ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আউশ ধানের বাম্পার ফলন

জেলার ফুলবাড়ীতে শুরু হয়েছে আউশ ধানের কাটামাড়াই। বাম্পার ফলন হওয়ায় হাঁসি দেখা দিয়েছে কৃষকের মুখে। আমন রোপনের পুর্বে এই ধান ঘরে উঠায় আমন রোপনের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে এই ধান।

বৃহস্পতিবার উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের বাজিতপুর এলাকায় আবু সাঈদের জমিতে আউশ ধান কাটা মাড়া করা দেখতে যান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

এ সময় আউশ ধান চাষী আবু সাঈদ জানান, অল্প সময়ে এই ধান ঘরে উঠায় কৃষকেরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হচ্ছে। একই কথা বলেন, পুটকিয়া গ্রামের জুয়েল, কাঁটাবাড়ী গ্রামের আসাদুল ও গোপালপুর গ্রামের হরিপদ রায়।

এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হামিম আশরাফ জানান, বোরো ধান কাটার পর, আউশ ধান রোপন করা হয় এবং আমন রোপনের পুর্বেই এই ধান কাটামাড়াই শেষ হয়। আমন ও বোরোর মাঝামাঝি সময়ে আউশ ধান ঘরে আসায় কৃষকরা এই বাড়তি ফসলের উৎপাদন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি হচ্ছে। এজন্য আউশ চাষ করায় উৎসাহ যোগাতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস এর পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল বীজ ও সার প্রনোদনা প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সুত্রে জানা যায়, এবছর এই উপজেলায় ৪৪৫ একর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে এবং একর প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ মন ধান পর্যন্ত উৎপাদন হচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল এই ধান স্বল্প সময়ে কৃষকের ঘরে উঠায় এই উপজেলার কৃষকদের মাঝে আউশ চাষের ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আউশ ধানের বাম্পার ফলন

আপডেট টাইম : ০৬:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০১৬

জেলার ফুলবাড়ীতে শুরু হয়েছে আউশ ধানের কাটামাড়াই। বাম্পার ফলন হওয়ায় হাঁসি দেখা দিয়েছে কৃষকের মুখে। আমন রোপনের পুর্বে এই ধান ঘরে উঠায় আমন রোপনের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে এই ধান।

বৃহস্পতিবার উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের বাজিতপুর এলাকায় আবু সাঈদের জমিতে আউশ ধান কাটা মাড়া করা দেখতে যান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

এ সময় আউশ ধান চাষী আবু সাঈদ জানান, অল্প সময়ে এই ধান ঘরে উঠায় কৃষকেরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হচ্ছে। একই কথা বলেন, পুটকিয়া গ্রামের জুয়েল, কাঁটাবাড়ী গ্রামের আসাদুল ও গোপালপুর গ্রামের হরিপদ রায়।

এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হামিম আশরাফ জানান, বোরো ধান কাটার পর, আউশ ধান রোপন করা হয় এবং আমন রোপনের পুর্বেই এই ধান কাটামাড়াই শেষ হয়। আমন ও বোরোর মাঝামাঝি সময়ে আউশ ধান ঘরে আসায় কৃষকরা এই বাড়তি ফসলের উৎপাদন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি হচ্ছে। এজন্য আউশ চাষ করায় উৎসাহ যোগাতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস এর পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল বীজ ও সার প্রনোদনা প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সুত্রে জানা যায়, এবছর এই উপজেলায় ৪৪৫ একর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে এবং একর প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ মন ধান পর্যন্ত উৎপাদন হচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল এই ধান স্বল্প সময়ে কৃষকের ঘরে উঠায় এই উপজেলার কৃষকদের মাঝে আউশ চাষের ব্যাপক সাড়া পড়েছে।