ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটলের বাড়তি দাম খুশি কৃষক

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মৌসুমের শেষ পর্যায়ে পটলের বাড়তি দামে খুশি রাজশাহীর কৃষকরা। এ কারণে পটলের খেতের যত্নও বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা। জানা গেছে, পটলের দাম মাসখানেক আগে কম থাকলেও বর্তমানে পবার নওহাটা, মোহনপুরের কেশরহাট, বিদিরপুরহাট, মৌগাছি এবং বাগমারার ভবানীগঞ্জ ও মোহনগঞ্জ হাটে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

মোহনপুর উপজেলার বিদিরপুর হাটে সোমবার দুপুরে জমি থেকে নিয়ে আসা প্রতি মণ পটল ১ হাজার ৬৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে মাচার পটল প্রতি মণ আরও ২০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। ফলে প্রতি কেজি পটলচাষিরাই বিক্রি করছেন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দামে।

এ উপজেলার নুড়িয়াক্ষেত্র গ্রামের কৃষক তোবারক আলী জানান, তিনি ১০ কাঠা জমিতে পটলের আবাদ করেছেন। প্রথম প্রথম দাম একটু কম ছিল। এখন বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। পটলে তেমন রোগ-বালাই নেই। পটলের আবাদও ভালো হয়েছে। ফলে লাভবান হচ্ছেন কৃষক।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রাজশাহী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলার ৮৮০ হেক্টর (৭ হাজার ৫৪৭ বিঘা) জমিতে পটলের চাষ হয়েছে।

প্রায় সবকটি উপজেলায় পটলের চাষ হয়েছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পবায় এক হাজার ২৫০ হেক্টর, মোহনপুরে ২০০ হেক্টর এবং বাগমারায় ১১০ হেক্টর জমিতে পটলের চাষ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রাজশাহীর উপপরিচালক দেব দুলাল ঢালী বলেন, রাজশাহী অঞ্চলের জমি পটল চাষের জন্য উপযোগী। এবার পটলের ফলন ভালো হয়েছে। দামও বেশি। ফলে আগামীতে এ অঞ্চলের কৃষক পটল চাষে আরেও উৎসাহী হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

পটলের বাড়তি দাম খুশি কৃষক

আপডেট টাইম : ১২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মৌসুমের শেষ পর্যায়ে পটলের বাড়তি দামে খুশি রাজশাহীর কৃষকরা। এ কারণে পটলের খেতের যত্নও বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা। জানা গেছে, পটলের দাম মাসখানেক আগে কম থাকলেও বর্তমানে পবার নওহাটা, মোহনপুরের কেশরহাট, বিদিরপুরহাট, মৌগাছি এবং বাগমারার ভবানীগঞ্জ ও মোহনগঞ্জ হাটে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

মোহনপুর উপজেলার বিদিরপুর হাটে সোমবার দুপুরে জমি থেকে নিয়ে আসা প্রতি মণ পটল ১ হাজার ৬৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে মাচার পটল প্রতি মণ আরও ২০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। ফলে প্রতি কেজি পটলচাষিরাই বিক্রি করছেন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দামে।

এ উপজেলার নুড়িয়াক্ষেত্র গ্রামের কৃষক তোবারক আলী জানান, তিনি ১০ কাঠা জমিতে পটলের আবাদ করেছেন। প্রথম প্রথম দাম একটু কম ছিল। এখন বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। পটলে তেমন রোগ-বালাই নেই। পটলের আবাদও ভালো হয়েছে। ফলে লাভবান হচ্ছেন কৃষক।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রাজশাহী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলার ৮৮০ হেক্টর (৭ হাজার ৫৪৭ বিঘা) জমিতে পটলের চাষ হয়েছে।

প্রায় সবকটি উপজেলায় পটলের চাষ হয়েছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পবায় এক হাজার ২৫০ হেক্টর, মোহনপুরে ২০০ হেক্টর এবং বাগমারায় ১১০ হেক্টর জমিতে পটলের চাষ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রাজশাহীর উপপরিচালক দেব দুলাল ঢালী বলেন, রাজশাহী অঞ্চলের জমি পটল চাষের জন্য উপযোগী। এবার পটলের ফলন ভালো হয়েছে। দামও বেশি। ফলে আগামীতে এ অঞ্চলের কৃষক পটল চাষে আরেও উৎসাহী হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।