ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোগপ্রতিরোধে খাবার

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ খাদ্য এমন একটি উপাদান, যা ভোক্তার চাহিদা পূরণ, শরীরের ক্ষয় সাধন, রোগপ্রতিরোধ ও শরীর বৃদ্ধি করে। বেশ কিছু খাবার প্রতিনিয়ত মানসিক রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে, যা মানুষের নানা রোগ, ক্যান্সার ও ব্যাধি নিরাময়ে সহায়ক। এসব খাদ্য সম্পর্কে নিচে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

১. শস্যজাতীয় ও টাটকা শাকসবজি জাতীয় খাদ্যে ম্যাংগানিজ থাকে, যা কিলার ইমিউন সেলের কার্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
২. আমলকী, হরীতকী, পেঁপে, তরমুজ, বাঁধাকপি, টকজাতীয় লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা ইত্যাদি ইনফেকশনের প্রসেস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. ভিটামিন ‘ই’, উদ্ভিদজাতীয় খাবার, যেমন- শাকসবজি, ফলমূল, ভেষজ তেলে পাওয়া যায় শিম, শিমের বিচি, চীনাবাদাম ইত্যাদি। প্রাণিজ খাদ্য, ডিমের কুসুম, মাছ, গোশত ইত্যাদি শ্বেত রক্তকণিকা কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

চীনাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, ম্যাগনেশিয়াম টাটকা শাকসবজি ইত্যাদি ইমিউনিটির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
চকলেট, আইসক্রিম, কোকো, গুঁড়া করে মণ্ড গোশত, ডিমের কুসুম, শিংমাছ, সুগন্ধি মশলা ইত্যাদি চমৎকারভাবে আয়রনের সঙ্গে যুক্ত হয়। শ্বেত রক্তকণিকার সমতা রক্ষা করে।
ঘি, দুধজাতীয় খাবার, ডালে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে।
ভিটামিন ‘এ’ জাতীয় খাবার লালশাক, পুঁইশাক, গাজর, আম, কলা, পেঁপে, রঙিন ফলেও ভিটামিন ‘এ’ বেশি আছে। মলা-ঢেলা মাছ, দুধ, ডিমে বিটাক্যারোটিন থাকে, যা ত্বক ও মিউকাস মেমব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে রোগপ্রতিরোধ তন্ত্রের তীব্রতা বৃদ্ধি করে।
রুটি, ময়দা, চা-পাতিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন বি-৬ বা পাইবিডক্সিন আছে, যা থাইমাস গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অর্গান দুইটি রোগপ্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক খাদ্য, ডিমের কুসুম, ইলিশ মাছ, মাছের তেল ইত্যাদির মধ্যে শেলিনিয়াম নামক খনিজ লবণ থাকে, যা শ্বেতকণিকা ইমিউন এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এ তেলের মধ্যে ফ্যাটি এসিড থাকে, যা রোগপ্রতিরোধে সহায়তা করে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

রোগপ্রতিরোধে খাবার

আপডেট টাইম : ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ খাদ্য এমন একটি উপাদান, যা ভোক্তার চাহিদা পূরণ, শরীরের ক্ষয় সাধন, রোগপ্রতিরোধ ও শরীর বৃদ্ধি করে। বেশ কিছু খাবার প্রতিনিয়ত মানসিক রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে, যা মানুষের নানা রোগ, ক্যান্সার ও ব্যাধি নিরাময়ে সহায়ক। এসব খাদ্য সম্পর্কে নিচে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

১. শস্যজাতীয় ও টাটকা শাকসবজি জাতীয় খাদ্যে ম্যাংগানিজ থাকে, যা কিলার ইমিউন সেলের কার্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
২. আমলকী, হরীতকী, পেঁপে, তরমুজ, বাঁধাকপি, টকজাতীয় লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা ইত্যাদি ইনফেকশনের প্রসেস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. ভিটামিন ‘ই’, উদ্ভিদজাতীয় খাবার, যেমন- শাকসবজি, ফলমূল, ভেষজ তেলে পাওয়া যায় শিম, শিমের বিচি, চীনাবাদাম ইত্যাদি। প্রাণিজ খাদ্য, ডিমের কুসুম, মাছ, গোশত ইত্যাদি শ্বেত রক্তকণিকা কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

চীনাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, ম্যাগনেশিয়াম টাটকা শাকসবজি ইত্যাদি ইমিউনিটির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
চকলেট, আইসক্রিম, কোকো, গুঁড়া করে মণ্ড গোশত, ডিমের কুসুম, শিংমাছ, সুগন্ধি মশলা ইত্যাদি চমৎকারভাবে আয়রনের সঙ্গে যুক্ত হয়। শ্বেত রক্তকণিকার সমতা রক্ষা করে।
ঘি, দুধজাতীয় খাবার, ডালে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে।
ভিটামিন ‘এ’ জাতীয় খাবার লালশাক, পুঁইশাক, গাজর, আম, কলা, পেঁপে, রঙিন ফলেও ভিটামিন ‘এ’ বেশি আছে। মলা-ঢেলা মাছ, দুধ, ডিমে বিটাক্যারোটিন থাকে, যা ত্বক ও মিউকাস মেমব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে রোগপ্রতিরোধ তন্ত্রের তীব্রতা বৃদ্ধি করে।
রুটি, ময়দা, চা-পাতিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন বি-৬ বা পাইবিডক্সিন আছে, যা থাইমাস গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অর্গান দুইটি রোগপ্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক খাদ্য, ডিমের কুসুম, ইলিশ মাছ, মাছের তেল ইত্যাদির মধ্যে শেলিনিয়াম নামক খনিজ লবণ থাকে, যা শ্বেতকণিকা ইমিউন এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এ তেলের মধ্যে ফ্যাটি এসিড থাকে, যা রোগপ্রতিরোধে সহায়তা করে।