ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতকালে টক দই খেলে কী হয়

শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আনতে শুরু করে । এই ঋতুতে মানুষ ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পেতে তাদের খাদ্যাভাস, পোশাক এবং জীবনযাত্রায় প্রায়ই পরিবর্তন করে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময় অনেকেই নানা ধরনের রোগব্যাধিতে ভোগেন। তাছাড়া শীতকাল পড়লে এমনিতেই জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ে। এ সময়ে রোগের সঙ্গে লড়তে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা জরুরি। সেক্ষেত্রে কিছু খাবার গুরুত্বপূর্ণ। এই তালিকায় টক দই রাখা জরুরি।

টক দইয়ে প্রোবায়োটিক উপাদান ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়ামও থাকে। শীতকালে হাড় ভাল রাখতে দই খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্যালশিয়াম সবচেয়ে উপকারী উপাদান। এ ছাড়া গ্যাস, পেট ফাঁপা, গ্যাসের মতো সমস্যা দূর করতেও টক দইয়ের ক্ষমতা অপরিসীম। এ ছাড়া, দইয়ে রয়েছে ভিটামিন বি ১২ এবং ফসফরাস। শরীরের অনেক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে টক দই।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালেও দই খাওয়া যেতে পারে। কারণ এটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে দই ঘরের তাপমাত্রায় রেখে খাওয়া উচিত। আরেকটা ব্যাপার হলো সন্ধ্যায় বা রাতে মোটেও দই খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে ঠাণ্ডা লাগার ঝুঁকি থাকে। দই খেলে আপনার বিপাকক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। এর ফলে আপনি দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন। তবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে দই খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকাই ভাল।

পরিপাকতন্ত্র উন্নত করে

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দই খেলে পরিপাকতন্ত্র উন্নত হয়। দই প্রোবায়োটিক খাবার হওয়ায় এটি খেলে পাচনতন্ত্রের উপকার হয়। শীতকালে দই খেলে বদহজমের মতো সমস্যাগুলি কমে যায়। শীতকালে দই খেলে গ্যাস, অম্বল, বদহজমের মতো সমস্যা হয় না।

অন্ত্রের জন্য উপকারী 

দই অন্ত্রের জন্যও খুবই উপকারী। দই খেলে শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এটি আমাদের সুস্থ রাখে। এছাড়াও অন্ত্রের কার্যকারিতাও উন্নত হয়।

হাড় মজবুত রাখে

দই খেলে হাড়ের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। দইয়ে হাড় মজবুত রাখার জন্য ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনও থাকে। শীতকালে এটি খেলে হাড়ের ব্যথা কমে যায়। হাড়ও মজবুত থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায়। তবে এই সময়ে নিয়মিত দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। এর ফলে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।

ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী

দইয়ে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্যও খুবই উপকারী। প্রতিদিন দই খাওয়ার ফলে ত্বক স্বাভাবিকভাবেই মসৃণ থাকে। এছাড়াও চুল উজ্জ্বল দেখায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করে

ওজন কমাতে চাইলেও দইয়ের তুলনা নেই। দইয়ে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। এটি খেলে পেট দ্রুত ভরে যায়। এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে । এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

শীতকালে টক দই খেলে কী হয়

আপডেট টাইম : ০১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আনতে শুরু করে । এই ঋতুতে মানুষ ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পেতে তাদের খাদ্যাভাস, পোশাক এবং জীবনযাত্রায় প্রায়ই পরিবর্তন করে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময় অনেকেই নানা ধরনের রোগব্যাধিতে ভোগেন। তাছাড়া শীতকাল পড়লে এমনিতেই জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ে। এ সময়ে রোগের সঙ্গে লড়তে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা জরুরি। সেক্ষেত্রে কিছু খাবার গুরুত্বপূর্ণ। এই তালিকায় টক দই রাখা জরুরি।

টক দইয়ে প্রোবায়োটিক উপাদান ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়ামও থাকে। শীতকালে হাড় ভাল রাখতে দই খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্যালশিয়াম সবচেয়ে উপকারী উপাদান। এ ছাড়া গ্যাস, পেট ফাঁপা, গ্যাসের মতো সমস্যা দূর করতেও টক দইয়ের ক্ষমতা অপরিসীম। এ ছাড়া, দইয়ে রয়েছে ভিটামিন বি ১২ এবং ফসফরাস। শরীরের অনেক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে টক দই।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালেও দই খাওয়া যেতে পারে। কারণ এটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে দই ঘরের তাপমাত্রায় রেখে খাওয়া উচিত। আরেকটা ব্যাপার হলো সন্ধ্যায় বা রাতে মোটেও দই খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে ঠাণ্ডা লাগার ঝুঁকি থাকে। দই খেলে আপনার বিপাকক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। এর ফলে আপনি দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন। তবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে দই খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকাই ভাল।

পরিপাকতন্ত্র উন্নত করে

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দই খেলে পরিপাকতন্ত্র উন্নত হয়। দই প্রোবায়োটিক খাবার হওয়ায় এটি খেলে পাচনতন্ত্রের উপকার হয়। শীতকালে দই খেলে বদহজমের মতো সমস্যাগুলি কমে যায়। শীতকালে দই খেলে গ্যাস, অম্বল, বদহজমের মতো সমস্যা হয় না।

অন্ত্রের জন্য উপকারী 

দই অন্ত্রের জন্যও খুবই উপকারী। দই খেলে শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এটি আমাদের সুস্থ রাখে। এছাড়াও অন্ত্রের কার্যকারিতাও উন্নত হয়।

হাড় মজবুত রাখে

দই খেলে হাড়ের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। দইয়ে হাড় মজবুত রাখার জন্য ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনও থাকে। শীতকালে এটি খেলে হাড়ের ব্যথা কমে যায়। হাড়ও মজবুত থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায়। তবে এই সময়ে নিয়মিত দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। এর ফলে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।

ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী

দইয়ে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্যও খুবই উপকারী। প্রতিদিন দই খাওয়ার ফলে ত্বক স্বাভাবিকভাবেই মসৃণ থাকে। এছাড়াও চুল উজ্জ্বল দেখায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করে

ওজন কমাতে চাইলেও দইয়ের তুলনা নেই। দইয়ে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। এটি খেলে পেট দ্রুত ভরে যায়। এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে । এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।