বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি। একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষর সুস্থ থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবার-দাবার থেকে শুরু করে শরীরচর্চা সবই করেন। শরীর সুস্থ রাখতে যোগব্যায়াম বিশেষ উপকারী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের যেকোনো সময়ই যোগাসন করা যায়। যোগব্যায়ামের অভ্যাস শরীর ও মন উভয়ই ভালো রাখে। যোগাসন মানসিক জড়তা ও অবসন্নভাব কাটাতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, সকাল-সন্ধ্যা যেকোনো সময়ই যোগাসন করা সম্ভব। খাওয়ার ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পরে, হালকা খাবারের পরে, চা বা কফি পানের ৩০ মিনিট পরে এবং পানি খাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে যোগব্যায়াম করলে উপকৃত হবেন।
জেনে আরও অবাক হবেন যে, এমন বেশ কয়েকটি যোগাসন আছে যেগুলোর মাধ্যমে রোগ অনুযায়ী সুস্থতা মেলে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কোন যোগব্যায়ামে কী রোগ সারবে-
হাঁটুর ব্যথায় ‘পেলভিস ব্রিজ’
হাঁটুর ব্যথা কমাতে চেয়ারে বসে পা তোলা ও নামানো অর্থাৎ সিটেড লেগরাইজ করতে পারেন। একইভাবে চিৎ হয়ে শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করে উপরের দিকে তোলা আবার নামানোকে পেলভিস ব্রিজ বলা হয়। হাঁটুর ব্যথা কমাতে এই যোগাসনটি বেশ কার্যকরী।
কোমরের যন্ত্রণায় ‘ভুজঙ্গাসন’
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে বা যেকোনো সময় কোমরে যন্ত্রণা হতে পারে। এমন সময় ব্যথা কমাতে ভুজঙ্গাসন করতে পারেন। উপুড় হয়ে শুয়ে একটা পা উপরে তুলে একপদ সলভাসন বা পবনমুক্তাসন করলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ‘সিদ্ধাসন’
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ জাতীয় সমস্যার মোকাবিলায় সিদ্ধাসন খুবই কার্যকরী। মেরুদণ্ড সোজা রেখে পা গুটিয়ে বসে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে হবে এবং ছাড়তে হবে। এই আসন করার মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাড়ে।
হজমের সমস্যায় ‘পবনমুক্তাসন’
হজমের সমস্যা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী যোগাসন হলো পবনমুক্তাসন বা সুপ্ত বজ্রাসন। চিৎ হয়ে শুয়ে প্রথমে ডান পা ভাঁজ করে পেটের সঙ্গে লাগাতে হবে। বাঁ পা তখন সোজা থাকবে। এরপরে একইভাবে বাঁ পা ভাজ করে পেটে লাগতে হবে। ডান পা তখন সোজা থাকবে। গ্যাস, অম্বল, হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও যাদের রুচি নেই খাওয়ার, তাদেরও খিদে বাড়বে এই যোগাসনে।
পেট ও নিতম্বের চর্বি কমাতে ‘অর্ধকূর্মাসন’
পেট ও নিতম্বের অতিরিক্ত চর্বি নিয়ে অনেকেই বিব্রতবোধ করে থাকেন। এ সমস্যার সমাধান আছে অর্ধকূর্মাসনে। মাটিতে বজ্রাসনে বসে হাত দু’টি সোজা করে মাথার ওপরে তুলে নমস্কারের ভঙ্গিতে জড়ো করতে হবে। এ সময় পেট ও বুক যেন উরুর সঙ্গে লেগে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এ অবস্থায় মনেমনে ২০ থেকে ৩০ পর্যন্ত গুনতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে সোজা হয়ে বসে শবাসনে বিশ্রাম নিন।
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস।