ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমায় খেজুর

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আমাদের অনেকেরই পছন্দের ফলের তালিকায় থাকে খেজুর। তবে খেজুর যারা ভালোবাসেন তারা হয়ত খেজুর খেলে কী কী শারীরিক সমস্যা দূর হয় এই বিষয়টি জানতেন না? আর যারা পছন্দ করেন না তারাও আজ থেকে খেতে শুরু করুন খেজুর। কারণ খেজুরের উপকারিতা গুলো জানলে অবশ্যই আপনি খেজুর খেতে না করবেন না। এক নজরে দেখা নিন সেই গুণাবলী-

১। বহু যুগ ধরেই কার্যকরী ল্যাক্সাটিভ হিসেবে খেজুর ব্যবহার করা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ছাড়াও বদহজম, অ্যাসিডিটি এমনকি পাকস্থলীর আলসারেও উপশম আনে খেজুর।

২। রক্তে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়। এছাড়া সোডিয়ামের মাত্রা (একশো গ্রামে মাত্র ২ মিলিগ্রাম) কম থাকায় এবং পটাসিয়ামের মাত্রা (প্রতি একশো গ্রামে ৬৫৬ মিলিগ্রাম) বেশি থাকায় হৃদযন্ত্রের পেশির সক্রিয়তা বাড়িয়ে তোলে খেজুর।

৩। উচ্চমাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম থাকার কারণে শরীরে জলের ভারসাম্য রক্ষা করে খেজুর। স্নায়ুবিক দুর্বলতার সমস্যা কাটাতে খেজুরের জুড়ি মেলা ভার।

৪। প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকায় দাঁতের রোগে উপকার করে খেজুর। নাইট ব্লাইন্ডনেস বা রাত্রিকালীন অন্ধত্বের সমস্যা মেটায়।

৫।জৈব সালফার থাকার কারণে বিভিন্ন ভাইরাল, ফাঙ্গাল, ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমণ দূর করে খেজুর। বিভিন্ন ফুসফুসের সংক্রমণও মোকাবিলা করতে সাহায্য করে খেজুর।

৬। যারা সারাদিন শুধু খাই খাই রোগে ভোগেন, এক সঙ্গে বেশি খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায় নিয়মিত খেজুর খেলে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমায় খেজুর

আপডেট টাইম : ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আমাদের অনেকেরই পছন্দের ফলের তালিকায় থাকে খেজুর। তবে খেজুর যারা ভালোবাসেন তারা হয়ত খেজুর খেলে কী কী শারীরিক সমস্যা দূর হয় এই বিষয়টি জানতেন না? আর যারা পছন্দ করেন না তারাও আজ থেকে খেতে শুরু করুন খেজুর। কারণ খেজুরের উপকারিতা গুলো জানলে অবশ্যই আপনি খেজুর খেতে না করবেন না। এক নজরে দেখা নিন সেই গুণাবলী-

১। বহু যুগ ধরেই কার্যকরী ল্যাক্সাটিভ হিসেবে খেজুর ব্যবহার করা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ছাড়াও বদহজম, অ্যাসিডিটি এমনকি পাকস্থলীর আলসারেও উপশম আনে খেজুর।

২। রক্তে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়। এছাড়া সোডিয়ামের মাত্রা (একশো গ্রামে মাত্র ২ মিলিগ্রাম) কম থাকায় এবং পটাসিয়ামের মাত্রা (প্রতি একশো গ্রামে ৬৫৬ মিলিগ্রাম) বেশি থাকায় হৃদযন্ত্রের পেশির সক্রিয়তা বাড়িয়ে তোলে খেজুর।

৩। উচ্চমাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম থাকার কারণে শরীরে জলের ভারসাম্য রক্ষা করে খেজুর। স্নায়ুবিক দুর্বলতার সমস্যা কাটাতে খেজুরের জুড়ি মেলা ভার।

৪। প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকায় দাঁতের রোগে উপকার করে খেজুর। নাইট ব্লাইন্ডনেস বা রাত্রিকালীন অন্ধত্বের সমস্যা মেটায়।

৫।জৈব সালফার থাকার কারণে বিভিন্ন ভাইরাল, ফাঙ্গাল, ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমণ দূর করে খেজুর। বিভিন্ন ফুসফুসের সংক্রমণও মোকাবিলা করতে সাহায্য করে খেজুর।

৬। যারা সারাদিন শুধু খাই খাই রোগে ভোগেন, এক সঙ্গে বেশি খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায় নিয়মিত খেজুর খেলে।