ঢাকা , শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়মিত দুই গ্লাস গরম পানি পানের বিস্ময়কর উপকারিতা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ নিশ্চয়ই জানেন, পানির অপর নাম জীবন। তথ্যটি আসলেই সঠিক। কারণ পানি কেবল আমাদের তৃষ্ণাই মেটায় না, আমাদের দেহকে নানা রোগ থেকে দূরেও রাখে। তাইতো সুস্থ থাকার জন্য আমাদের সবারই পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।

এদিকে, দেশে আবারো বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। রোগী সনাক্ত বাড়ছে রেকর্ড পরিমাণ, পাশাপাশি মৃত্যুবরণ করছেন অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখার বিকল্প নেই। এসময় আপনাকে সুস্থ থাকতে দারুণভাবে সহায়তা করবে পানি । তবে ঠাণ্ডা নয়, গরম পানির রয়েছে আশ্চর্য উপকারিতা।

অনেকেই হয়ত ভাবছেন, এই গরমে আবার গরম পানি পান করলে পিপাসা মিটবে না। তবে এই ধারণা ভুল, এই সময় ঠাণ্ডা পানির বদলে হালকা গরম পানি পান করে তেষ্টা মেটানোই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সারাদিন হালকা গরম পানিতে গলা ভেজালে এই সময় আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন।

একদল জাপানি চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে, কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে গরম পানি ১০০% কার্যকর।

তাই করোনার এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে নিজের ও পরিবারের সুস্থতা বজায় রাখতে গরম পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক গরম পানি পানের উপকারিতাগুলো-

>> মাইগ্রেন

>> উচ্চ রক্তচাপ

>> নিম্ন রক্তচাপ

>> জয়েন্ট এর ব্যথা

>> হঠাৎ হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি এবং হ্রাস

>> মৃগী

>>  কোলেস্টেরলের মাত্রা

>> কাশি

>> শারীরিক অস্বস্তি

>> গাটের ব্যথা

>>  হাঁপানি

>> ফোঁস কাশি

>> শিরায় বাধা

>> জরায়ু ও মূত্র সম্পর্কিত রোগ

>> পেটের সমস্যা

>> ক্ষুধার সমস্যা

>> মাথাব্যথা

>> এছাড়াও চোখ, কান এবং গলা সম্পর্কিত সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি দেয় গরম পানি।

কীভাবে গরম পানি পান করবেন?

নিয়মিত রাত ১০ থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে প্রায় ২ গ্লাস গরম পানি পান করতে হবে। প্রথম দিকে ২ গ্লাস পানি পান করতে সক্ষম নাও হতে পারে কেউ তবে আস্তে আস্তে  এটি করতে পারবে।

মনে রাখা জরুরি যে, গরম পানি পান করার পরে ৪৫ মিনিট কোনো কিছুই খাওয়া যাবে না।

গরম পানি থেরাপি যুক্তি সঙ্গত সময়ের মধ্যে যে সমস্ত স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর সমাধান করবে, নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো –

>> ৩০ দিনের মধ্যে ডায়াবেটিস

>> ৩০ দিনের মধ্যে রক্তচাপ

>> ১০ দিনের মধ্যে পেটের সমস্যা

>> ৯ মাসের মধ্যে সমস্ত ধরণের ক্যান্সার

>> ৬ মাসের মধ্যে শিরার বাধার সমস্যা

>> ১০ দিনের মধ্যে ক্ষুধা জাতীয় সমস্যা

>> ১০ দিনের মধ্যে জরায়ু এবং এর সম্পর্কিত রোগগুলো

>> ১০ দিনের মধ্যে নাক, কান এবং গলার সমস্যা

>> ১৫ দিনের মধ্যে মহিলাদের সমস্যা

>> ৩০ দিনের মধ্যে হৃদরোগ জাতীয় সমস্যা

>> ৩ দিনর মধ্যে মাথাব্যথা / মাইগ্রেন সমস্যা

>> ৪ মাসের মধ্যে কোলেস্টেরল সমস্যা

>> ৯ মাসের মধ্যে মৃগী এবং পক্ষাঘাত সমস্যা

>> ৪ মাসের মধ্যে হাঁপানি সমস্যা

ঠাণ্ডা পানি কেন পান করবেন না?

জানেন কি, পানি পান করা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে! যদি অল্প বয়সে ঠাণ্ডা পানি প্রভাবিত না করে, তবে এটি বৃদ্ধ বয়সে ক্ষতি করবেই। চলুন জেনে নেয়া যাক ঠাণ্ডা পানি পানের ক্ষতিকর দিকগুলো-

>> ঠাণ্ডা পানি হার্টের চারটি শিরা বন্ধ করে দেয় এবং হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়। এক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ হচ্ছে কোল্ড ড্রিংকস।

>> এটি লিভারেও সমস্যা তৈরি করে। এটি লিভারের সঙ্গে ফ্যাট আটকে রাখে। লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের অপেক্ষায় থাকা বেশিরভাগ মানুষ ঠাণ্ডা পানি পান করার কারণে এর শিকার হয়েছেন।

>> ঠাণ্ডা পানি পেটের অভ্যন্তরীণ দেয়ালকে প্রভাবিত করে। এটি বৃহৎ অন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং ফলস্বরূপ ক্যান্সারে রুপ নেয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

নিয়মিত দুই গ্লাস গরম পানি পানের বিস্ময়কর উপকারিতা

আপডেট টাইম : ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ নিশ্চয়ই জানেন, পানির অপর নাম জীবন। তথ্যটি আসলেই সঠিক। কারণ পানি কেবল আমাদের তৃষ্ণাই মেটায় না, আমাদের দেহকে নানা রোগ থেকে দূরেও রাখে। তাইতো সুস্থ থাকার জন্য আমাদের সবারই পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।

এদিকে, দেশে আবারো বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। রোগী সনাক্ত বাড়ছে রেকর্ড পরিমাণ, পাশাপাশি মৃত্যুবরণ করছেন অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখার বিকল্প নেই। এসময় আপনাকে সুস্থ থাকতে দারুণভাবে সহায়তা করবে পানি । তবে ঠাণ্ডা নয়, গরম পানির রয়েছে আশ্চর্য উপকারিতা।

অনেকেই হয়ত ভাবছেন, এই গরমে আবার গরম পানি পান করলে পিপাসা মিটবে না। তবে এই ধারণা ভুল, এই সময় ঠাণ্ডা পানির বদলে হালকা গরম পানি পান করে তেষ্টা মেটানোই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সারাদিন হালকা গরম পানিতে গলা ভেজালে এই সময় আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন।

একদল জাপানি চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে, কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে গরম পানি ১০০% কার্যকর।

তাই করোনার এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে নিজের ও পরিবারের সুস্থতা বজায় রাখতে গরম পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক গরম পানি পানের উপকারিতাগুলো-

>> মাইগ্রেন

>> উচ্চ রক্তচাপ

>> নিম্ন রক্তচাপ

>> জয়েন্ট এর ব্যথা

>> হঠাৎ হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি এবং হ্রাস

>> মৃগী

>>  কোলেস্টেরলের মাত্রা

>> কাশি

>> শারীরিক অস্বস্তি

>> গাটের ব্যথা

>>  হাঁপানি

>> ফোঁস কাশি

>> শিরায় বাধা

>> জরায়ু ও মূত্র সম্পর্কিত রোগ

>> পেটের সমস্যা

>> ক্ষুধার সমস্যা

>> মাথাব্যথা

>> এছাড়াও চোখ, কান এবং গলা সম্পর্কিত সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি দেয় গরম পানি।

কীভাবে গরম পানি পান করবেন?

নিয়মিত রাত ১০ থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে প্রায় ২ গ্লাস গরম পানি পান করতে হবে। প্রথম দিকে ২ গ্লাস পানি পান করতে সক্ষম নাও হতে পারে কেউ তবে আস্তে আস্তে  এটি করতে পারবে।

মনে রাখা জরুরি যে, গরম পানি পান করার পরে ৪৫ মিনিট কোনো কিছুই খাওয়া যাবে না।

গরম পানি থেরাপি যুক্তি সঙ্গত সময়ের মধ্যে যে সমস্ত স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর সমাধান করবে, নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো –

>> ৩০ দিনের মধ্যে ডায়াবেটিস

>> ৩০ দিনের মধ্যে রক্তচাপ

>> ১০ দিনের মধ্যে পেটের সমস্যা

>> ৯ মাসের মধ্যে সমস্ত ধরণের ক্যান্সার

>> ৬ মাসের মধ্যে শিরার বাধার সমস্যা

>> ১০ দিনের মধ্যে ক্ষুধা জাতীয় সমস্যা

>> ১০ দিনের মধ্যে জরায়ু এবং এর সম্পর্কিত রোগগুলো

>> ১০ দিনের মধ্যে নাক, কান এবং গলার সমস্যা

>> ১৫ দিনের মধ্যে মহিলাদের সমস্যা

>> ৩০ দিনের মধ্যে হৃদরোগ জাতীয় সমস্যা

>> ৩ দিনর মধ্যে মাথাব্যথা / মাইগ্রেন সমস্যা

>> ৪ মাসের মধ্যে কোলেস্টেরল সমস্যা

>> ৯ মাসের মধ্যে মৃগী এবং পক্ষাঘাত সমস্যা

>> ৪ মাসের মধ্যে হাঁপানি সমস্যা

ঠাণ্ডা পানি কেন পান করবেন না?

জানেন কি, পানি পান করা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে! যদি অল্প বয়সে ঠাণ্ডা পানি প্রভাবিত না করে, তবে এটি বৃদ্ধ বয়সে ক্ষতি করবেই। চলুন জেনে নেয়া যাক ঠাণ্ডা পানি পানের ক্ষতিকর দিকগুলো-

>> ঠাণ্ডা পানি হার্টের চারটি শিরা বন্ধ করে দেয় এবং হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়। এক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ হচ্ছে কোল্ড ড্রিংকস।

>> এটি লিভারেও সমস্যা তৈরি করে। এটি লিভারের সঙ্গে ফ্যাট আটকে রাখে। লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের অপেক্ষায় থাকা বেশিরভাগ মানুষ ঠাণ্ডা পানি পান করার কারণে এর শিকার হয়েছেন।

>> ঠাণ্ডা পানি পেটের অভ্যন্তরীণ দেয়ালকে প্রভাবিত করে। এটি বৃহৎ অন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং ফলস্বরূপ ক্যান্সারে রুপ নেয়।