বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। কারণ মিষ্টিজাতীয় খাবার রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাইতো ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা নির্বাচনে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।
এদিকে চলছে আমের মৌসুম। আম পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা ইচ্ছে করলেও আম খেতে পারে না। তাই তাদের জন্যই উদ্ভাবন হয়েছে ‘সুগার ফ্রি’ আম। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যিই এটা সম্ভব হয়েছে। আবার দামও অনেক কম।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফল গবেষক এমএইচ পাওয়ারের নাতি গোলাম সারওয়ার এই ‘সুগার ফ্রি’ আম উদ্ভাবন করেছেন। এ আমের তিন প্রজাতি- সোনারো, গ্লেন ও কেট। তিন রকমের আমই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৮০ টাকা কেজিতে। দীর্ঘ পাঁচ বছরের নিরলস গবেষণার ফল এই ‘সুগার ফ্রি’ আম। কেটে প্রজাতির আমে শর্করার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৭ শতাংশ, সোনারো আমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ও গ্লেনের মধ্যে শর্করার পরিমাণ ৬ শতাংশ।
পাকিস্তানে সম্প্রতি সিন্ধ্রি ও চৌসা আমের মৌসুম শেষ হয়েছে। তবে দেশটিতে এই ‘সুগার ফ্রি‘ আম আগস্টের শেষ দিক থেকে পাওয়া যাবে।
গোলাম সারওয়ার সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন, পাকিস্তান সরকার আম ও কলা নিয়ে গবেষণার জন্য আমার দাদুকে ‘সিতারা-এ-ইমতিয়াজ’ উপাধি দিয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর আমি কাজ চালিয়েছি এবং বিভিন্ন বিদেশি প্রজাতির আম এনে তার উপর গবেষণা করেছি।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই গবেষণা চালিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন গোলাম সারওয়ার। এ জন্য তাকে সরকারিভাবে কোনো সহায়তা করা হয়নি। তারপরও এই আম গবেষণার পেছনে দেশের উন্নতিই মাথায় ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। দেশের বাইরে বিদেশেও এই নতুন উদ্ভাবনের আম ছড়িয়ে দিতে চান এ ফল গবেষক।
প্রসঙ্গত, এই তিন প্রজাতির আম ছাড়াও ৪৪ রকমের আমের বিভিন্ন প্রজাতি নিয়ে ৩০০ একর জমিতে আম চাষ করেছেন তিনি। আমের নতুন নতুন উদ্ভাবনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ফল গবেষক গোলাম সারওয়ার।