বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ চিকুনগুনিয়া রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ফিজিওথেরাপি না নিতে অনুরোধ করেছে সরকারের রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। সোমবার (৩১ জুলাই) আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ফিজিওথেরাপি দেওয়া বিষয়ে চিকিৎসা নীতিমালা আলোচনা করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ সভা শনিবার আইইডিসিআর-এ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, রিউম্যাটলজি বিশেষজ্ঞ, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ ও রোগতত্ত্ববিদরা অংশ নেন। এরপর রবিবার চিকুনগুনিয়া পর্যবেক্ষণ জাতীয় কমিটির সভায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসমর্থিত হয়। চিকুনগুনিয়া রোগীদের ফিজিওথেরাপি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিমত হলো, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পরে জ্বর থাকা পর্যন্ত ব্যথা প্রশমনে ফিজিওথেরাপি দেওয়া যাবে না। প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ও বরফ বা অন্য কোনোভাবে ঠাণ্ডা সেঁক দিয়ে ব্যথা কমাতে হবে। এ সময়ে ফিজিওথেরাপি প্রয়োগ চিকুনগুনিয়া রোগীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। জ্বর কমার পরে তিন মাস পর্যন্ত ব্যথা প্রশমনের জন্য রোগী চিকিৎসকের পরামর্শে ঘরে বসেই আক্রান্ত গিঁট হালকা নাড়াচাড়া করা বা হালকা ব্যায়াম করে উপকৃত হবেন। এ পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক ফিজিওথেরাপি প্রয়োগের কোনও প্রয়োজন নেই।
চিকুনগুনিয়া রোগীর যদি তিন মাস পরেও ব্যথা না কমে, তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় ফিজিওথেরাপি দেওয়া যেতে পারে এবং সরকারি হাসপাতালে ব্যথা কমানোর পরামর্শ দেওয়ার জন্য স্থাপিত আরট্রোলজিয়া ক্লিনিকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ফিজিওথেরাপিস্টদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে রোগীর অবস্থা বিবেচনায় ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থাপত্র দেবেন। এ ব্যবস্থার বাইরে চিকুনগুনিয়া রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সরাসরি ফিজিওথেরাপি না নেওয়ার পরমর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে যেকোনও পরামর্শের জন্য চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হটলাইনে ও স্বাস্থ্য বাতায়নে (১৬২৬৩) রোগীরা যোগাযোগ করতে পারবেন।