বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকেই ভুগে থাকেন। যদিও এসব শারীরিক সমস্যা আমাদের নিজেদের দোষেই সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে এমন কিছু ভুল থাকে যা পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য জাতীয় রোগের সৃষ্টি করে। তাছাড়া সরিরের বাড়তি ওজন এসব অসুখের অন্যতম কারণ।
এছাড়া যারা দীর্ঘক্ষণ বসে বাথরুম করার চেষ্টা করেন তাদেরও পাইলসের আশঙ্কা বেশি। যারা বেশি ওজন তোলেন তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। আর গর্ভবতীদের নানান শারীরিক বদলের সময় পাইলসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে একটু নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করলে এই রোগ বাড়তে পারে না। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ানোর কিছু নিয়মকানুন-
পালংশাক সহ অন্যান্য শাক রাখুন মধ্যাহ্ন ভোজনে।
ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন। খাবাবের নামে পোড়ানো মাংসও খাওয়া যাবে না।
ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিন। আর মদ্যপানে এই সমস্যা বাড়ে বলে মদ পানও ছাড়তে হবে।
বাথরুমে গিয়ে অনেকক্ষণ বসে চাপ দেবেন না। এতে কিন্তু ভবিষ্যতে এই সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।
দিনে কমপক্ষে ৩ থেকে ৩.৫ লিটার পানি পান করা দরকার। তবে শীতের সময় কিছুটা কম হলেও চলবে।
কুমড়া, লাউ, পটলসহ সময়ের সবজি খাবেন। তবে খোসা সমেত সবজি খেতে পারলে উপকার বেশি পাওয়া যাবে।
ময়দার খাবার খেলে এই সমস্যা বাড়ে। তাই কেক, বিস্কুট খাওয়ার মাত্রা কমিয়ে দিন। এর পরিবর্তে খই, ওটস খেতে পারেন।
নিয়মিত ব্যায়াম করে ওজন রাখুন নিয়ন্ত্রণে। বাড়তি ওজন পাইলসের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ভারী জিনিসও তুলবেন না।
শসা খাবেন খোসা সহ। কলা, পেয়ারা, লেবু, আম, জাম-সহ বেশির ভাগ ফলেই ফাইবার আছে। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন ৩/৪টি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
প্রতিদিনের খাবারে রাখুন প্রচুর শাকসবজি। আলু-পেঁয়াজ ছাড়া সময়ের সব রকমের সবজি খাবেন। তবে ঢেঁড়শ পাইলস কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তাই যারা পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তারা নিয়মিত দু’বেলা ঢেঁড়শ খেলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
এরপরও পাইলস হলে সময় নষ্ট না করে শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।