বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ রসে টইটম্বুর তরমুজ কেবল আমাদের প্রশান্তিই দেয় না, স্বাস্থ্যের জন্যও কিন্তু এটি ভীষণ ভালো। তরমুজের প্রায় ৯২ শতাংশই পানি। ফলে এই গরমে ডিহাইড্রেশন দূর করতে তরমুজের বিকল্প নেই। এছাড়া ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি১, বি৫, বি৬ পাওয়া যায় রসালো এই ফল থেকে। এত গুণ থাকা সত্ত্বেও একবারে খুব বেশি তরমুজ খাওয়া ঠিক নয়।
একবারে বেশি তরমুজ খেলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে-এমনটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনটিতে তরমুজের কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হয়েছে। আসুন সেগুলো জেনে নেই:
হজমে গন্ডগোল:
তরমুজে প্রচুর পানি ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। বেশি পরিমাণে তরমুজ খেলে হজমে গোলযোগ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, খাবার হজম না হওয়া, গ্যাসের মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এতে চিনির যৌগ হিসেবে পরিচিত সরবিটল থাকে, যাতে গ্যাসের সমস্যা ও পাতলা পায়খানা তৈরি করে।
গ্লুকোজের স্তর বাড়ায়:
যাঁদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, তাঁদের বেশি তরমুজ খাওয়া ঠিক নয়। তাঁদের রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় তরমুজ। এটিকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭২। কোন খাবারে রক্তে শর্করা কতটা বাড়ে, তা নির্ভর করে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং গ্লাইসেমিক লোডের ওপর। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭০-এর বেশি হলে তা উচ্চ মাত্রা, ৫৫-এর নিচে হলে কম মাত্রার। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যত উচ্চ, তা রক্তে শর্করা তত বেশি বাড়ায়। আবার গ্লাইসেমিক লোড ২০-এর বেশি হলে তা উচ্চ, ১১-এর নিচে কম। নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার আগে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
যকৃতে প্রদাহ:
যাঁরা অ্যালকোহল পান করেন, তাঁদের তরমুজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বেশি পরিমাণে তরমুজ খেলে তাঁদের যকৃতে প্রদাহ হতে পটারে। এতে প্রচুর লাইকোপেন থাকায় অ্যালকোহলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে প্রদাহ তৈরি করে। যকৃতে এ ধরনের প্রদাহ যথেষ্ট ক্ষতিকর।
শরীরে অতিরিক্ত পানি:
বেশি তরমুজ খেলে শরীরে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে শরীর থেকে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। শরীর থেকে যদি এ পানি বেরোতে না পারে, তখন নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে পা ফুলে যাওয়া, ক্লান্ত বোধ করা বা কিডনি দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।