেদায়ি মাদ্রাসার চার শিক্ষক। সেখানে প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তারা। এ বিষয়ে হাইকোর্ট নির্দেশনা দিলেও মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তারা। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানিতে আদালত বৈষম্য দূর করতে নির্দেশ দেন। পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দেওয়া আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলেন আদালত।

কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনার পরও মন্ত্রণালয় এখনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে বঞ্চিত এসব শিক্ষক তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন। মাদ্রাসার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।

বাংলাদেশ স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব আবু মুসা ভূইয়া বলেন, ‘দেশের ১৮ হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করতে হবে। বঞ্চিত শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি করতে হবে।’

সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন