বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রান্নায় মশলার ব্যবহার হয়ে আসছে। খাবারের স্বাদ পাল্টে দিতে মশলা অতুলনীয়। বাঙালিরা ঝাল-মশলাদার খাবার খেতে ভীষণ পছন্দ করেন। যদিও অনেকেই আছেন যারা খাবারে ঝাল পছন্দ করেন না। অনেকেই আবার ঝাল খেতে পছন্দ করলেও স্বাস্থ্যের কথা ভেবে মশলা কম দিয়ে রান্না করেন।
তবে জানলে অবাক হবেন যে, এই মশলা আর ঝালের কিছু আলাদা গুণ রয়েছে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ঝাল-মশলাদার খাবার খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
প্রাচীনকালে পেটের সমস্যা মেটাতে কিছু মশলা ব্যবহার করা হত। এখনো আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে তার উল্লেখ রয়েছে। হলুদ, জিরা, এলাচ, গোলমরিচের মশলার গুণ অনেকেরই জানা। এখনো অনেক বাঙালি বাড়িতে সর্দি কিংবা কাশি হলে ঝাল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাতে মুখের স্বাদও ফেরে।
গবেষকদের দাবি, মশলাযুক্ত বিশেষ করে ঝাল খাবারে যৌনক্ষমতা বাড়ে। ৩০ বছর বয়স পেরোনোর পর পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। ঝাল ও মশলাযুক্ত খাবার টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। শারীরিক মিলনের সময় বেশিক্ষণ রতিসুখ অনুভব করা যায়।
খাবারে জিরা, দারচিনি, হলুদের মতো মশলা ব্যবহার করলে ওজন কমে। একই উপকার পাওয়া যায় গোলমরিচ ও কাঁচা মরিচ ব্যবহারে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এতে পাকস্থলীর খাবারের চাহিদা কমে। ফলে কম খিদে পায়। আর তাতে ওজন কমার পথ সুগম হয়।
ঝাল ও মশলাদার খাবার মুডও ভালো করে। এতে সেরোটোনিন নামের ফিল-গুড হরমোন আছে। যাতে দুশ্চিন্তা-অবসাদ দূর করে মনকে ভালো রাখে। আর মন ভালো থাকলেই তো শরীর চাঙ্গা। তাই না!
অনেকে দাবি করেন মশলাযুক্ত ও ঝাল খাবারে ক্যান্সারের সম্ভাবনাকেও এড়ানো সম্ভব। তাদের যুক্তি, ঝাল খাবারে থাকা ক্যাপসাইসিনে অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান থাকে। অতিরিক্ত ক্যাপসাইসিন নার্ভের ব্যথা দূর করতেও সক্ষম। তবে কেউ কেউ আবার বলেন, এর প্রভাবে ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে পারে।