ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রেস্ট মিল্ক’র পরিমাণ বাড়াতে খান মৌরি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  অনেক মহিলাই এখন সাধারণ সমস্যায় ভুগছেন। সদ্য হওয়া মায়ের কাছে এটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চার স্তন্যপানে সমস্যা হতে পারে। ব্রেস্ট মিল্কের মান খারাপ হয়ে যেতে পারে। এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে ব্রেস্ট মিল্কের মান বাড়তে পারে প্রাকৃতিক উপায়ে।

মৌরি:

মেথির মতো মৌরিও ব্রেস্ট মিল্কের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত মৌরি খেলে হজমক্ষমতা বাড়বে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। কেননা, সন্তানকে জন্ম দেওয়ার পর অনেক মহিলার মধ্যেই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।

মেথি বা ফেনুগ্রিক:

পরীক্ষা বলছে, মেথির বীজে রয়েছে গ্যাল্যাকটোগোগেস। এই রাসায়নিক উপাদান দুধের পরিমাণ বাড়ায়। সেই কারণে চিকিৎসকেরা নতুন মায়েদের খাদ্যতালিকায় রাখতে বলে মেথি।

সবজি রান্না করে তার উপর ছড়িয়ে দিতে পারেন। না হলে একটি জল ভর্তি বাটিতে রাতভর মেথির বীজ ভিজিয়ে রাখতে পারেন। জল ছেকে সেই জল পরদিন সকালে খেয়ে নিতে হবে। মেথি চাও খেতে পারেন।

জলে এক চামচ মৌরি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। মৌরি ছেকে নিয়ে জল হালকা গরম অবস্থায় পান করুন। রান্নার সময় তরকারি, ভাত বা মিষ্টিজাতীয় খাবারের সঙ্গেও যোগ করতে পারেন মৌরি। না হলে, খাবার পর সরাসরি এক চামচ মৌরি খেয়ে নিন।

রসুন বা গার্লিক:

প্রকৃতিক উপাদানে পরিপূর্ণ রসুন ব্রেস্ট মিল্কের পরিমাণ বাড়ায়। দেখা গেছে, যেসব মা সন্তান জন্মানোর পর প্রতিদিন নিয়ম করে এক কোয়া রসুন খান, অনেকদিন পর্যন্ত স্তন্যপান করাতে পারেন।

২-৩ কোয়া রসুন খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। ডাল, সবজি বা অন্যান্য ঝোলের মধ্যে রসুন মিশিয়ে দিতে পারেন। কার্যকরী ফল পাবেন।

জিরে বা কিউমিন:

এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন। ফলত, অনেকবেশি পরিমাণ ব্রেস্ট মিল্ক তৈরিতে সাহায্য করে জিরে।
কড়াই গরম করে, তাতে জিরে রোস্ট করে নিন। তারপর যোগ করুন ডাল ও সবজিতে। রায়েতা, চাট ও বাটারমিল্কেও যোগ করতে পারেন। না হলে একগ্লাস জলে জিরে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে জল থেকে জিরে ছেকে, সেই জল খেয়ে নিন।

সবুজ সবজি:

লাউ, উচ্ছে, টিন্ডার মতো সবুজ সবজি মায়ের স্বাস্থ্যের জন্যে খুব ভালো। সহজপাচ্য খাবারগুলি ব্রেস্ট মিল্কের উৎপাদনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। লাউঘণ্ট, উচ্ছে সিদ্ধ বা তরকারি, টিন্ডার তরকারি বানিয়ে খেয়ে ফেলুন। আরও ভালো ফল পেতে জুস বানিয়ে খেয়ে নিন সকালে।

লাল সবজি:

মিষ্টি আলু, গাজর, বিটরুট ও লাল শাক বেটা ক্যারোটিনে ভরপুর। ব্রেস্ট মিল্কের পরিমাণ বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। লিভারকে ভালো রাখে, রক্তাল্পতা হতে দেয় না। স্যালাডে খেতে পারেন। কিংবা তরকারি বানিয়েও খেতে পারেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রেস্ট মিল্ক’র পরিমাণ বাড়াতে খান মৌরি

আপডেট টাইম : ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  অনেক মহিলাই এখন সাধারণ সমস্যায় ভুগছেন। সদ্য হওয়া মায়ের কাছে এটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চার স্তন্যপানে সমস্যা হতে পারে। ব্রেস্ট মিল্কের মান খারাপ হয়ে যেতে পারে। এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে ব্রেস্ট মিল্কের মান বাড়তে পারে প্রাকৃতিক উপায়ে।

মৌরি:

মেথির মতো মৌরিও ব্রেস্ট মিল্কের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত মৌরি খেলে হজমক্ষমতা বাড়বে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। কেননা, সন্তানকে জন্ম দেওয়ার পর অনেক মহিলার মধ্যেই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।

মেথি বা ফেনুগ্রিক:

পরীক্ষা বলছে, মেথির বীজে রয়েছে গ্যাল্যাকটোগোগেস। এই রাসায়নিক উপাদান দুধের পরিমাণ বাড়ায়। সেই কারণে চিকিৎসকেরা নতুন মায়েদের খাদ্যতালিকায় রাখতে বলে মেথি।

সবজি রান্না করে তার উপর ছড়িয়ে দিতে পারেন। না হলে একটি জল ভর্তি বাটিতে রাতভর মেথির বীজ ভিজিয়ে রাখতে পারেন। জল ছেকে সেই জল পরদিন সকালে খেয়ে নিতে হবে। মেথি চাও খেতে পারেন।

জলে এক চামচ মৌরি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। মৌরি ছেকে নিয়ে জল হালকা গরম অবস্থায় পান করুন। রান্নার সময় তরকারি, ভাত বা মিষ্টিজাতীয় খাবারের সঙ্গেও যোগ করতে পারেন মৌরি। না হলে, খাবার পর সরাসরি এক চামচ মৌরি খেয়ে নিন।

রসুন বা গার্লিক:

প্রকৃতিক উপাদানে পরিপূর্ণ রসুন ব্রেস্ট মিল্কের পরিমাণ বাড়ায়। দেখা গেছে, যেসব মা সন্তান জন্মানোর পর প্রতিদিন নিয়ম করে এক কোয়া রসুন খান, অনেকদিন পর্যন্ত স্তন্যপান করাতে পারেন।

২-৩ কোয়া রসুন খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। ডাল, সবজি বা অন্যান্য ঝোলের মধ্যে রসুন মিশিয়ে দিতে পারেন। কার্যকরী ফল পাবেন।

জিরে বা কিউমিন:

এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন। ফলত, অনেকবেশি পরিমাণ ব্রেস্ট মিল্ক তৈরিতে সাহায্য করে জিরে।
কড়াই গরম করে, তাতে জিরে রোস্ট করে নিন। তারপর যোগ করুন ডাল ও সবজিতে। রায়েতা, চাট ও বাটারমিল্কেও যোগ করতে পারেন। না হলে একগ্লাস জলে জিরে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে জল থেকে জিরে ছেকে, সেই জল খেয়ে নিন।

সবুজ সবজি:

লাউ, উচ্ছে, টিন্ডার মতো সবুজ সবজি মায়ের স্বাস্থ্যের জন্যে খুব ভালো। সহজপাচ্য খাবারগুলি ব্রেস্ট মিল্কের উৎপাদনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। লাউঘণ্ট, উচ্ছে সিদ্ধ বা তরকারি, টিন্ডার তরকারি বানিয়ে খেয়ে ফেলুন। আরও ভালো ফল পেতে জুস বানিয়ে খেয়ে নিন সকালে।

লাল সবজি:

মিষ্টি আলু, গাজর, বিটরুট ও লাল শাক বেটা ক্যারোটিনে ভরপুর। ব্রেস্ট মিল্কের পরিমাণ বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। লিভারকে ভালো রাখে, রক্তাল্পতা হতে দেয় না। স্যালাডে খেতে পারেন। কিংবা তরকারি বানিয়েও খেতে পারেন।