ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হার্টে ব্লক থাকলে কী করবেন, পরামর্শ দিলেন ডা. শঙ্খদ্বীপ প্রামাণিক

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বাইপাস সার্জারির নাম শুনলেই ভয় পান অধিকাংশ সাধারণ মানুষ। কিন্তু প্রয়োজন পড়লে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য বাইপাস করাতেই হবে বলে জানালেন ভারতের রুবি হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জেন ডা. শঙ্খদ্বীপ প্রামাণিক। এমনকি বাইপাস সার্জারির পর ১০-১৫ বছর পুরোপুরি সুস্থ থাকা সম্ভব।

ডাক্তার শঙ্খদ্বীপ প্রামাণিক জানালেন, হার্টে ব্লকেজ থাকলে বুকে ব্যথা বা অল্প পরিশ্রম করলেই হাঁপিয়ে ওঠার মত উপসর্গ দেখা যায়। এসব ক্ষেত্রে অনেকেরই বাইপাস সার্জারি করার প্রয়োজন পড়ে। সঠিক সময়ে সার্জারি করা হলে পুরোপুরি সেরে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

সার্জারির পর কিছু সাবধানতা মেনে চলতেই হবে। এক কথায় বলতে গেলে পরিবর্তন আনতে হবে জীবনযাত্রায়। বিশেষ করে খাবারে বেশি পরিমাণে শাক-সবজি থাকতে হবে। খুব বেশি তেল-মশলা যুক্ত খাবার বা ছাকা তেলে ভাজা খাবার খাওয়া চলবে না। যাদের প্রতিদিন দুধ খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের ডবল টোনড বা স্কিম মিল্ক খেলে ভালো।

ভারতের এই কার্ডিয়াক সার্জন জানান, অপারেশনের পরবর্তীতে সেরে ওঠার জন্য বা পরবর্তীকালেও ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ খেতে হবে নিয়ম মেনে। সেক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি করলে রোগীরই ক্ষতি।

ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করে দিতে হবে পুরোপুরি।
ওজন বাড়তে দেওয়া চলবে না খুব বেশি।
প্রতিদিন নিয়ম মেনে শরীরচর্চা, হাঁটাচলা করতে হবে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল দুশ্চিন্তা। সেটা সবার আগে কমাতে হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

হার্টে ব্লক থাকলে কী করবেন, পরামর্শ দিলেন ডা. শঙ্খদ্বীপ প্রামাণিক

আপডেট টাইম : ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বাইপাস সার্জারির নাম শুনলেই ভয় পান অধিকাংশ সাধারণ মানুষ। কিন্তু প্রয়োজন পড়লে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য বাইপাস করাতেই হবে বলে জানালেন ভারতের রুবি হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জেন ডা. শঙ্খদ্বীপ প্রামাণিক। এমনকি বাইপাস সার্জারির পর ১০-১৫ বছর পুরোপুরি সুস্থ থাকা সম্ভব।

ডাক্তার শঙ্খদ্বীপ প্রামাণিক জানালেন, হার্টে ব্লকেজ থাকলে বুকে ব্যথা বা অল্প পরিশ্রম করলেই হাঁপিয়ে ওঠার মত উপসর্গ দেখা যায়। এসব ক্ষেত্রে অনেকেরই বাইপাস সার্জারি করার প্রয়োজন পড়ে। সঠিক সময়ে সার্জারি করা হলে পুরোপুরি সেরে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

সার্জারির পর কিছু সাবধানতা মেনে চলতেই হবে। এক কথায় বলতে গেলে পরিবর্তন আনতে হবে জীবনযাত্রায়। বিশেষ করে খাবারে বেশি পরিমাণে শাক-সবজি থাকতে হবে। খুব বেশি তেল-মশলা যুক্ত খাবার বা ছাকা তেলে ভাজা খাবার খাওয়া চলবে না। যাদের প্রতিদিন দুধ খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের ডবল টোনড বা স্কিম মিল্ক খেলে ভালো।

ভারতের এই কার্ডিয়াক সার্জন জানান, অপারেশনের পরবর্তীতে সেরে ওঠার জন্য বা পরবর্তীকালেও ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ খেতে হবে নিয়ম মেনে। সেক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি করলে রোগীরই ক্ষতি।

ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করে দিতে হবে পুরোপুরি।
ওজন বাড়তে দেওয়া চলবে না খুব বেশি।
প্রতিদিন নিয়ম মেনে শরীরচর্চা, হাঁটাচলা করতে হবে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল দুশ্চিন্তা। সেটা সবার আগে কমাতে হবে।