ঢাকা , সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈশাখী সাজগোজ নিয়ে চলছে শেষমূহূর্তের ভাবনা

প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ চলে এসেছে। বাঙালির হাজার বছরের লালিত ঐতিহ্যবাহী বৈশাখের আগমনকে ঘিরে সারা দেশে চলছে উৎসবের আমেজ। বৈশাখী সাজগোজ নিয়ে চলছে শেষমূহূর্তের ভাবনা। বাংলা বছরকে বরণ করার জন্য উৎসব, তাই সাজসজ্জায়ও থাকতে হবে বাঙালিয়ানা। আর তা যেন আপনার সাথে মানানসই হয় এবং আপনি সহজেই ক্যারি করতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে নিজের আরামের বিষয়টিও।

বৈশাখকে বরণ করে নেওয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে শহরের ফ্যাশন হাউজ এবং বিউটি পার্লারগুলো। দুই তিন দিন আগে থেকে ফেসিয়াল, স্কিন পলিশ, মেনিকিওর, পেডিকিওর করে নিলে ভালো। চুলের জন্য প্রোটিন প্যাক ব্যবহার করুন। এতে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ফ্রেস দেখাবে আর চুল ও ঝলমল করবে।

আগের রাতেই সব প্রসাধনী সামগ্রী হাতের কাছে গুছিয়ে রাখতে হবে। তাহলে সকালে তৈরি হওয়ার সময় খুব ঝামেলায় পড়তে হবে না। যেহেতু বাইরে তীব্র গরম তাই ফাউন্ডেশন বা প্যান কেক যাই ব্যবহার করা হোক সেটা যেন ওয়াটার প্রুফ হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। অবশ্যই মেইকআপের আগে সানস্ক্রিন লোশন ও সানস্ক্রিনযুক্ত পাউডার ব্যবহার করতে হবে।

মুখে, গলায়, ঘাড়ে, পিঠে ও হাতেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হবে। আর সঙ্গে একটি রঙিন ছাতা, ছোটপাখা ও এক বোতল পানি রাখতে মোটেও ভুল করবেন না।

মেকআপ

সময়টাজুড়ে থাকবে বেশ গরম এবং কড়া রোদ। সবকিছু বিবেচনা করে এ দিনের সাজটা হওয়া চাই একেবারেই হালকা। কেননা দিনে কড়া আলোয় এ সময় মেকাপের খুঁত সহজেই ধরা পড়ে এবং অতিরঞ্জিত হলে দৃষ্টিকটু মনে হয়। তাই যতটা সম্ভব হালকা ও ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ ব্যবহার করবেন। এবং ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন এবং যত্নসহকারে ফিনিশিং দিন। গালের চিক বোনের উপর কিছুটা ব্লাশ লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রেও ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
পোশাকের রংয়ের সঙ্গে মানিয়ে চোখে আইশ্যাডো লাগাতে হবে। চোখের মেকআপের ক্ষেত্রে ন্যাচারাল আইশেড ব্যবহার করুন। সেক্ষেত্রে ব্রাউন, ব্ল্যাক, গোল্ডেন, কপারের কম্বিনেশন ভালো লাগবে। মোটামুটি সব রঙের পোশাকের সাথেই মানিয়ে যাবে।
চোখ বুঝে লাইনার ব্যবহার করুন। আপনার চোখের ও সাজের ধরনই বলে দেবে কিভাবে লাইনার ব্যবহার করে আপনার চোখকে আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব।
আপার ও লোয়ার ল্যাশে দিন ঘন মাশকারার প্রলেপ। বাঙালিয়ানা সাজে চোখের লাইনার কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। রাতের সাজে চোখে গাঢ় মেইকআপ বেশি মানানসই।

পোশাকের রংয়ে বা সম্পূর্ণ ভিন্ন রং কন্ট্রাস্ট আই শ্যাডোর সঙ্গে নীল, সবুজ, সোনালি বা রূপালি যে কোনো রংয়ের আইলাইনার ব্যবহার করা যেতে পারে। পাপড়িতে ঘন করে কয়েক কোট মাশকারা লাগিয়ে নেওয়া যাবে।

চোখের মেইকআপ গাঢ় হলে ন্যাচারাল, বাদামি, পিচ অথবা গোলাপি রংয়ের লিপস্টিক লাগালে ভালো লাগবে। আপনার পছন্দের লিপকালার লাগান তবে গ্লসি ও পার্লি লিপস্টিক এড়িয়ে চলাই ভালো। ক্রিম, ম্যাট লিপস্টিকই মানানসই হবে এই দিনের সাজের ক্ষেত্রে।

চুলের সাজ

কীভাবে বৈশাখে সাজাতে চান আপনার চুল। সাধারণত বৈশাখের সকাল বেলায় প্রখর রোদ থাকে। সারাদিন সবার সঙ্গে আনন্দে মেতে থাকা আর ঘোরাঘুরি করতে হয়। তাই যেমনই সাজ হোক না কেন তা যেন হয় আরামদায়ক। যাদের চুল বড় এবং বেঁধে রাখতে পছন্দ করেন, তারা খোপা করে নিতে পারেন।

শাড়ি বা সালওয়ার কামিজ যাই পরুন না কেন, চুলে খোঁপা বা বেণী দুটোই ভালো মানায়। খোপায় পরার জন্য তাজা যেকোনো ফুলই সুন্দর লাগবে। তবে গাজরার মালা তার বেশি ভালো লাগে। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে একই রঙের বা বিপরীত রঙের যেকোনো ফুলই তিনি খোপায় সাজিয়ে নেন। যেমন সাদা শাড়ির সঙ্গে লাল ফুল। লালের সঙ্গে সাদা ফুল। সবুজ, গোলাপি, হলুদ অন্যান্য যেকোনো রঙের শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে যায় তেমন ফুলটিই বেছে নেন তিনি। তবে বড় ফুল ব্যবহার করতে পারেন পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে। তবে সাদা রঙের ফুল যেকোনো পোশাকের সঙ্গেই মানানসই।

মানানসই কাটে মাঝারি বা ছোট চুল ছেড়ে দিলেও ভালো মানায়। উৎসবের দিন সেটাকে আয়রন করে একপাশে রেখে দিতে পারেন। ছোট্ট কোনো ব্যান্ড দিয়েও হাল্কা হাতে একটু অগোছালো করে আঁটকে নিতে পারেন।

লাল ঠোঁটে, লাল টিপের সঙ্গে লাল রঙ্গন, গোলাপ, জবা, পরলে ভালো লাগবে। সেই সঙ্গে চুলে করে নিতে পারেন হাত খোপা, বেনি খোপা, উঁচু খোপা, গোল খোপা, পনিটেইল, খেজুর বেনি, ফ্রেঞ্চরোল ইত্যাদি। অনেকগুলো ফুল বাজারে কিনতে পাওয়া না গেলেও নিজ বাগানে অথবা আশপাশের বাড়িতে পাওয়া যায়।

গহনা

শাড়ির সঙ্গে গহনা না হলে কি চলে? সেক্ষেত্রে মাটির গহনা বেছে নেয়া ভালো। মাটির মালা হতে হবে লম্বা। আবার কাঠ, রূপা, মুক্তা বা তামার মালা পরতে পারেন। ভারি গহনা পরতে না চাইলে ফুলের মালা বেছে নিন।

চুড়ি

বাঙালি নারীর হাত ভর্তি চুড়ি তো থাকতেই হবে! গয়না না পরলেও দুহাত ভর্তি চুড়ি সাজ পূর্ণ করে দেয়। শাড়ির পাড়ের সঙ্গে মিলিয়ে রেশমি চুড়ি পরতে পারেন। মাটির বা কাঠের চুড়িও কিন্তু বেশ মানিয়ে যায়। পোশাকের রঙের প্রাধান্য যেটাই থাকুক না কেন, হাতে থাকা চাই রেশমি চুড়ি।

টিপ

টিপটা কেন বাকি থাকবে। যেহেতু বৈশাখ তাই গোল টিপের পাশাপাশি তুলি দিয়ে একে নিতে পারেন হালকা ডিজাইনের মানানসই টিপ। যত ফ্যাশনই থাকুক না কেন বৈশাখে বাঙালিরা নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ করে ঘরোয়া সাজে। ফুটিয়ে তুলে নিজেদের ঐতিহ্য।

ব্যাগ-জুতা ও অন্যান্য

শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং করে ব্যাগ নির্বাচন করুন। কালো আর লাল কালার ব্যাগ মানিয়ে যায় সব রঙের শাড়ির সঙ্গে। মাঝারি সাইজের ব্যাগ ব্যবহার করুন। গরমের জন্য টুকটাক প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যাগে রাখবেন; ছোটপানির বোতল, হাল্কা মেকআপ, রুমাল এইসব। তবে ব্যাগ যেন বেশি ভারি না হয়।

অনেকেই হিল পরে হাঁটতে পারেন না, আর এই উৎসবে হাঁটতে তো হয়ই। তাই স্লিপার পরাই ভালো।

সারা বছরে এই পয়লা বৈশাখ একবারই পাওয়া যায়, এজন্য এর পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়া দরকার। তাই দু’দিন আগে থেকেই গুছিয়ে রাখুন আপনার প্রয়োজনীয় সবকিছু, নিজস্ব স্টাইলে সাজুন আর আরামদায়কভাবে উৎসবটি উপভোগ করুন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বৈশাখী সাজগোজ নিয়ে চলছে শেষমূহূর্তের ভাবনা

আপডেট টাইম : ০৩:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৬

প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ চলে এসেছে। বাঙালির হাজার বছরের লালিত ঐতিহ্যবাহী বৈশাখের আগমনকে ঘিরে সারা দেশে চলছে উৎসবের আমেজ। বৈশাখী সাজগোজ নিয়ে চলছে শেষমূহূর্তের ভাবনা। বাংলা বছরকে বরণ করার জন্য উৎসব, তাই সাজসজ্জায়ও থাকতে হবে বাঙালিয়ানা। আর তা যেন আপনার সাথে মানানসই হয় এবং আপনি সহজেই ক্যারি করতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে নিজের আরামের বিষয়টিও।

বৈশাখকে বরণ করে নেওয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে শহরের ফ্যাশন হাউজ এবং বিউটি পার্লারগুলো। দুই তিন দিন আগে থেকে ফেসিয়াল, স্কিন পলিশ, মেনিকিওর, পেডিকিওর করে নিলে ভালো। চুলের জন্য প্রোটিন প্যাক ব্যবহার করুন। এতে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ফ্রেস দেখাবে আর চুল ও ঝলমল করবে।

আগের রাতেই সব প্রসাধনী সামগ্রী হাতের কাছে গুছিয়ে রাখতে হবে। তাহলে সকালে তৈরি হওয়ার সময় খুব ঝামেলায় পড়তে হবে না। যেহেতু বাইরে তীব্র গরম তাই ফাউন্ডেশন বা প্যান কেক যাই ব্যবহার করা হোক সেটা যেন ওয়াটার প্রুফ হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। অবশ্যই মেইকআপের আগে সানস্ক্রিন লোশন ও সানস্ক্রিনযুক্ত পাউডার ব্যবহার করতে হবে।

মুখে, গলায়, ঘাড়ে, পিঠে ও হাতেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হবে। আর সঙ্গে একটি রঙিন ছাতা, ছোটপাখা ও এক বোতল পানি রাখতে মোটেও ভুল করবেন না।

মেকআপ

সময়টাজুড়ে থাকবে বেশ গরম এবং কড়া রোদ। সবকিছু বিবেচনা করে এ দিনের সাজটা হওয়া চাই একেবারেই হালকা। কেননা দিনে কড়া আলোয় এ সময় মেকাপের খুঁত সহজেই ধরা পড়ে এবং অতিরঞ্জিত হলে দৃষ্টিকটু মনে হয়। তাই যতটা সম্ভব হালকা ও ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ ব্যবহার করবেন। এবং ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন এবং যত্নসহকারে ফিনিশিং দিন। গালের চিক বোনের উপর কিছুটা ব্লাশ লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রেও ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
পোশাকের রংয়ের সঙ্গে মানিয়ে চোখে আইশ্যাডো লাগাতে হবে। চোখের মেকআপের ক্ষেত্রে ন্যাচারাল আইশেড ব্যবহার করুন। সেক্ষেত্রে ব্রাউন, ব্ল্যাক, গোল্ডেন, কপারের কম্বিনেশন ভালো লাগবে। মোটামুটি সব রঙের পোশাকের সাথেই মানিয়ে যাবে।
চোখ বুঝে লাইনার ব্যবহার করুন। আপনার চোখের ও সাজের ধরনই বলে দেবে কিভাবে লাইনার ব্যবহার করে আপনার চোখকে আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব।
আপার ও লোয়ার ল্যাশে দিন ঘন মাশকারার প্রলেপ। বাঙালিয়ানা সাজে চোখের লাইনার কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। রাতের সাজে চোখে গাঢ় মেইকআপ বেশি মানানসই।

পোশাকের রংয়ে বা সম্পূর্ণ ভিন্ন রং কন্ট্রাস্ট আই শ্যাডোর সঙ্গে নীল, সবুজ, সোনালি বা রূপালি যে কোনো রংয়ের আইলাইনার ব্যবহার করা যেতে পারে। পাপড়িতে ঘন করে কয়েক কোট মাশকারা লাগিয়ে নেওয়া যাবে।

চোখের মেইকআপ গাঢ় হলে ন্যাচারাল, বাদামি, পিচ অথবা গোলাপি রংয়ের লিপস্টিক লাগালে ভালো লাগবে। আপনার পছন্দের লিপকালার লাগান তবে গ্লসি ও পার্লি লিপস্টিক এড়িয়ে চলাই ভালো। ক্রিম, ম্যাট লিপস্টিকই মানানসই হবে এই দিনের সাজের ক্ষেত্রে।

চুলের সাজ

কীভাবে বৈশাখে সাজাতে চান আপনার চুল। সাধারণত বৈশাখের সকাল বেলায় প্রখর রোদ থাকে। সারাদিন সবার সঙ্গে আনন্দে মেতে থাকা আর ঘোরাঘুরি করতে হয়। তাই যেমনই সাজ হোক না কেন তা যেন হয় আরামদায়ক। যাদের চুল বড় এবং বেঁধে রাখতে পছন্দ করেন, তারা খোপা করে নিতে পারেন।

শাড়ি বা সালওয়ার কামিজ যাই পরুন না কেন, চুলে খোঁপা বা বেণী দুটোই ভালো মানায়। খোপায় পরার জন্য তাজা যেকোনো ফুলই সুন্দর লাগবে। তবে গাজরার মালা তার বেশি ভালো লাগে। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে একই রঙের বা বিপরীত রঙের যেকোনো ফুলই তিনি খোপায় সাজিয়ে নেন। যেমন সাদা শাড়ির সঙ্গে লাল ফুল। লালের সঙ্গে সাদা ফুল। সবুজ, গোলাপি, হলুদ অন্যান্য যেকোনো রঙের শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে যায় তেমন ফুলটিই বেছে নেন তিনি। তবে বড় ফুল ব্যবহার করতে পারেন পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে। তবে সাদা রঙের ফুল যেকোনো পোশাকের সঙ্গেই মানানসই।

মানানসই কাটে মাঝারি বা ছোট চুল ছেড়ে দিলেও ভালো মানায়। উৎসবের দিন সেটাকে আয়রন করে একপাশে রেখে দিতে পারেন। ছোট্ট কোনো ব্যান্ড দিয়েও হাল্কা হাতে একটু অগোছালো করে আঁটকে নিতে পারেন।

লাল ঠোঁটে, লাল টিপের সঙ্গে লাল রঙ্গন, গোলাপ, জবা, পরলে ভালো লাগবে। সেই সঙ্গে চুলে করে নিতে পারেন হাত খোপা, বেনি খোপা, উঁচু খোপা, গোল খোপা, পনিটেইল, খেজুর বেনি, ফ্রেঞ্চরোল ইত্যাদি। অনেকগুলো ফুল বাজারে কিনতে পাওয়া না গেলেও নিজ বাগানে অথবা আশপাশের বাড়িতে পাওয়া যায়।

গহনা

শাড়ির সঙ্গে গহনা না হলে কি চলে? সেক্ষেত্রে মাটির গহনা বেছে নেয়া ভালো। মাটির মালা হতে হবে লম্বা। আবার কাঠ, রূপা, মুক্তা বা তামার মালা পরতে পারেন। ভারি গহনা পরতে না চাইলে ফুলের মালা বেছে নিন।

চুড়ি

বাঙালি নারীর হাত ভর্তি চুড়ি তো থাকতেই হবে! গয়না না পরলেও দুহাত ভর্তি চুড়ি সাজ পূর্ণ করে দেয়। শাড়ির পাড়ের সঙ্গে মিলিয়ে রেশমি চুড়ি পরতে পারেন। মাটির বা কাঠের চুড়িও কিন্তু বেশ মানিয়ে যায়। পোশাকের রঙের প্রাধান্য যেটাই থাকুক না কেন, হাতে থাকা চাই রেশমি চুড়ি।

টিপ

টিপটা কেন বাকি থাকবে। যেহেতু বৈশাখ তাই গোল টিপের পাশাপাশি তুলি দিয়ে একে নিতে পারেন হালকা ডিজাইনের মানানসই টিপ। যত ফ্যাশনই থাকুক না কেন বৈশাখে বাঙালিরা নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ করে ঘরোয়া সাজে। ফুটিয়ে তুলে নিজেদের ঐতিহ্য।

ব্যাগ-জুতা ও অন্যান্য

শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং করে ব্যাগ নির্বাচন করুন। কালো আর লাল কালার ব্যাগ মানিয়ে যায় সব রঙের শাড়ির সঙ্গে। মাঝারি সাইজের ব্যাগ ব্যবহার করুন। গরমের জন্য টুকটাক প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যাগে রাখবেন; ছোটপানির বোতল, হাল্কা মেকআপ, রুমাল এইসব। তবে ব্যাগ যেন বেশি ভারি না হয়।

অনেকেই হিল পরে হাঁটতে পারেন না, আর এই উৎসবে হাঁটতে তো হয়ই। তাই স্লিপার পরাই ভালো।

সারা বছরে এই পয়লা বৈশাখ একবারই পাওয়া যায়, এজন্য এর পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়া দরকার। তাই দু’দিন আগে থেকেই গুছিয়ে রাখুন আপনার প্রয়োজনীয় সবকিছু, নিজস্ব স্টাইলে সাজুন আর আরামদায়কভাবে উৎসবটি উপভোগ করুন।