বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বাড়ির অতি সাধারণ একটি উপাদান বেকিং সোডা। বিশেষ করে শহরের বেশিরভাগ মানুষের ঘরেই এটা থাকে।
এই জিনিসটি ফলে দেওয়া কীটনাশক দূর করতে পারে। অর্থাৎ, বিষাক্ত উপাদান থেকে বাঁচাতে বেকিং সোডার ওপর ভরসা রাখতে পারেন। ফলে নিশ্চিন্তে খেতে পারে স্বাস্থ্যকর ফল।
বহু বছর থেকে ফলের মতো খাবারে কীটনাশকের ব্যবহার জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। ফল খাওয়ার আগে ধুয়ে নেওয়া সচেতনতার লক্ষণ। এমিনেতও সবার এ অভ্যাস আছে। কিন্তু তাতে কী আর কীটনাশক যায়? তা ছাড়া উদ্ভিদ থেকেই এমন কিছু উপাদান ফলে থেকে যায় যা ধুয়ে সাফ করা অনেক কঠিন বিষয়।
তবে ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞরা ফল ধোয়ার কার্যকর কোনো পন্থার বের করতে গবেষণা চালিয়েছেন। ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এমন দুটো কীটনাশ ব্যবহার করেছেন তারা।
একটি থিয়াবেনডাজল। এটি আপেলে দেখা যায়। আরেকটি হলো ফোসমেঠ এটা অর্গানিক আপেলে দেওয়া হয়। এবার আপেলগুলোকে বিশেষজ্ঞরা তিনটি তরলে ধুয়ে পরীক্ষা করেন। পানিতে, একটি বাণিজ্যিক ব্লিচে কএবং বেকিং সোডায়। দেখা গেছে, বেকিং সোডা সবচেয়ে বেশি কার্যকর।
১২-১৫ মিনিট পর আপেলের ৮০ শতাংশ থিয়াবেনডাজল চলে গেছে। আর ৯৬ শতাংশ ফোসমেট উদাও। প্রথমটিকে আপেল খুব বেশি শুষে নেয়।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, থিয়াবেনডাজল আপেলের ভেতরে ৮০ মাইক্রোমিটার পর্যন্ত প্রবেশ করে। আর দ্বিতীয়টি যায় ২০ মাইক্রোমিটার গভীরে।
তাই ব্লিচ বা পানিতে টানা দুই মিনিট ধোয়ার পর আসলে তেমন কীটনাশক দূর হয় না। কিন্তু বেকিং সোডা জাদু দেখিয়েছে। তাই এর পর থেকে বাড়িতে আপেল আনলে তা বেকিং সোডায় কিছুক্ষণ ধুয়ে নিন।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস