ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝড়-বৃষ্টিতে শংকা বাড়ছে কৃষকের

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কয়েক দফায় শিলাবৃষ্টির পর শনিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে আবারো ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে নওগাঁয়। আজ রোববার (২৯ এপ্রিল) ভোর থেকে থেমে থেমে চলছে ঝড়-বৃষ্টি। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দেশের খাদ্য ভাণ্ডার নামে পরিচিত জেলা নওগাঁর বোরো চাষিরা। বিশেষ করে জেলার সীমান্তবর্তী ধামইরহাট, সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ একটু বেশি।

জেলার মহাদেবপুর উপজেলার গোসাইপুর গ্রামের কৃষক মেছের আলী বাঙালী কণ্ঠকে জানান, ধানের শীষগুলোতে পরিপূর্ণ চাল চলে আশায় একটু বৃষ্টিতেই সেগুলো পড়ে যাচ্ছে। এলাকার প্রায় অধিকাংশ মাঠের ধান এখন মাটিতে শুয়ে পড়েছে। যদি এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকে তাহলে এসব ধান আর ঘরে তোলা যাবে না।

পত্নীতলা উপজেলার নান্দাশ গ্রামের আরেক কৃষক মিনারুল ইসলাম বাঙালী কণ্ঠকে জানান, মাঠের ৭০ শতাংশ জমির ধান পেকে গেছে। আগামী দুই সপ্তাহ যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে ধানগুলো ঘরে তোলা সম্ভব হবে। আর এভাবে যদি বৃষ্টি হতে থাকে তাহলে কৃষক তাদের ধান ঘরে তুলতে পারবে না।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বাঙালী কণ্ঠকে জানান, এ বছর জেলায় ১ লাখ ৯১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। কিছু মাঠের ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে তা ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে।

বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অফিসার হামিদুল হক বাঙালী কণ্ঠকে জানান, এ এলাকায় আগামী দু’দিন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

ঝড়-বৃষ্টিতে শংকা বাড়ছে কৃষকের

আপডেট টাইম : ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কয়েক দফায় শিলাবৃষ্টির পর শনিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে আবারো ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে নওগাঁয়। আজ রোববার (২৯ এপ্রিল) ভোর থেকে থেমে থেমে চলছে ঝড়-বৃষ্টি। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দেশের খাদ্য ভাণ্ডার নামে পরিচিত জেলা নওগাঁর বোরো চাষিরা। বিশেষ করে জেলার সীমান্তবর্তী ধামইরহাট, সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ একটু বেশি।

জেলার মহাদেবপুর উপজেলার গোসাইপুর গ্রামের কৃষক মেছের আলী বাঙালী কণ্ঠকে জানান, ধানের শীষগুলোতে পরিপূর্ণ চাল চলে আশায় একটু বৃষ্টিতেই সেগুলো পড়ে যাচ্ছে। এলাকার প্রায় অধিকাংশ মাঠের ধান এখন মাটিতে শুয়ে পড়েছে। যদি এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকে তাহলে এসব ধান আর ঘরে তোলা যাবে না।

পত্নীতলা উপজেলার নান্দাশ গ্রামের আরেক কৃষক মিনারুল ইসলাম বাঙালী কণ্ঠকে জানান, মাঠের ৭০ শতাংশ জমির ধান পেকে গেছে। আগামী দুই সপ্তাহ যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে ধানগুলো ঘরে তোলা সম্ভব হবে। আর এভাবে যদি বৃষ্টি হতে থাকে তাহলে কৃষক তাদের ধান ঘরে তুলতে পারবে না।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বাঙালী কণ্ঠকে জানান, এ বছর জেলায় ১ লাখ ৯১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। কিছু মাঠের ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে তা ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে।

বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অফিসার হামিদুল হক বাঙালী কণ্ঠকে জানান, এ এলাকায় আগামী দু’দিন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।